• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত


বাজেটে আইসিটি উপেক্ষিত কেন?

বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার, যা ব্যাপকভাবে জনসমর্থনও লাভ করে। শুধু তাই নয়, বরং বলা যায় বর্তমান সরকারের বিপুলভাবে জনসমর্থন লাভের তথা বিজয়ের পেছনে প্রধান নিয়ামক হিসেবেও কাজ করে। নির্বাচন-উত্তর বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য বর্তমান সরকার এক লক্ষ নির্ধারণ করে যা ‘ভিশন ২০২১’ হিসেবে পরিচিতি পায়। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও অহরহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। কিন্তু বর্তমান সরকারের ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে আইসিটি নীতিমালায় তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি।

আইসিটি উন্নয়নের ব্যাপারটি বরাবরের মতো এবারও অবহেলিত রয়ে গেছে। আমার বদ্ধমূল ধারণা আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেট প্রসত্মাব পেশ ও তার পরে বাংলাদেশের আইসিটিসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর বিশেষ করে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)-এর যৌথ সম্মেলনের আয়োজন দেখে, যা ইতোপূর্বে খুব একটা দেখা যায়নি।

সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দেশবাসীকে দিয়েছে সেই তুলনায় বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়নি, যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বা রাখতে পারে। আইসিটি শিল্প উন্নয়ন ফান্ড গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ৭০০ কোটি টাকার ১০ ভাগ অর্থাৎ ৭০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রসত্মাব তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের পক্ষ থেকে করা হলেও বাজেটে এ সংক্রান্ত কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। আইসিটি শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রসত্মাব করা হলেও বাজেটে সে বাপারে কোনো বরাদ্দের কথা কোথায়ও উল্লেখ নেই। জনতা টাওয়ারকে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এর উন্নয়নে কোনো সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ করা হয়নি। ঢাকাতে আরো ১টি এবং ঢাকার বাইরে কয়েকটি আইটি পার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাজেটে এ বিষয়ে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। সরকারের প্রতিশ্রুত অনুযায়ী যদি অর্থের বরাদ্দ না থাকে তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয় তা বোধহয় বাজেট প্রণেতা ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা জানেন না।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হলো আইসিটিবিষয়ক দক্ষ মানবসম্পদ। বাংলাদেশে আইসিটি খাতে দক্ষ লোকবলের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে তা আমরা সবাই জানি। এ ঘাটতি পূরণ না হলে অর্থাৎ আইসিটি খাতে দক্ষ জনবলের ঘাটতি থাকলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে মানবসম্পদ তৈরিতে যে অর্থের প্রয়োজন সে সম্পর্কে বাজেটে দেয়া হয়নি সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা।

সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বুঝে বা না বুঝে ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন বা ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নের দাবি করেন যা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়ন বাজেটের ২ ভাগ অর্থ বরাদ্দের প্রসত্মাব ছিল আইসিটিসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে, যা প্রকারান্তে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারত। অথচ এ বাজেটে এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়নি। ইন্টারনেটের ব্যবহার তথা ব্যাপক সম্প্রসারণের কথা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বলা হলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর থেকে ১৫ ভাগ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়নি। ফলে এর সম্প্রসারণ কাঙ্ক্ষিত গতিতে হবে না।

এ দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু স্লোগান হিসেবে দেখতে চায় না। এদেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের যথার্থ বাস্তবায়ন দেখতে চায়। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য চাই যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ। এক্ষেত্রে কার্পণ্য থাকা মানেই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে শুধুই রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা।

মাহবুব
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

............................................................................................................................................................................

আইসিটিসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর আরো কার্যকর ভূমিকা চাই

‘সময়ের এক ফোঁড়, দুঃসময়ে দশ ফোঁড়’ বা ইংরেজিতে `A stitch in time saves nine’ প্রবাদবাক্যটি হঠাৎ মনে পড়ে গেল বাজেটপরবর্তী এদেশের আইসিটি শিল্পের সাথে জড়িত প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া দেখে। এবারের বাজেটে জাতীয় আইসিটি নীতিমালার প্রতিফলন না ঘটায় এ প্রতিক্রিয়া। আমি অবশ্য একে এক ইতিবাচক দৃষ্টিকোনো থেকেই দেখছি, তবে কিছু কথা থেকেই যায়।

কখনই কোনো বাজেট প্রণয়ন হুট করে সম্পন্ন করা হয় না। বাজেট প্রণয়নের আগে বিভিন্ন বাণিজ্যিক শিল্প সংস্থা থেকে যেমন নেয়া হয় মতামত তেমনি বাজেটে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠন নিজেদের ব্যবসায়ের স্বার্থ করে থাকে বিভিন্ন তদ্বির বা লবিং। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে আমাদের দেশের আইসিটিসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো কিছুটা হলেও উদাসীন, যার কারণে বরাবরই বাজেটে আইসিটির বিষয়টি অনেকটাই উপেক্ষিত থাকছে।

সুতরাং আগামীতে বাজেটে কেমন বরাদ্দ দরকার, কেন দরকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দৃঢ়তার সাথে আগে থেকেই যথাযথভাবে দেন-দেনবার করতে হবে। প্রয়োজনে এক্ষেত্রে ভালো লবিস্টও নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। আমার এ প্রসত্মাবনা সংশ্লিষ্টজনেরা বিবেচনায় নেবেন- এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।

জাফর
সবুজবাগ, পটুয়াখালী

............................................................................................................................................................................

অনলাইন ও এসিএম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় পৃষ্ঠপোষকতা চাই

বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা প্রায় হতে দেখা যায়, যেখানে পৃষ্ঠপোষকতার কোনো অভাব হতে দেখা যায় না, যা আমাদের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদই বলা যায়। আমরা চাই সব ধরনের প্রতিযোগিতা অব্যাহত থাকুক এবং সেই সাথে প্রত্যাশা করি এসব প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের প্রকৃত প্রতিভাবানরা বেরিয়ে আসবে, যারা দেশের জন্য রাখবে বলিষ্ঠ ভূমিকা।

সম্প্রতি স্পেনের ভ্যালাডোলিড বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ভ্যালাডোলিড অনলাইন জাজ সাইটে অনুষ্ঠিত ‘মেক্সিকো অক্সিডেন্টাল অ্যান্ড প্যাসিফিক ২০১১’ প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। ইতোপূর্বে এসিএম আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তথা আইসিপিসিতে বাংলাদেশের তরুণরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, আইসিটি খাতে তরুণরা সাফল্যের স্বাক্ষর রাখলেও এ খাতটিতে পৃষ্ঠপোষকতার প্রচন্ড অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ খাতটি যেন এক অবহেলিত খাত। অথচ এ খাতটি বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও সম্মান বয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, এ খাতটিতে যদি পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয় তাহলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের তরুণেরা আরও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে। বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আইসিটিতে পৃষ্ঠপোষকতা করে তা আমরা সবাই প্রত্যাশা করি।

মোতালেব

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস