• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের চাল-চলনে, আচার-আচরণে যেমন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় বা পরিবর্তন করতে হবে, তেমনই কর্মজীবনে আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে কাজের ধারা, কাজ সম্পাদানের উপাদানগুলো। যদি এর ব্যত্যয় বা ব্যতিক্রম ঘটে তাহলে সমসাময়িক যুগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিটকে পড়তে হবে, বিশেষ করে কর্ম পরিবেশে। পোশাক-আশাক বা আচার-আচরণে পিছিয়ে পড়লে তেমন ক্ষতি না হলেও কাজ-কর্মে অর্থাৎ পেশাগত ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়লে যুগ থেকে তথা আধুনিক বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়তে হবে। শুধু তাই নয়, পেশাগত ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়লে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্ব থেকে ছিটকে পড়তে হবে, যার অর্থ আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে। প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়ার কারণে এ বিষয়টি এখন চরমভাবে বাস্তবতা পেয়েছে। অবশ্যই এ বাস্তবতা অনেক দেরিতে হলেও কিছুটা উপলব্ধি করতে পেরেছে আমাদের দেশের সরকারি পর্যায়ের নীতি-নির্ধারণী মহল। আর এ কারণে সরকার এর কর্মকর্তাদেরকে ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দিয়ে সার্টিফিকেট সরবরাহ করবে।

সরকার আগামী চার মাসের মধ্যে দেশের ২০ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে ডিজিটাল সিগনেচার প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষত করার উদ্যোগ নেয়, যা নিঃসন্দেহে এক প্রশংসনীয় কর্মসূচি। পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত এ প্রকল্প শেষ হলে ধারাবাহিকভাবে দেশের সব সরকারি কর্মকর্তা এ সুবিধা পাবেন। এর ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফাইল দেয়া-নেয়া আরও নিরাপদ হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যেখানেই অবস্থান করুন না কেনো, সেখান থেকেই দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ঘোষিত হওয়ায় আইসিটি বোদ্ধামহল ডিজিটাল সিগনেচারের প্রত্যাশা করেছিল, কিন্তু তার গুরুত্ব বুঝতে একটু সময়ই নিল সরকার। তারপর সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এ কর্মসূচি হাতে নেয়ায়।

ডিজিটাল সিগনেচার দেয়ার এ কাজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে সফটওয়্যার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ডাটা এজ। এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন সরকার নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রনিক সনদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটির (সিসিএ) নিয়ন্ত্রক জি ফখরুদ্দিন আহমদ ও ডাটা এজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আসিফুজ্জামান।

প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় পর্যায়ে এসব কর্মকর্তাকে ডিজিটাল সিগনেচার ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ২৬০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল সিগনেচার দেয়ার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হলে ফাইল দেয়া-নেয়া যেমন নিরাপদ হবে, তেমনি সরকারি কর্মকর্তারা যেখানেই অবস্থান করুন না কেনো, সেখান থেকেই দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

এর ফলে অফিসে সাময়িকভাবে কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে সেবা গ্রহীতাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। অর্থাৎ এর ফলে সরকারি সেবার মান বাড়বে। এর সাথে সরকারি কাজের গতি বাড়বে। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে হলে ডিজিটাল সিগনেচার হলো আরেকটি উদ্যোগ, যা বাস্তবায়ন করা দরকার।

আমরা চাই ডিজিটাল সিগনেচার কার্যক্রমে ধারাবাহিকভাবে দেশের সব সরকারি কর্মকর্তাকে আনা হবে। শুধু ২০ হাজার সরকারি কর্মকর্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না ডিজিটাল সিগনেচার।
ফয়েজুল্লাহ খান চৌধুরী
শেখঘাট, সিলেট

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিটিআরসির নজরদারি কতটুকু যৌক্তিক?

সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হলো ফেসবুক। যাদের ইন্টারনেট সংযোগ আছে অথচ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই, বোধ করি এমন ব্যবহারকারী খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফেসবুকের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সবার সাথে সশরীরে উপস্থিত না থেকে খুব সহজে ও অল্প সময়ের মধ্যে যোগাযোগ রাখা যায়। ফেসবুক আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত ও সহজ করার পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক প্রভাবও ফেলেছে। অর্থাৎ অপব্যবহার হচ্ছে, যার দৃষ্টান্ত রয়েছে আমাদের চারপাশে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সামাজিক পরিম-লে। ইদানীং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিত সরকার এখন কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কথিত অপব্যবহার রোধের জন্য।

কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য চলতি বছরের এপ্রিলে ১৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ বিশাল অঙ্কের প্রকল্পটি হাতে নিলেও এখন পর্যমত্ম সে কাজের কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। সরকারসহ অনেকেই মনে করছেন, সম্ভবত চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর নানাবিধ অপব্যবহার বেড়েই চলেছে।

এগুলোর মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় কিংবা বিস্তৃত না হয়, সেজন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ওপর কড়া নজর রাখছে বিটিআরসি। বাংলাদেশের বর্তমান অবকাঠামোর প্রেক্ষাপটে বলা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করার মতো উন্নত কোনো কারিগরি ব্যবস্থা না থাকায় এক্ষেত্রে বিটিআরসির পক্ষে আন্তর্জাতিক গেটওয়েগুলোর মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা বক্স বন্ধ করে দেয়া ছাড়া কিছুই করতে পারে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণের (ফিল্টারিং) প্রকল্পের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যমত্ম বিটিআরসি কর্তৃপক্ষে পক্ষে ফেসবুক বা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাথে পেরে ওঠা সম্ভব নয়। একথা ঠিক, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি প্রতিরোধ করা সরকারের দায়িত্ব। সরকারের উচিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে যাতে কেউ খারাপ কিছু করতে না পারে, তার ওপর নজর রাখা। বিশেষ করে ব্যক্তিগত জীবনে মানহানিকর ও ব্যবসায়িক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ক্ষতিসাধন যাতে কেউ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করা।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণের বা ফিল্টারিংয়ের নামে রাজনীতিবিদদের কার্যকলাপের ওপর নজরদারির মতো হীন কাজে যাতে ব্যবহার না হয়, তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে বিটিআরসিকে, যা হবে বিটিআরসির জন্য এক কঠিন কাজ। আমরা চাই বিটিআরসি সেই কঠিন কাজটি সতর্কার সাথে করবে যেকোনো মূল্যে। এক্ষেত্রে বিটিআরসি কারও সাথে কোনো ধরনের সমঝোতা বা কম্প্রোমাইজ করবে না।

শাহআলম
ব্যাংক কলোনি, সাভার
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------

জাপানে কর্মরত বাংলাদেশী আইটি
পেশাজীবীদের সাধুবাদ

গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক বাজারে সফটওয়্যার রফতানি করে নিজেদেরকে তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আউটসোর্সিংয়ে বেশ সফলতার পরিচয় দিয়ে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
লক্ষণীয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার রফতানি হলেও জাপানে তেমনভাবে সফটওয়্যার রফতানি করতে পেরেছে বলে শোনা যায়নি।

সম্প্রতি সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিল্পে বিনিয়োগে জাপানের আইটি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নেক্সট ইওর নেক্সট আইটি ডেসটিনেশন শীর্ষক এক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সহযোগিতা করেছে টোকিও চেম্বার অব কমার্স (টিসিসিআই) ও জাপানে কর্মরত বাংলাদেশী আইটি পেশাজীবীরা। এতে জাপানের শতাধিক আইটি কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাপানের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ অনুষ্ঠান আয়োজনে জাপান বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপানে কর্মরত বাংলাদেশী আইটি পেশাজীবীদের সাধুবাদ জানাই।

মাসুদুর রহমান
স্টেশন রোড, রাজবাড়ী
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস