গ্রান্ড থেফট অটো গেমটি সাধারণত জিটিএ নামেই বেশি পরিচিত। রকস্টার গেম কোম্পানির সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমের তালিকায় জিটিএ গেমটি সবসময় এক নম্বরে থাকে। বিশ্বজুড়ে জিটিএ গেমটির লাখ লাখ ভক্ত বিদ্যমান। জিটিএ-৪ গেমটি অবমুক্ত হওয়ার প্রথম দিনই ৩.৬ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে, যা গেম বিক্রির আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। জিটিএ সিরিজের গেমগুলো মূলত অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ধাঁচের। আমাদের দেশে গেমটির চাহিদা ও প্রসার বেশ ভালোই বলা চলে। এ কথা বলার কারণ হচ্ছে, এই সিরিজের গেমের জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে, বাংলা ডাবিং করা ভার্সনও বাজারে পাওয়া যায়।
জিটিএ সিরিজের শুরু হয় ১৯৯৭ সালে প্রথম গেম গ্রান্ড থেফট অটোর মাধ্যমে। তবে এ সিরিজের মূল সূত্রপাত হয় লন্ডন, ১৯৬১ নামের গেমের মাধ্যমে। ১৯৬১ সালে বের হওয়া এ গেমের ধারাবাহিকতায় ১৯৬৯ সালে আরেকটি গেম বের হয় লন্ডন, ১৯৬৯ নামে। পরে এ গেমের নামকরণ করা হয় গ্রান্ড থেফট অটো। ১৯৯৯ সালে বের হয় গেমটির দ্বিতীয় পর্ব জিটিএ ২। তখনকার জিটিএ সিরিজের গেমগুলো ডস মোডের গেমগুলোর মতো ছিল। কিন্তু নতুন আঙ্গিকে ২০০১ সালে বের হয় জিটিএ ৩ নামের গেমটি। স্যান্ড বক্স টাইপের ওপেন ওয়ার্ল্ডভিত্তিক গেমটির থিম সবার নজর কাড়ে এবং লাখ লাখ ভক্ত তৈরি হয়ে যায় গেমটির। তারপরে গেমের চাহিদা প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় জিটিএ ৩-এর বেশ কয়েকটি এক্সপানশন বের করা হয়। এক্সপানশগুলো হলো- ভাইস সিটি, স্যান আন্ড্রেজ, অ্যাডভান্স, লিবার্টি সিটি স্টোরি ও ভাইস সিটি স্টোরি। গেমগুলোর মধ্যে ভাইস সিটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাজারে জিটিএ ৪ নামে এ এক্সপানশন গেমগুলো বাজারজাত করা হচ্ছে, কিন্তু যারা জানেন না তাদের জন্য বলা হচ্ছে জিটিএ ৪ আলাদা গেম, যা ২০০৮ সালে বের হয়েছিল। জিটিএ ৪-এর দুটি এক্সপানশন বের হয়েছে। একটি হচ্ছে দ্য লস্ট অ্যান্ড ড্যামনেড এবং আরেকটি হচ্ছে দ্য ব্যালাড অব গে টনি। সিরিজটির সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে চায়নাটাউন ওয়ারস, যা বের হয়েছিল ২০০৯ সালে। এরপর আর কোনো গেম বের হয়নি। তাই গেম কেনার সময় খেয়াল করে কিনবেন।
সব ধরনের গেম সবার জন্য নয়। কিছু গেম বানানো হয় ছোটদের জন্য, কিছু কিশোরদের জন্য এবং কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। গেমের সিডি বা ডিভিডির কভারে গেম কনটেন্টের ওপরে একটি রেটিং করা থাকে। গেমে রক্তারক্তির পরিমাণ, উত্তেজনার পরিমাণ, গেমে ব্যবহৃত ভাষা, গেমের চরিত্রগুলোর বেশভুষা ইত্যাদি বিষয়কে মাথায় রেখে গেম কনটেন্টের ওপরে রেটিং করা হয়ে থাকে। এই গেমের রেটিং করা হয়েছে ১৮+, তার মানে এই গেমটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বানানো হয়েছে। ছোটদের হাতে যেন এই গেম না যায় সে ব্যাপারে অভিভাবকরা খেয়াল রাখবেন। গেম কনটেন্ট রেটিংয়ের ওপরে ভবিষ্যতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে, যাতে গেম রেটিং দেখে গেমাররা তাদের জন্য সঠিক গেমটি কিনতে পারেন।
জিটিএ ৩ পর্যন্ত গেমগুলো চালাতে লো কনফিগারেশনের পেন্টিয়াম থ্রি মানের পিসিই যথেষ্ট, কিন্তু জিটিএ ৪-এর পরের গেমগুলো চালাতে হাই কনফিগারেশনের পিসি ব্যবহার করতে হবে। নতুন গেমগুলো খেলার জন্য ২ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোরসমৃদ্ধ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাম, পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টেড ৫১২ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড এবং হার্ডডিস্কে ৫-১৫ গিগাবাইটের মত
কজ ওয়েব