লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
আহমেদ ওয়াহিদ মাসুদ
মোট লেখা:৯৮
লেখা সম্পর্কিত
ফটোশপ টিউটোরিয়াল
ছবির বিষয়বস্ত্ত, ধরন ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে কী ধরনের এডিট করতে হবে। ছবি বা ইমেজ এডিট করার অনেক সফটওয়্যার থাকলেও ফটোশপে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত। ফটোশপ সিসি হলো এর সবচেয়ে আধুনিক ভার্সন। এডিট করতে হলে সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহার করাই ভালো। কারণ নতুন ভার্সনগুলোতে নতুন সব এডিটিং টুল যোগ করা হয়। তবে এ লেখায় দেখানো হয়েছে ফটোশপ সিএস ৬ দিযে ছবি এডিটের কৌশল।
ছবি এডিটের ক্ষেত্রে খুবই কমন একটি বিষয় হলো ছবি থেকে নির্দিষ্ট অবজেক্ট রিমুভ করা। ফটোশপ দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে অবজেক্ট রিমুভ করা হয়ে থাকে। তবে ইউজারের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে কোন উপায়ে এডিট করা ভালো। এ লেখায় দেখানো হয়েছে কীভাবে একজনের ছবিতে আরেকজনের ফেস বসানো যায়।
হেড রিমুভ : এটি একটি ভিন্ন ধরনের রিমুভ এডিটিং। ছবি থেকে মানুষের মাথা সম্পূর্ণ মুছে দেয়া হবে। প্রাথমিকভাবে এটি সহজ মনে হতে পারে। হেড রিমুভ আসলেই সহজ একটি কাজ। তবে এডিটের কাজ যথাযথভাবে করাটাই মূল চ্যালেঞ্জ। মূল ছবি হিসেবে জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা টেন্ডুলকারের ছবিকে (চিত্র-১) সিলেক্ট করা হয়েছে। এখানে চিত্রে মাথা রিমুভ করা হবে এবং তার জায়গায় উপযুক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়া হয়েছে।
প্রথমে চিত্রটি ওপেন করুন। এখন প্রথম কাজ হলো মূল চিত্র থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করা। এর জন্য ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল দিয়ে সম্পূর্ণ বডি সিলেক্ট করে ৫ পিক্সেল ফেদার করে সাদা কালার দিয়ে ফিল করলেই হবে (চিত্র-২)। এবার ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার ডুপ্লিকেট করুন, যাতে তা এডিট করা যায়। ডুপ্লিকেট করার জন্য নির্দিষ্ট লেয়ারটি সিলেক্ট করে ও রাইট বাটন ক্লিক করলে একটি মেনু আসবে। সেখান থেকে ডুপ্লিকেট লেয়ার অপশন সিলেক্ট করা যায়। অথবা সহজ উপায় হলো নির্দিষ্ট লেয়ার সিলেক্ট করে CTRL+J চাপা। এবার মাথার অংশ সিলেক্ট করার পালা। সিলেক্ট করার জন্য ফটোশপে বেশ কয়েক ধরনের টুল আছে। যেমন- ল্যাসো টুল, পলিগোনাল ল্যাসো টুল ও ম্যাগনেটিক ল্যাসো টুল। এখানে ল্যাসো টুল দিয়ে ফ্রিহ্যান্ড সিলেক্ট করা যায়। পলিগোনাল ল্যাসো টুল দিয়ে লিনিয়ার পথে সিলেক্ট করা যায়। আর ম্যাগনেটিক টুলটি আসলেই মজার। এটি কোনো এজকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে সিলেক্ট করে। স্বয়ংক্রিয় টুল হিসেবে এটি খুব প্রয়োজনীয় একটি সিলেকশন টুল। তবে যথাযথ এডিটের জন্য সবসময় অটোমেটিক টুলগুলোর ওপর নির্ভর করা ঠিক নয়। তবে এখন পলিগোনাল ল্যাসো টুল ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সিলেক্ট করার সহজ উপায় হলো L চেপে ধরা। এবার একটি রাফ সিলেকশন করার পালা। মাথার ওপরের দিকে ইচ্ছেমতো সিলেক্ট করলেই হবে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে চুলসহ মাথার পুরোটাই যেন সিলেকশনে আসে। কিন্তু নিচের দিকে পুরোটা সিলেক্ট করা যাবে না। খেয়াল করলে দেখা যাবে গালের দুই পাশে কলার স্পর্শ করেছে। নিচের দিকের সিলেকশন এই দুই পয়েন্ট পর্যন্ত থাকবে। এবার ব্রাশ টুল সিলেক্ট করুন। B চেপে সরাসরি এ টুল সিলেক্ট করা যাবে। এবার ক্যানভাসে মাউস পয়েন্টার রেখে রাইট বাটন ক্লিক করলে ব্রাশ টুলের অপশন আসবে। যেকোনো টুলের অপশন আনতে হলে টুলটি সিলেক্ট করে ক্যানভাসে মাউস পয়েন্টার রেখে রাইট বাটন ক্লিক করতে হয়। এবার অপশন থেকে একটি বড় ব্রাশ সিলেক্ট করুন এবং হার্ডনেস ০% ও অপাসিটি ৮০%-এ রাখুন। ব্রাশের কালার কালো থাকবে। এবার সিলেক্টেড অংশে ব্রাশ ব্যবহার করে কালো করে দিন। এবার ছবিটি জুম করে পেন টুল সিলেক্ট করুন। পেন টুলের শর্টকার্ট কি হলো P। এবার কলারের ভেতরের যে অংশ মুছে তা সিলেক্ট করতে হবে। এজন্য পাথটি অনুসরণ করে পয়েন্ট করে ক্লিক করুন এবং শার্টের ওপরে মাথার অংশটুকু মুছে দিন (চিত্র-৩)।
খুব বেশি নিখুঁত হওয়ার দরকার নেই। সিলেকশন শেষ হয়ে গেলে প্রথম পয়েন্টের সাথে শেষ পয়েন্টটি লিঙ্ক করে দিন। এবার পাথ ইউন্ডো ওপেন করুন। এজন্য উইন্ডো→পাথ অপশন সিলেক্ট করুন। সিলেকশনের লেয়ারটির নাম ‘work path’ রাখলে ভালো হয়। এবার CTRL বাটন চেপে লেয়ারের আইকনটি ক্লিক করলে তা সিলেকশনের সাথে যোগ হয়ে যাবে। এবার লেয়ার উইন্ডোটি ওপেন করুন। এজন্য উইন্ডো→লেয়ারস অপশনে ক্লিক করুন। নতুন একটি লেয়ার তৈরি করুন এবং নাম দিন ‘white’। এবার সিলেকশনের অংশটুকু ব্রাশ টুল ব্যবহার করে কালো করে দিন (চিত্র-৪)। খেয়াল রাখতে হবে, আগেরবার কালার করার সময় ব্রাশের যেসব সেটিংস ব্যবহার করা হয়েছে এবারও তাই ব্যবহার করতে হবে। এখন ডিসিলেক্ট করলে মাথার অংশটুকু মুছে যাবে। ডিসিলেক্ট করার জন্য সিলেকশনে মাউস পয়েন্টার নিয়ে রাইট বাটন ক্লিক করলে ডিসিলেক্টের অপশন পাওয়া যাবে। অথবা CTRL+D চাপলে সরাসরি ডিসিলেক্ট হয়ে যাবে।
ছবি মোছার কাজ শেষ। এ পর্যন্ত এডিটের কাজ মোটামুটি সহজ। কিন্তু এখন ছবিটি দেখতে বাস্তব মনে হচ্ছে না। কারণ কলারের পেছনের অংশতে কালো হয়ে আছে। এজন্য ডুপ্লিকেট করে এমনভাবে বসাতে হবে যেন দেখতে বাস্তব মনে হয়। এ ধরনের এডিটের জন্য কিছুটা স্কিলের বা প্র্যাকটিসের প্রয়োজন। প্রথমে পলিগোনাল ল্যাসো টুল দিয়ে কলারের বাম পাশের কিছুটা অংশ চিত্র-৫-এর মতো সিলেক্ট করুন। এবার এ অংশটুকু কপি করে পেছনের দিকে বসাতে হবে। কপি করার জন্য CTRL+C ও পেস্ট করার জন্য CTRL+V চাপলেই হবে। এবার পেস্ট করার নতুন অংশটুকু এমনভাবে ঘুরিয়ে দিতে হবে, যাতে তা দেখে কলারের অংশ মনে হয়। ফটোশপে এ ধরনের কাজ ফ্রি ট্রান্সফর্মের মাধ্যমে করা হয়। পেস্ট করা কলারের অংশটুকু সিলেক্ট করে CTRL+T চাপলে ওই অংশটুকু ফ্রি ট্রান্সফর্মের জন্য প্রস্ত্তত হবে। এখন মাউস পয়েন্টার ব্যবহার করে প্রয়োজনমতো ট্রান্সফর্ম করুন এবং তা নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দিন। এবার এ অংশটুকু আবার কপি করে পেস্ট করুন এবং তা প্রয়োজনমতো ট্রান্সফর্ম করে জায়গামতো বসিয়ে দিন (চিত্র-৬)।
এবার এ অংশ এডিট করতে হবে। কিন্তু মূল কলারের সাথে এটি মিশে থাকায় তা আলাদা করে দেখা কঠিন। ইউজারের এটি নিয়ে যদি সমস্যা হয়, তাহলে কপি করা অংশটুকুর অপাসিটি কমিয়ে ৫০% থেকে ৬০%-এ আনলে তা সহজেই এডিট করা যাবে। অপাসিটি কমানোর জন্য লেয়ার অপশনে যেতে হবে। একটি বিষয় খেয়াল করা ভালো, যখন ছবির কোনো অংশ কপি করে পেস্ট করা হয় তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নতুন একটি লেয়ার খুলে যায় এবং সেখানে তা পেস্ট হয়ে যায়। কলারের এ নতুন লেয়ারগুলোতে রাইট বাটন ক্লিক করে বেস্নন্ডিং অপশনে যান। এখানে অপাসিটি কমানোর অপশন থাকে। সরাসরি অপাসিটির মান এখানে বসিয়ে দিলে তা ওই লেয়ারের ওপর ইফেক্ট ফেলবে। এবার লক্ষ করলে দেখা যাবে, নতুন কপি করা কলারগুলোর ধার দিয়ে কিছু অংশ বেরিয়ে আছে। এগুলো মুছে ফেলার অনেক ধরনের উপায় আছে। তবে সহজ উপায় হলো, রেক্ট্যাঙ্গেল মারকু টুল দিয়ে একটি রেক্ট্যাঙ্গেল তৈরি করে তা সরাসরি ডিলিট করে দেয়া। M চেপে সরাসরি এ টুল সিলেক্ট করা যাবে। ইউজার আগে যদি এভাবে কোনো অংশ রিমুভ না করে তাহলে সাবধানে এটি ব্যবহার করা উচিত। কারণ, এ টুল দিয়ে যতটুকু অংশ সিলেক্ট করা হবে, ডিলিট চাপলে তার সম্পূর্ণই ডিলিট হয়ে যাবে। বের হয়ে থাকা অংশগুলো ডিলিট করা হয়ে গেলে ডিসিলেক্ট করুন। এবার যদি আরও একটু ট্রান্সফর্মের দরকার হয়, তাহলে তা করে কপি করা অংশটুকু মূল কলারের সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে দিন। লক্ষ রাখতে হবে, এখন যেন আর কোনো অংশ বেরিয়ে না থাকে। এবার একটু জুম করুন। CTRL+SPACE+LEFT CLICK করলে সহজে জুম করা যায়। এখন লক্ষ করলে দেখা যাবে, কপি করা অংশগুলো একটি আরেকটির ওপর ওভারল্যাপ করে আছে, যা রিমুভ করতে হবে। এজন্য ইরেজার টুল সিলেক্ট করুন। ইরেজার টুলের শর্টকার্ট কি E। টুলটি সিলেক্ট করে ক্যানভাসে রাইট বাটন ক্লিক করে টুল অপশন আনুন। এখান থেকে অপাসিটি ১৯%-এ নামিয়ে আনলে ইরেজারের ইফেক্ট খুব বেশি হবে না। কারণ, ইফেক্ট বেশি হলে কপি করা অংশগুলো দৃষ্টিকটু হবে। এবার যে অংশগুলো ওভারল্যাপ করে আছে এবং যেখানে রংয়ের পার্থক্য বোঝা যাচ্ছে, সেখানে ইরেজার টুল ব্যবহার করে বাড়তি অংশ মুছে ফেলুন এবং একই সাথে কপি করা অংশগুলোর মাঝে রংয়ের পার্থক্যটুকু মিলিয়ে দিন।
এবার লাইটিংয়ের কিছুটা এডিট করতে হবে। কোনো একটি অবজেক্টের ওপরের দিকে ব্রাইট থাকে ও নিচের দিকে ডার্ক থাকে। লাইটিং ঠিকমতো না থাকলেও ছবি দেখতে খারাপ হয় না। কিন্তু একটি ছবিকে বাস্তব করা জন্য লাইটিংয়ের অনেক অবদান থাকে। কলারের নতুন কপি করা অংশগুলোর ওপরের দিকে এখন কিছুটা লাইট যোগ করতে হবে। বিভিন্নভাবে এটি করা যায়। তবে একই সাথে বার্ন টুল ব্যবহার করে লাইট-ডার্ক উভয় ইফেক্টই দেয়া সম্ভব। এজন্য বার্ন টুল সিলেক্ট করুন। কারণ, টুলের শর্টকার্ট কি হলো O। এটিও একটি ব্রাশ, যা কি না লাইটের ইফেক্ট নিয়ে কাজ করে। এক্সপোজার ২৫%-এ রেখে কপি করা কলারগুলোর ওপরের অংশগুলো পেইন্ট করলে এ অংশগুলো ব্রাইট হয়ে যাবে।
মূল কলারের সাথে যেখানে কপি করা কলার ওভারল্যাপ করে আছে, সেখানে ইরেজার টুল দিয়ে বাড়তি অংশগুলো রিমুভ করুন। এ ক্ষেত্রেও একই সেটিংস ব্যবহার করতে হবে। তবে এখানে ইরেজার দিয়ে শুধু বাড়তি অংশ রিমুভ করা যাবে, ওভারল্যাপ করা অংশ করা যাবে না। কেননা তাহলে সেখানে পেছনের কালো অংশ সামনে চলে আসবে। তাই এ ক্ষেত্রে স্মাজ টুল ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি এমন একটি টুল, যা একটি কালারকে আরেকটি কালারের সাথে মিশিয়ে দেয়। যদি দুটি কালার পাশাপাশি অবস্থান করে এবং তাদের মাঝে পার্থক্য বোঝা যায়, তাহলে সে স্থানে এ টুলটি ব্যবহার করলে পার্থক্যটুকু রিমুভ করা সম্ভব। অর্থাৎ এটি নির্দিষ্ট কিছু কালার পিক্সেলকে অন্য স্থানে সরিয়ে দেয়, কিন্তু এখানে কোনো পিক্সেল হারিয়ে যায় না। সুতরাং এখানে স্মাজ টুল ব্যবহার করে কপি করা কলার মূল কলারের সাথে মিলিয়ে দিন। তবে টুলের স্ট্রেংথ ৩০%-এর বেশি রাখার দরকার নেই। ডান দিকের অংশেও একইভাবে একই সেটিং ব্যবহার করে স্মাজ করে দিন। এবার ডান দিকের যেখানে কপি করা কলার মূল কলারের সাথে মিশে আছে, সেখানে ব্রাশ দিয়ে হাল্কা অ্যাশ কালার করুন। এবার তা স্মাজ করে বাম দিকে সরিয়ে দিন। এটি ডান দিকে ছায়ার ইফেক্ট ফেলবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না ইফেক্টটি ভালোভাবে ফুটে না ওঠে, ততক্ষণ পর্যন্ত স্মাজ করতে থাকুন। এবার বার্ন টুল দিয়ে ছায়ার ইফেক্ট এবং তার বাম দিকে কপি করা কলারের মাঝ বরাবর কিছুটা বার্ন করে দিলে ডার্ক ইফেক্টটি আরও ভালোভাবে ফুটে উঠবে।
এবার black layer সিলেক্ট করুন। কোনো লেয়ার সহজে সিলেক্ট করার উপায় হলো CTRL চেপে ওই লেয়ারের আইকনের ওপর ক্লিক করা। তাহলে কলারের নিচের যে অংশটুকু এখনও কালো হয়ে আছে, তা সিলেক্ট হয়ে যাবে। এবার সিলেকশনটি CTRL চেপে নিচের দিকে মুভ করুন। কোটের ডান দিকে পকেটের নিচের দিকে যে টেক্সচার আছে, তা কপি করে কলারের নিচে বসিয়ে দিলে মনে হবে কোটের পেছন দিক দেখা যাচ্ছে। এজন্য সিলেকশনটিকে পকেটের নিচে পছন্দমতো জায়গায় নিয়ে আসুন। খেয়াল রাখতে হবে, এখন কপি করলেই কিন্তু কোটের অংশটুকু কপি হয়ে যাবে না। কারণ, যদিও নির্দিষ্ট স্থান সিলেক্ট করা আছে, কিন্তু এটাও খেয়াল করতে হবে, এখন black layer সিলেক্ট করা আছে। ক্যানভাসে যে অংশটুকু সিলেক্ট করা আছে, ওই লেয়ারে ওই স্থানে কিছুই নেই। তাই সিলেকশনটিকে ওই স্থানে রেখে প্রথম লেয়ারটি সিলেক্ট করতে হবে, যেখানে কোটের ছবি আছে। ফলে কোটের ওই সিলেকশনটুকু কপি হয়ে যাবে। এবার তা কলারের নিচে কালো অংশে পেস্ট করে দিন। দরকার হলে প্রয়োজনমতো ফ্রি ট্রান্সফর্ম করে নিন। এবার কোটের কপি করা অংশের ডান দিকে কিছুটা ডার্ক ইফেক্ট দিতে হবে। এজন্য কালো ব্রাশ দিয়ে ৪০% থেকে ৫০% অপাসিটি সহকারে পেইন্ট করা যেতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না মনমতো ডার্ক ইফেক্ট পাওয়া যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পেইন্ট করতে থাকুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পেইন্ট যেন কোটের কপি করা অংশের বাইরে বেরিয়ে না যায়। যদি অতিরিক্ত কোনো অংশ বেরিয়ে থাকে, তাহলে স্মাজ টুল ব্যবহার করে তা মিলিয়ে দিন। সব কিছু ঠিকমতো করলে ফাইনাল ছবিটি চিত্র-৭-এর মতো দেখাবে। এবার ইউজার চাইলে নিজের ইচ্ছেমতো যেকারও মাথা এখানে বসিয়ে দিতে পারেন।
এই টিউটোরিয়ালে কীভাবে একটি অংশ শুধু রিমুভ করে তা দেখানো হয়নি, একই সাথে কীভাবে তার পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড ফিরিয়ে আনা যায় তাও দেখানো হয়েছে। এ ধরনের এডিটের মাধ্যমে সহজেই একটি ছবি থেকে কোনো বড় অবজেক্ট রিমুভ করে সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে একটি বিষয় খুব খেয়াল করতে হবে, যে অংশের ব্যাকগ্রাউন্ড ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তা যেন আশপাশের অবজেক্টের সাথে মানানসই হয়
ফিডব্যাক : wahid_cseaust@yahoo.com