স্থির ছবি এডিটিংয়ের জন্য বরাবরই অ্যাডোবি ফটোশপ প্রশংসিত হয়ে এসেছে। এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য একজন ইমেজ এডিটরকে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার সুযোগ দেয়। ছবির গুণগত মান বজায় রেখে এর বহুমুখী ব্যবহার ছবিকে ভিন্নমাত্রা এনে দিতে পারে। এর পলিগন ছবি এডিট করার কাজকে অনেক সহজ করেছে বলেই বিশ্বে ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার বলতে সবাই অ্যাডোবি ফটোশপকেই বোঝে। কিন্তু এই সফটওয়্যারটির পরিপূর্ণ ব্যবহার না জানার কারণে অনেক ইমেজ এডিটরকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে এসব ভুল চোখে ধরা না পড়লেও প্রফেশনাল ইমেজ এডিটরদের কাছে এগুলো ক্ষমার অযোগ্য।
এ পর্বে অ্যাডোবি ফটোশপে ইমেজ এডিট করার সময় সংঘটিত কিছু ভুল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো আমরা হরহামেশাই ছবি এডিট করতে গিয়ে করে থাকি।
সিলেকশনকে দিন মসৃণতা : বেশ কিছুদিন আগে একটি বিলবোর্ডে একটি সাবানের বিজ্ঞাপনে ভেজা চুলে মডেলিং করেছেন একজন মডেল। মূল ছবি থেকে মডেলকে এক্সট্রাক্ট করে অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডে বসানো হয়েছিল সেই বিলবোর্ডের ছবিতে। কিন্তু ভেজা চুল ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে না মেলাতে বোঝা যাচ্ছিল ছবিটি এডিট করা হয়েছে। এ ধরনের সমস্যা আমাদের প্রায়ই মোকাবেলা করতে হয়। দুটি উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। প্রথমটি সিলেকশনের সময় feathering করা। আমরা পলিগনাল ল্যাসো টুল বা পেন টুল যেটা দিয়েই সিলেকশন করি না কেন, সিলেকশন পুরোপুরি মসৃণ হয় না। কোনো কোনো অংশে কোণা থেকে যায়। এর জন্য সিলেকশন শেষ হলে feathering করুন। এটি করতে ট্যাব থেকে Select>Feather-এ ক্লিক করে এটি ২ বা ৩ পিক্সেলে করলে সিলেকশনে কোনো ভাঁজ নজরে আসবে না। Feather করার পরিমাণ নির্ভর করবে ছবিটি কত রেজ্যুলেশনের তার ওপর। এটি ৪ পিক্সেলের বেশি করার প্রয়োজন নেই। বেশি দিলে কিছু বাইরের অংশ সিলেকশনের মধ্যে চলে আসতে পারে। তাই পরিমিত করুন।
দ্বিতীয় ধাপ হলো ছবিকে এক্সট্রাক্ট করে যেই ব্যাকগ্রাউন্ডে বসাবেন সেই ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে এই সিলেক্টেড অংশটুকুকে মিলিয়ে দেয়া। এর জন্য টুলবক্স থেকে ব্লার করার টুল দিয়ে পেস্ট করা অংশটির Edgeগুলো মসৃণ করুন। লক্ষ রাখবেন, যেনো সঠিক লেয়ার সিলেক্টেড অবস্থায় থাকে।
পেন সিলেকশনকে প্রাধান্য দিন : প্রায় সবাই সিলেকশনের জন্য পেন সিলেকশনকে এড়িয়ে চলেন। ল্যাসো টুলের সাহায্যে সিলেকশন তুলনামূলক সহজ, কিন্তু এর সাহায্যে সিলেকশন কখনোই ততটা সমৃণ করা সম্ভব নয় যতটা পেন সিলেকশনের মাধ্যমে করা সম্ভব। পেন সিলেকশনে অত্যন্তে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ভেক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। জ্যামিতিকভাবে সিলেকশনটি জটিল হলেও একটু চর্চার মাধ্যমে অনেক সহজভাবে নিয়ে আসা সম্ভব। পেন সিলেকশনের সময় লক্ষ রাখতে হয় এই সিলেকশনের দূরত্ব। পেন টুলের মাধ্যমে দুটি বিন্দু নির্দিষ্ট করতে হয়, যাতে একটি সরলরেখার মতো তৈরি হয়। এরপর তৃতীয় আরেকটি বিন্দু নিয়ে সেটিকে প্রয়োজনমতো কার্ভ করালে প্রথম দুটি বিন্দুর মাঝের সরলরেখাটি বাঁক নেবে। এভাবে পরবর্তী অংশগুলো একইভাবে বিন্দু দিয়ে তৈরি করে সিলেকশন পূর্ণ করতে হবে। প্রথমে কষ্টসাধ্য হলেও এর উপকারিতা অনেক তা ব্যবহার করলেই বুঝা যাবে।
দৃষ্টিকোণ সম্পর্কিত সমস্যা :
একটি ছবি এডিট করার আগে কিছু বিষয় লক্ষ করতে হবে। যিনি ছবিটি তুলেছেন, তার ক্যামেরার পজিশন ও ভিউ অ্যাঙ্গেল কেমন ছিল, এককথায় একে Perspective বলা হয়। ছবি এডিট করার সময় Perspective look-কে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনো ছবিতে আলাদা কোনো অবজেক্ট যোগ করতে চাইলে সেই অবজেক্টটি যেন একই Perspective-এ ছবি তোলা হয়ে থাকে, তার দিকে লক্ষ রাখতে হবে। ধরুন, একটি ছবি 28 mm লেন্সের সাহায্যে তোলা হয়েছে। এর সাথে যদি 300mm লেন্সের তোলা কোনো ছবি অ্যাডজাস্ট করতে দেয়া হয়, তাহলে সেটি কখনই মানানসই হবে না। ঠিক একইভাবে কোনো একটি ল্যান্ডস্কেপ ছবি যে অ্যাঙ্গেলে তোলা হয়ে থাকে, সেটিতে অন্য কোনো অবজেক্ট যোগ করতে চাইলে প্রায় একই অ্যাঙ্গেলে তোলা ছবি যোগ করতে পারেন, অন্যথায় দৃষ্টিকোণ সম্পর্কিত সমস্যায় পড়বেন। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে এডিট করার সময় অবজেক্টের আকৃতির ওপরও লক্ষ রাখা উচিত, যাতে অসামঞ্জস্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
রংয়ের সঠিক ব্যবহার :
চিত্র-১
অ্যাডোবি ফটোশপের কালার ইফেক্ট অনেক সুন্দরভাবে করা সম্ভব। এর জন্য RGB কালার মোড ব্যবহার না করে CMYK ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বিশ্বের যত রং আছে, তা এই চারটি রংয়ের বিভিন্ন কম্বিনেশনে পাওয়া সম্ভব। এখানে C-Cyan, M-Magenda, Y-Yellow, K-Black বোঝানো হয়। এখনকার প্রিন্টিং জগতে এই CMYK ব্যবহার হয়ে আসছে। এখন কোনো পারফেক্ট কালার পেতে হলে পারফেক্ট কম্বিনেশন করে নিতে হবে। তা না হলে প্রকৃত রং পাওয়া যাবে না। ধরুন আপনি পরিপূর্ণ কালো রং নিয়ে কাজ করতে চাইছেন, কিন্তু এর জন্য CMYK-তে শুধু K-এর মান বাড়ালে চলবে না। বাকিগুলোর মান একটি নির্দিষ্ট পর্যায় নিয়ে গেলে গাঢ় কালো রং পেতে পারেন। চিত্র-১ দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন K-100 দেবার পরও পুরো কালো রং আসেনি। এটি ধূসর একটি রং প্রদর্শন করছে। প্রকৃত কালো রংয়ের জন্য Cyan = 90, Magenda = 60 এবং Yellow-এর মান 30 রাখতে হবে। তবেই K100-এর সাথে মিশ্রিত হয়ে একটি পরিপূর্ণ কালো রং দেখাতে সক্ষম হবে। ঠিক একইভাবে বাকি রংও শুধু একটির অংশের ওপর নির্ভর করে না।
চিত্র-২
এবার আসা যাক রংধনু প্রসঙ্গে। অনেকেই গ্রাডিয়ান্ট টুল ব্যবহার করে বিভিন্ন কালারের সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করেন। তবে অনেক চেষ্টা করেও রংধনুর মতো রংয়ের গ্রাডিয়ান্ট তৈরি করতে পারেন না। এটি একটু কৌশলী ব্যাপার। শুধু রং পছন্দ করলেই হবে না। এর কম্বিনেশন জানতে হবে। গ্রাডিয়ান্ট সবসময় হালকা রং থেকে গাঢ় রংয়ের তৈরি করুন। তবে যেখানে গ্রাডিয়ান্ট প্রয়োগ করবেন, তার সাবজেক্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর নির্ভর করবে কী ধরনের গ্রাডিয়ান্ট প্রয়োগ করা হবে। গ্রাডিয়ান্টের রং পছন্দ করার সময় একই রংয়ের গাঢ় অংশ এবং হালকা অংশ নির্বাচন করুন। অতিরিক্ত রংয়ের ভিন্নতা দৃষ্টিকটু হয়। তাই রং নির্বাচনে কন্ট্রাস্টিভ রং একত্রে না দেয়াই ভালো। চিত্র-২-এ একটি রংধনুর রংয়ের গ্রাডিয়ান্ট দেখানো হলো।
শর্টকাট কী ব্যবহার :
অ্যাডোবি ফটোশপে কাজ করার সময় শর্টকাট কী অনেকভাবে সহায়তা করে। প্রতিটি কাজের কিছু শর্টকাট কী থাকে, যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সে টুল ব্যবহার করা সম্ভব হয়। বিভিন্ন টুল বা পলিগন ব্যবহারের সময় শর্টকাট কী অনেক সহায়তা করে। যেমন ছবি বড় করে কাজ করার সময় তা হ্যান্ড টুলের মাধ্যমে সরাতে হয়। স্পেস বার চেপে এই কাজটি সহজেই করা সম্ভব, যা অন্য উপায়ে ঝামেলা অনেক বেশি।
ছবিতে লেখার ব্যবহার :
চিত্র-৩
বরাবরই অ্যাডোবি ফটোশপে বিভিন্ন ফন্ট ও স্টাইল রয়েছে, যা লেখার স্টাইল ও সৌন্দর্য বাড়াতে সহায়তা করে। বিভিন্ন টেক্সট ইফেক্ট ব্যবহার করার জন্য ফটোশপে অনেক পলিগন ব্যবহার হয়। তবে ডিজাইনিং এবং লেখার জন্য ভেক্টরভিত্তিক প্রোগ্রাম অ্যাডোবি ফটোশপ থেকে অনেক উন্নত সেবা দিতে পারে। যেমন- কোয়ার্ক এক্সপ্রেস, অ্যাডোবি ইলাস্ট্র্যাটর। এসব প্রোগ্রামে টেক্সট ছবির বডিতে অনেক স্পষ্টতা নিয়ে আসে, যা ফটোশপ পারে না। এর মূল কারণ ভেক্টরভিত্তিক টাইপিং। ফটোশপ সাধারণত রিস্টোরভিত্তিক প্রোগ্রাম। এর জন্য যদি ছবির বডিতে স্পষ্ট নিখুঁত লেখার প্রয়োজন পড়ে তাহলে তা রিস্টোরভিত্তিক প্রোগ্রামে না করে ভেক্টরভিত্তিক প্রোগ্রামে তৈরি করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন বাটন বা লোগো তৈরি করতে প্রথমে ভেক্টরভিত্তিক প্রোগ্রামের সহায়তা নিতে হবে। লোগো বা আইকন তৈরি করতে হলে অনেক ক্ষুদ্র জায়গায় স্পষ্ট অক্ষর দিয়ে তৈরি করতে হবে। যাতে আইকন ছোট হলেও তার ভেতরের প্রতিটি অংশ স্পষ্ট হয়। আর এ কারণেই মুদ্রণ শিল্পে ভেক্টরভিত্তিক প্রোগ্রামের চাহিদা অনেক। চিত্র-৩-এ ভেক্টরভিত্তিক তৈরি করা লোগো এবং রিস্টোরভিত্তিক তৈরি করা লোগোর পার্থক্য দেখানো হচ্ছে।
আলোর উৎসর প্রতি নজর দেয়া :
কোনো ছবিতে আলাদা কোনো অবজেক্ট যোগ করার সময় লক্ষ করতে হবে মূল ছবির আলোর উৎস কোথা থেকে আসছে। সেই অনুযায়ী অবজেক্ট নির্বাচন করতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে মিলতে হলে আলোর উৎস প্রায় একইরকম হতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে না মেলাতে পারলে ফিল্টার ট্যাব থেকে লাইটিং ফিল্টার প্রয়োগ করেও মিলিয়ে নিতে পারেন। যদি আলোর উৎস অবজেক্টের পেছন থেকে এসে থাকে, তবে অবজেক্টের লাইট কন্ট্রোল করে নিতে হবে। এটি লেভেল কন্ট্রোলের মাধ্যমে করা সম্ভব। অবজেক্টের ব্রাইটনেস ও কন্ট্রাস্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এর লাইটিং নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
লেয়ার ও মাস্কিংয়ের ব্যবহার :
একটি ছবি এডিট করার জন্য অনেক ধাপ পেরোতে হয়। প্রতিটি সুনির্দিষ্ট ধাপের জন্য আলাদা আলাদা লেয়ার ও ফোল্ডার তৈরি করতে পারেন। যাতে করে ওই অংশটুকুসহ এবং ছাড়া এডিট করা ছবি দেখতে পারে। এবং এর সাথে মাস্কিংয়ের সাহায্য নিতে পারেন। মাস্কিং এমন একটি সুবিধা, যার মাধ্যমে খুব সহজেই কোনো নির্দিষ্ট লেয়ারে এডিট করার মুহূর্তগুলো আনমাস্ক করে দেখা সম্ভব। বিশেষত কোনো নির্দিষ্ট অংশ এডিট করা হলে এডিটের সময়ই আনমাস্ক করা সম্ভব, যা আন্ডু অপশন থেকে অনেক উন্নত।
সাদা-কালো করার প্রক্রিয়া :
চিত্র-৪
একটি কালার ছবিকে সাদা-কালো করে দেবার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। প্রায় সবাই Desaturate-এর সাহায্যে রঙিন ছবিকে সাদা-কালোতে রূপান্তের করে থাকেন। কিন্তু একটি রঙিন ছবিকে Desaturate করলে তা ঠিকই সাদা-কালো হয়, কিন্তু এর কন্ট্রাস্ট ঠিকমতো থাকে না। একটু ফিকে হয়ে যায়। বিভিন্ন কালারের ডেপথ সঠিকভাবে ছবিতে ফুটে ওঠে না। এর জন্য প্রয়োজন মনোক্রমিক কনভারশন। এখনো অনেক ফটোগ্রাফার সাদা-কালোতে কাজ করেন। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা আসাতে রঙিন ছবির বদলে সাদা-কালোর পরিমাণ কমে গেছে। তারা প্রায়ই ছবি রঙিন তুলে সাদা-কালো করে নিতে চান। কারণ সাদা-কালো ছবিতে যে কন্ট্রাস্টিভ ব্যাপার তুলে ধরা যায়, তা অন্য কিছুতে পারা যায় না। তারা মনোক্রমিক করে দেখতে পারেন এবং সেই সাদা-কালো ফিল্মের মতোই কন্ট্রাস্টিভ ছবি পাবেন। মনোক্রমিক করতে Image>Adjustments>Channel mixer-এ ক্লিক করুন। এরপর Monocrome চেকবক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে নিন। স্পষ্টতই বুঝতে পারবেন Desaturate-এর তুলনায় মনোক্রম কতটা কন্ট্রাস্টিভ Black & White Conversion করতে পারে। চিত্র-৪-এ দেখতে পাচ্ছেন Desaturate করা এবং Monocrome করা ছবির পার্থক্য।
গ্রিডলাইনের পরিপূর্ণ ব্যবহার :
আমাদের চোখ অনেক সময় পুরোপুরি হরাইজন্টাল এবং ভার্টিক্যাল অবস্থান নির্ণয় করতে পারে না। তাই কখনো কখনো ছবিতে কোনো অবজেক্ট বা গ্রাডিয়ান্ট বসানোর সময় সঠিক অবস্থানে তা বসানো সম্ভব হয় না। এই সমস্যার চমৎকার সমাধান হলো গ্রিডলাইনের ব্যবহার। এই সহজ অপশন ব্যবহারে কোনো পারস্পেকটিভ লুক বাদ যাবে না। ছবিতে অন্যান্য বস্ত্তর অবস্থান অনুযায়ী অবজেক্ট বসানোর জন্য গ্রিডলাইনের সাহায্য নিতে পারেন। গ্রিডলাইন সাধারণত একটি গ্রাফ পেপারের মতো অসংখ্য গ্রিড দেখাবে, যার X এবং Y অক্ষ থাকবে। বড় ঘরের পাশাপাশি অনেক হালকা গ্রিড থাকে, যা ছোট ছোট চতুর্ভূজ তৈরি করে। এতে অনেক সহজে এলিমেন্ট স্থাপন করা সম্ভব হয়। ছবি বাঁকা থাকলেও এর মাধ্যমে সহজেই চোখে পড়বে। সে ক্ষেত্রে Free transform-এর মাধ্যমে ছবিটিকে সঠিক শেপে নিয়ে আসতে পারেন। কোনো ছবিতে গ্রিডলাইন প্রদর্শনের জন্য ভিউ ট্যাব থেকে Show>Grid-এ ক্লিক করুন। এটি অনেক সময় অনেক কাজে লাগে, যা অন্য কোনো অপশনের সাহায্যে করা যায় না। কাজ শেষে গ্রিড ইনভিজিবল করে দিলে পুরো ছবিটি আগের মতো দেখা যাবে।
ছবি প্রিন্টিংয়ে ডিপিআইয়ের ব্যবহার :
চিত্র-৫
আমরা সাধারণত মনিটরের স্ক্রিনে যে ছবি দেখি তা হয়ে থাকে ৭২ ডিপিআইয়ের। একটি ছবি দেখার সময় এর থেকে বেশি ডিপিআইয়ের প্রয়োজন হয় না। তাই ছবি এডিট করার সময় সাধারণত ৭২ ডিপিআই ব্যবহার করা হয়। ডিপিআই বলতে Dot Per Inch বোঝায়। অর্থাৎ একটি ছবিতে কতটুকু ঘনত্বে পিক্সেল থাকবে তা ডিপিআই থেকে বোঝা যায়। ছবি যখন প্রিন্ট করা হয়, তখন প্রিন্টার তার ক্ষমতা অনুযায়ী ডিপিআইতে প্রিন্ট করে। তাই সূক্ষ্ম প্রিন্ট পাবার জন্য অন্তেত ৩০০ ডিপিআইয়ের ছবি হওয়া বাঞ্ছনীয়। মনিটরে সাধারণত ৭২ ডিপিআই এবং ৩০০ ডিপিআই ছবির মাঝে পার্থক্য বোঝা যায় না। কিন্তু প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ৭২ ডিপিআই অনেক খারাপ মানের আউটপুট দেয়। চিত্র-৫-এ ৭২ ডিপিআইয়ে প্রিন্ট করা এবং ৩০০ ডিপিআইয়ে প্রিন্ট করা দুটো ছবি পাশাপাশি দেখানো হয়েছে। যার থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ৩০০ ডিপিআইয়ের ছবির আউটপুট অনেক সূক্ষ্ম।
অ্যাডোবি ফটোশপ এমন একটি সফটওয়্যার, যার মাধ্যমে অনেক গ্রাফিক্স এডিট করা সম্ভব। এটি প্রফেশনালদের হাতে অনেক সূক্ষ্ম কাজের আউটপুট দেয় আর এর ব্যবহার না জানলে তা আশানুরূপ আউটপুট দেয় না। তাই এসব ছোটখাটো ট্রিকস খাটালে ফটোশপে আরো সহজে নির্ভুলভাবে ছবি এডিট করা সম্ভব হবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক ashraf.ical@gmail.com