বাস্তবতা ও কল্পনার সংমিশ্রণেও জন্ম হয়েছে অনেক গেমের। পৃথিবীর ইতিহাসে রয়েছে কয়েক ধরনের জাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ককেশীয়, মঙ্গোলীয়, নিগ্রো, অস্ট্রেলীয় ও ক্যাপীয়। কিন্তু গেমের জগতে রয়েছে আরো অনেক জাতি। ওর্ক, ইলফ, নাইটইলফ, আনডেড, গবলিন ইত্যাদি নানারকম কাল্পনিক জাতির আবির্ভাব শুধু গেমের জগতেই সম্ভব। স্ট্র্যাটেজি গেমভক্তরা ওয়ারহ্যামার সিরিজের গেমের সাথে পরিচিত। অন্যান্য স্ট্র্যাটেজি গেমের তুলনায় এ গেমের গেমপ্লে কিছুটা ভিন্ন ধাঁচের এবং গ্রাফিক্স কোয়ালিটিও বেশ ভালোমানের। এ সিরিজের নতুন সংযোজন হচ্ছে স্পেস মেরিন।
ডাউন অব ওয়ার নামের গেমটি দিয়ে ওয়ারহ্যামার ৪০,০০০ সিরিজের যাত্রা শুরু হয় ২০০৪ সালের শেষের দিকে। গেম সিরিজটি ডেভেলপ করার দায়িত্বে রয়েছে রেলিক এন্টারটেইনমেন্ট এবং পাবলিশ হয় টিএইচকিউ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায়। প্রথম গেমটির যাত্রাপথে বের হয়েছে তিনটি এক্সপানশন প্যাক। এগুলো হলো- উইন্টার অ্যাসল্ট, ডার্ক ক্রুসেড ও সোলস্টর্ম। ২০০৯ সালে থেকে শুরু হয়েছে এ সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ডাউন অব ওয়ার ২। এতে রয়েছে দুটি এক্সপানশন। একটি হচ্ছে ক্যাওস রাইজিং ও আরেকটি রেট্রিবিউশন। মজার ব্যাপার হচ্ছে স্ট্র্যাটেজি থেকে বের হয়ে এ সিরিজ প্রবেশ করেছে থার্ড পারসন শুটিং গেমের ধাঁচে। স্পেস মেরিন গেমে ক্যাপ্টেন টাইটাসের চরিত্রে খেলতে হবে। তার দায়িত্ব হবে আল্ট্রা মেরিনদের এক বাহিনী নিয়ে ওয়ার্ল্ড অব গ্রাইয়াতে অভিযান চালানো, যেখানে ঘাঁটি গেড়ে বসেছে ওর্কদের বিশাল এক দল।
যারা এ গেমের স্ট্র্যাটেজি ভাবটা পছন্দ করতেন তাদের জন্য নতুন গেমটি হতাশাব্যঞ্জক হতে পারে, কিন্তু যারা থার্ড পারসন শুটিং গেম পছন্দ করেন তাদের পোয়াবারো। কারণ গেমপ্লে থেকে শুরু করে কাহিনী ও অন্যান্য কিছু বিষয় বেশ আলাদা ও আনকোরা। গেমে ক্যাপ্টেন টাইটাসের সহযোগী হিসেবে আরো থাকবে টাইটাসের পুরনো সাথী সিডোনাস, লিনড্রোস ও সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মিরা। টাইটাসের দল নিয়ে লড়াই করতে হবে ইনকুইসিটর ড্রাগন, নেমেরথ, করপোরাল অ্যান্টিওক ও ওর্কদের সর্দার ওয়ারবস গ্রিমস্কালের সাথে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে কিছু ক্লাস রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- ট্যাকটিক্যাল মেরিন/ক্যাওস স্পেস মেরিন, যারা মিলি ও রেঞ্জ দুই ধরনের অ্যাটাকে পারদর্শী, ভারি অস্ত্রে সজ্জিত ডেভাস্টেটর মেরিন/ক্যাওস হ্যাভোক, যারা রেঞ্জ ইউনিট হিসেবে বেশ ভালো এবং ক্লোজ কমব্যাট বা মিলি অ্যাটাকের জন্য স্পেশাল ইউনিট অ্যাসাউল্ট মেরিন/ক্যাওস র্যা লপটর। গেমে মিলি উইপনগুলোর মধ্যে রয়েছে- কমব্যাট রাইফেল, চেইনসোর্ড, গোল্ডেন রেলিক চেইনসোর্ড, পাওয়ার সোর্ড, পাওয়ার এক্স ও থান্ডার হ্যামার। রেঞ্জ উইপনের মধ্যে রয়েছে- বোল্ট পিস্তল, বোল্টার, গোল্ডেন রেলিক বোল্টার, ক্রাকেন বোল্টার, স্টেকার বোল্টার, হেভি বোল্টার, স্টর্ম বোল্টার, ভেঞ্জেন লাউঞ্চার, লাসক্যানন, মেল্টগান, প্লাজমা গান, প্লাজমা পিস্তল, প্লাজমা ক্যানন ও অটোক্যানন।
এ সিরিজের পুরনো স্ট্র্যাটেজি ধাঁচের গেমগুলো মাঝারি মানের পিসিতে ফুল ডিটেইলসে খেলা যেত, কিন্তু নতুন এ গেমটি থার্ড পারসন হওয়ায় গেমের সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গেমের মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে- ইন্টেল বা এএমডির ২.০ গিগাহার্টজের ডুয়াল কোর প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাসম, ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড ও ২০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস। রিকমেন্ডেড রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে- কোয়াড কোর প্রসেসর এবং ৫১২ মেগাবাইট মেমরির এএমডি রাডেওন ৫৭৫০ বা এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ২৬০ গ্রাফিক্স কার্ড।
কজ ওয়েব