সংসদীয় কমিটিকে আরো সক্রিয় হতে হবে
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচনী ইশতেহার এ দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছিল, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। বলা যায়, ডিজিটাল বাংলদেশ ধারণায় আকৃষ্ট হয়ে সর্বসাধারণ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল। ডিজিটাল বাংলদেশ আসলে কী তা বুঝে বা না বুঝেই বিপুল সংখ্যক লোক সমর্থন করেছিল ‘ডিজিটাল বাংলদেশ’ নামের পদবাচ্যকে এবং এক কল্পিত স্বপ্নে বিভোর হয়ে মনে মনে গড়ে তুলেছি স্বপ্নের ফানুস, যা আজ ক্রমশ হতাশায় ম্লান হতে বসেছে প্রত্যাশিত মাত্রায় কাজ না হওয়ায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বেশ কিছু সেক্টরকে চিহ্নিত করেছে। সম্ভবত কাজের কাজ হয়েছে ওইটুকু, যার বাস্তবায়নের লক্ষ্য আমাদের চোখে তেমন উল্লেখ করার মতো পড়ছে না। এটা শুধু আমার অভিমত নয়। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, সমগ্র দেশবাসীও সম্ভবত এই একই কথা বলবেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সরকার বেশ কিছু সেক্টরকে চিহ্নিত করেছে, সরকারে পক্ষ থেকে একে এক ইতিবাচক দিক বলা যেতে পারে। তবে, এতে দ্বিমত থাকতেই পারে। সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত এ পদক্ষেপকে আমরা অনেকেই সমর্থন করি। কেননা, আমরা সবাই চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম আগে শুরু হোক এবং এগিয়ে চলুক এর বাস্তবায়নের কার্যক্রম, থাকুক না কিছু দ্বিমত। তাড়াহুড়ো নয়, ধীরে ধীরেই বাস্তবায়িত হোক সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, গত দুই বছরেও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া গৃহীত পদক্ষেপের কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় সম্প্রতি অসমেত্মাষ প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এমনটি ইতেপূর্বে আগে খুব একটা দেখা যায়নি। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি শুধু ক্ষোভ প্রকাশ করে বসে থাকবে তা আমাদের কাম্য নয়। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় অগ্রগতি না হবার কারণ কী, অবকাঠামোগত কোনো ত্রুটি এতে রয়েছে কি না, বিশেষ কোনো মহল বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তার জন্য এমনটি হচ্ছে কি না তা যেমন খতিয়ে দেখবে, তেমনি তার জন্য যথাযথ তদন্ত হচ্ছে কি না তাও তদারকি করা উচিত।
এম. জামান
ডেমরা, ঢাকা
............................................................................................................
মিডিয়া হোক উদার মনের
সম্প্রতি ‘ডিজিটাল লাইফ, বেটার লাইফ’ স্লোগান নিয়ে শেষ হলো সিটিআইটি ২০১১। সিটিআইটির বার্ষিক মেলা যা প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয় নিত্যনতুন আঙ্গিক ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে। যেখানে থাকে নতুন চমক ও সংযোজন। এবারের মেলার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
সিটিআইটি ২০১১-এর অন্যতম আকর্ষণ ও সংযোজন ছিল প্রযুক্তি যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি মৃণাল হকের ভাস্কর্য ‘ডিজিটাল ডিজায়ার’ এবং কমজগৎডটকমের সহযোগিতায় সিটিআইটি ২০১১-এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের লাইভ ওয়েবকাস্ট এবং নলেজ ম্যানেজমেন্ট জোন। কমজগৎডটকম কমপিউটার জগৎ-এর ওয়েবপোর্টাল। সিটিআইটি ২০১১-এর অন্যতম এই সংযোজনের জন্য মেলা আয়োজক কমিটি ও কমজগৎ ডট কমকে ধন্যবাদ।
সিটিআইটি ২০১১ সম্পর্কে আমাদের দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো প্রতিদিনই বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করেছে, যা দেশের আইসিটিপ্রেমী ও ব্যবসায়ীদেরকে উৎসাহিত করবে নিঃসন্দেহে। শুধু তাই নয়, এ দেশের আইসিটি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহ ও প্রেরণাও যোগাবে যথেষ্টমাত্রায়। এজন্যও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।
লক্ষণীয়, এ বছর বাংলাদেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত দৈনিক পত্রিকাই সিটিআইটি ২০১১-এর নলেজ ম্যানেজমেন্ট জোনের ভূয়সী প্রশংসা করে। যা কিছু ভালো, তার জন্য প্রশংসা হবে এটাই স্বাভাকি। কিন্তু এর পেছনে অন্তর্নিহিত যে কারণ থাকে তা কেউ খতিয়ে দেখে না বা এড়িয়ে যায় কিংবা বলা যায় কারোর কৃতিত্ব স্বীকার করতে কুণ্ঠা বোধ করে। এটা এক নির্মম সত্য হলেও স্বাভাবিক ব্যাপার। এমনটিই ঘটেছে এবারের সিটিআইটি ২০১১-এ। তবে দুঃখজনক ব্যাপার, কোনো পত্রিকাই উল্লেখ করেনি কাদের সৌজন্যে এই নলেজ ম্যানেজমেন্ট জোনের তথ্যগুলো এসেছে বা কারা দিয়েছে এ তথ্য গুলো। অথচ নলেজ ম্যানেজমেন্ট জোনে যেসব তথ্য প্রদর্শিত হয়েছে সেখানে ছিল কমপিউটার জগৎ এবং কমজগৎডটকমের লোগো। সুতরাং এটা না বোঝার কোনো কারণই নেই যে কাদের সৌজন্যে এ তথ্যগুলো উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও এখানে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনারও যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কমপিউটার জগৎ প্রদত্ত তথ্য আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক কমই দেয়া হয়েছে। আরো অনেক অনেক তথ্য কমপিউটার জগৎ দিতে পারত। কেনো দেয়া হয়নি তা আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। আগামীতে এ ধরনের অনুষ্ঠানে কমপিউটার জগৎ অনেক বেশি তথ্য দিয়ে নলেজ ম্যানেজমেন্ট জোনকে আরো সম্পৃদ্ধ করবে, তা আমাদের প্রত্যাশা। সেই সাথে আমি আরো প্রত্যাশা করি আমাদের দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলো তাদের সংকীর্ণ মনমানসিকতা পরিহার করে যথাযথ তথ্য প্রকাশ করবে। এতে তারাই বড় হবে এবং পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হবে।
জামাল
শরিয়তপুর
............................................................................................................
কবে পাবো ১০ হাজার টাকার ল্যাপটপ?
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক। এ পত্রিকার প্রতিটি পাতাই আমি সব সময় পড়ার চেষ্টা করি। তবে খবরের পাতার হাইলাইট করা অংশ কখনো এড়িয়ে যাই না। জানুয়ারি ২০১১-এ কমপিউটার জগতের খবর বিভাগের একটি খবর আমাকে আবার উৎসাহিত যেমন করেছে, তেমনই আবার বিরক্তও করেছে।
এ খবরে আমি বিরক্ত হয়েছি কেননা ইতঃপূর্বে কমপিউটার জগতের খবর বিভাগে বেশ কয়েকবার দশ হাজার টাকার ল্যাপটপ বাংলাদেশে পাওয়া যাবে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলাদেশে যেখানে কোনো পণ্যের বাজারজাতকরণের দিনক্ষণ ঠিক থাকে না সরকারি পর্যায়ে, সেখানে এ ধরনের খবর বারবার প্রকাশ করে কেনো আমাদেরকে আশাহত করছে কমপিউটার জগৎ তা আমার মাথায় ঢুকছে না?
অবশ্য এই দিন-তারিখ পরিবর্তনের জন্য কমপিউটার জগৎ দায়ী নয়, তা আমি জানি। এজন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের কোনো কার্যক্রম আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুত দিনক্ষণ অনুযায়ী কখনই বাস্তবায়িত হয়নি, সম্ভবত হবেও না। সুতরাং কমপিউটার জগৎ কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, তারা যেন দশ হাজার টাকার ল্যাপটপ বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাওয়াসংক্রান্ত কোনো খবর আর প্রকাশ না করেন।
স্বাগতা মৃধা
কজ ওয়েব