• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে আউটসোর্সিং এবং বাংলাদেশ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
‘সি’
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে আউটসোর্সিং এবং বাংলাদেশ

বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তস্নাত বাংলাদেশ। অনেক ত্যাগের ফসল আমাদের এই বাংলাদেশ। অনেক দামের বিনিময়ে অর্জিত এ বাংলাদেশ কোনো সাদামাটা বাংলাদেশ নয়। এ ছিল অনন্য এক স্বপ্নের বাংলাদেশ। সুখী-সমৃদ্ধ গৌরবদৃপ্ত বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নোয়ার মতো কোনো বাংলাদেশ নয়। কারো কাছে হাত পাতবার কোনো বাংলাদেশ নয়। কিন্তু যে কারণেই হোক স্বপ্ন সাধের সমৃদ্ধ ও গৌরবদৃপ্ত বাংলাদেশ আজো আমাদের গড়া হয়নি। দেশের অর্থনীতিকে দাঁড় করানো যায়নি শক্ত কোনো ভিতের ওপর। পরনির্ভশীলতা কাটিয়ে উঠতেই পারিনি। এজন্য সামগ্রিকভাবে আমরা সবাই দায়ী। এ ব্যর্থতা আমাদের সবার। আমরা সঠিক দর্শন নিয়ে দেশ চালাতে পারিনি। অবলম্বন করতে পারিনি যথাযথ উন্নয়ন কৌশল। অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি। আমাদের বোধে আসেনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রধানতম হাতিয়ার করেই শুধু সম্ভব আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই সমৃদ্ধ দেশ পাওয়া নিশ্চিত করা। আমরা বারবার সেই বোধটুকু আমাদের জাতীয় জীবনে ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছি। সুস্পষ্টভাবে সংশ্লিষ্টদের জানাতে চেষ্টা করেছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই হতে পারে আমাদের যাবতীয় অর্থনৈতিক দুর্বলতা কমানো অন্যতম হাতিয়ার। সেই সাথে জাতির কাছে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি বিভিন্ন সময়ে আমাদের সামনে এক্ষেত্রে আসা নানা সম্ভাবনার কথা। অনেক সম্ভাবনাই উপযুক্ত পদক্ষেপের অভাবে অতীতে আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। ফলে আমরা পড়ে রয়েছি পেছনের সারিতেই। তবে ছিটেফোঁটা সম্ভাবনাকে হয়তো কাজে লাগাতে পেরেছি অনুল্লেখযোগ্য মাত্রায়। সে সম্ভাবনা ও সুযোগকে যতটুকু কাজে লাগাতে পেরেছি, সুফলটাও পেয়েছি সে মাত্রা অনুসারে।

এই সময়ে আমাদের এই বাংলাদেশের সামনে ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে আউটসোর্সিংয়ের একটা বড় মাপের সুযোগ সামনে হাজির হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে এই সুযোগ ও সম্ভাবনার কথা বেশ জোরের সাথেই উচ্চারিত হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেসিস আয়োজিত সফটএক্সপোতে আয়োজিত একটি সেমিনারে এই সুযোগ ও সম্ভাবনা, কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই এক্সপোর গোল্ড স্পন্সরও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ভিওআইপি পণ্য সেবা প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমস এ সেমিনারের আয়োজন করে এ ব্যাপারে জাতিকে অবহিত করার গুরুদায়িত্বটুকুই পালন করে। এজন্য এ প্রতিষ্ঠানটি ধন্যবাদ পাবার দাবি রাখে। আমরা মনে করি এ সেমিনারটি বাংলাদেশে ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে আউটসোর্সিংয়ে নতুন গতি সৃষ্টিতে অনুঘটকের কাজ করবে।

বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা চলতি সংখ্যায় ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে আউটসোর্সিংয়ের সম্ভাবনা ও বিদ্যমান সুযোগগুলো তুলে ধরে প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছি। আশা করছি, প্রতিবেদনটি আগ্রহীদের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হবে। সেই সাথে যারা এ ব্যবসায়ে নতুন আসতে চান তাদের জন্যও জানার চাহিদা মেটাবে এবং উদ্যোগ গ্রহণে প্রণোদিত করবে। সত্যি সত্যিই ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে আউটসোর্সিংয়ের এক অপার সম্ভাবনা আমাদের সামনে হাজির। এ সম্ভাবনাকে সচেতনতার সাথে কাজে লাগিয়ে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক উপকৃত হতে পারি। কাটাতে পারি আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক দীনতা। কিভাবে তা সম্ভব, সে প্রশ্নের জবাব তুলে ধরার প্রয়াস রয়েছে এ প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে।

ভিওআইপি ও টেলিকম শিল্পে ক্রমেই মূলধারায় চলে আসছে। স্কাইপির রয়েছে ৫৫ কোটি ব্যবহারকারী। বিশ্বের ১২ শতাংশ ভয়েস ট্রাফিক চলে স্কাইপির মাধ্যমে। বছরে ভিওআইপি মিনিট বাড়ছে ২৫ শতাংশ হারে। ২০০৬ সালে যেখানে গ্লোবাল পেইড ভিওআইপি ইউজারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখের মতো, ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটিরও বেশি। মোবাইল ভিওআইপির প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। ২০১০ সালে এ খাতের বাজারের পরিমাণ দেড়শ’ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার। এখন ভিওআইপি আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রগুলো হচ্ছে- কাস্টমার সাপোর্ট প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, এনওসি সাপোর্ট, ভিএনএস, বিলিং, সুইম ও সার্ভার হোস্টিং, ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট, ইউটিলিটি সার্ভিসসহ আরো অনেক ক্ষেত্র। বিশ্বের সেরা ৩০টি আউটসোর্সিং গন্তব্যের তালিকা থাকা বাংলাদেশ এ আউটসোর্সিং ব্যবসায় সহজেই ধরতে পারে।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা