• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



ক্যারিয়ারভিত্তিক লেখা আরো বেশি বেশি চাই

আইসিটির অপার কল্যাণে আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত উন্মোচিত হচ্ছে নিত্যনতুন দিগন্ত। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র। জাগছে নতুন নতুন প্রত্যাশা, অথচ একসময় ভাবা হতো তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটলে দেশে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাবে অস্বাভাবিকভাবে বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে। আর তাই এসব দেশ ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়ছে দিন দিন এবং সৃষ্টি করছে ডিজিটাল ডিভাইড বা ডিজিটাল বৈষম্য।

অবশ্য এখন প্রেক্ষাপট বদলাতে শুরু করেছে বা বদলে গেছে। আর তাই তথ্যপ্রযুক্তিকে অবলম্বন করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোও তৎপর হয়েছে, নিজেদের বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থা পাল্টাতে। এ কাতারে বাংলাদেশও শামিল। তবে উন্নয়নশীল অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের গতিটা যথেষ্ট কমই বলা যায়। আমার মনে এ উপলব্ধিটা আরো প্রকট হয়েছে কমপিউটার জগৎ পত্রিকায় প্রকাশিত গত মাসে ক্যারিয়ার হিসেবে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট লেখাটি পড়ে।

এতদিন আমার ধারণা ছিল তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ক্যারিয়ার বলতে হার্ডওয়্যারসংশ্লিষ্ট কিংবা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা। কিন্তু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট যে একটি আকর্ষণীয় ও চাহিদাসম্পন্ন ক্যারিয়ার হতে পারে, তা আমার মতো অনেকেরই ধারণা ছিল না বলে আমি মনে করি।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের চাহিদা এখন ব্যাপক এবং দিন দিন বাড়ছেই। আমার মনে হয় এ লেখায় যেসব বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, সেসব বিষয় সম্পর্কে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব স্বচ্ছ ও স্পষ্ট ধারণা রাখে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ সেক্টরে আমাদের দেশে লোকবল অত্যন্ত কম। এসব বিষয়ের ওপর এখন থেকে গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলে এ ক্রমবর্ধমান বা সম্প্রসারণশীল বাজারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারবো। অবশ্য এজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমপিউটার সায়েন্সসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে আপডেট বা যুগোপযোগী করতে হবে। শুধু তাই নয়, কমপিউটার বিষয় সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে আসতে হবে উদারভাবে কার্যকর পরিকল্পনা হাতে নিয়ে। সর্বোপরি সরকারকে সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ের ওপর যেমন খেয়াল রাখতে হবে, তেমনি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে।

কমপিউটার জগৎ-এর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করি এবং সেই সাথে ক্যারিয়ার গাইডসংশ্লিষ্ট আরো বেশি বেশি লেখা প্রত্যাশা করি, যা আমাদের দেশে তরুণ প্রজন্মকে প্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে।

শান্ত
পল্লবী, ঢাকা
............................................................................................................

অস্থিরতা পরিহার করে ধীরস্থির হতে হবে সবাইকে

‘সবুরে মেয়ো ফলে’ কিংবা Slow and steady wins the race প্রভৃতি প্রবাদ বাক্যগুলো আমরা ইদানীং ভুলে গেছি বললে ভুল বলা হবে। বরং এসব আদর্শ প্রবাদ বাক্য আমরা আমাদের মন থেকে চিরতরে বিসর্জন দিয়েছি। এর ফলে আমাদের সবার মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের অস্থিরতা ও তাড়াহুড়ো ভাব। আমাদের কর্মময় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এ তাড়াহুড়ো ও অস্থিরতা বিরাজমান। এর ফলে আমরা সবকিছু তাৎক্ষণিকভাবে পেতে চাই। আমি এ কথাগুলো বলছি এ কারণে যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নিয়ে আমাদের অতি মাত্রায় প্রত্যাশা দেখে। বর্তমান সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ তথা ‘রূপকল্প ২০২১’-এ বলা হয়েছে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার রজতজয়মত্মীতে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সরকার তার লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ করবে যার ফল পাওয়া যাবে ২০২১ সালের মধ্যে।

আমরা বাস্তবতার আলোকে যদি দেখি, তাহলে বুঝতে হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ রাতারাতি বাস্তবায়ন করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব হবে না। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাইলে চাই দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যেতে হবে, যার দেখা আমরা এখন পর্যন্ত পায়নি। আমি মনে করি সরকার যদি ধীরস্থিরভাবে একেক সেক্টর নির্বাচন করে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যায়, তাহলে হয়তো এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের দেখা পাব। তবে এখানে কাজের ও চেষ্টার কমতি হলে হবে না, অর্থাৎ কাজের মধ্যে গাফিলতি ও দুর্নীতি থাকলে হবে না। এখানে কোনো অবস্থাতে তাড়াহুড়ো বা রাতারাতি পাওয়ার আশা করা উচিত নয়। আবেগকে বিসর্জন দিয়ে বাস্তবতার আলোকে আমাদের সবকিছু নিতে হবে। তবে সরকার যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে শিক্ষা, ভূমি ব্যবস্থাপনাও সরকারি সব কর্মকান্ড ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে তাহলে পরবর্তী পর্যায়ে অন্যান্য সেক্টরও তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ডিজিটাইজ হবে এবং এক সময় কাংক্ষিত ফল পাব।

তাপস
বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম

............................................................................................................
এসিএম আইসিপিসি প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা চাই

বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রতিভা অন্বেষণের জন্য পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে এবং প্রচুর অর্থও খরচ করে। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এতে দেশের প্রচুর প্রতিভাধর খুঁজে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সাধারণত প্রতিভা অনুসন্ধানের কার্যক্রমটি মূলত সঙ্গীত, নাটক, চলচ্চিত্র ও ক্রীড়াঙ্গনকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। এতে প্রতিভাবানেরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সফলতা পেলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরবর্তী পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবেই ঝরে যায়। মনে হয় যেসব ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা থাকে তা মূলত অনেকটা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যেই হয়ে থাকে। তারপরও এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ।

বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রতিভাবানদের পৃষ্ঠপোষকতার অভাব না ঘটলেও গণিত ও আইসিটি খাতের প্রতিভাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভাব প্রচন্ড। অথচ আইসিটি খাতের প্রতিভাবানরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর আর্থিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া সত্ত্বেও সফলতার মুখ আমরা খুব কমই দেখতে পাই, তারপরও পৃষ্ঠপোষকতার কোনো অভাব হয় না। আমি এর বিরোধিতা করছি না। তবে দুঃখ পাই যখন দেখি এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের ছেলেরা দেশের জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে আনছে, অথচ কোনোরকম পৃষ্ঠপোষকতা খুঁজে পাওয়া যায় না- এ আমাদের জন্য এক চরম দুর্ভাগ্যজনকই নয়, বরং বলা যায় লজ্জাকরও বটে।

আমি চাই সঙ্গীত, চলচ্চিত্র ও অন্যান্য সেক্টরের মতো এ সেক্টরেও পৃষ্ঠপোষকতার ছোঁয়া আসুক যাতে আইসিটি খাতের মেধাবীরা আরো বেশি বেশি করে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, যা আমাদের দেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।

তৈয়ব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস