লেখক পরিচিতি
								
									
																		
										
																						
											লেখকের নাম:
												প্রকাশ কুমার দাস											
											
										 
																																								
										
											মোট লেখা:৫৫										
									 
																		
								 								
								
																লেখা সম্পর্কিত
								
								
								
																
									তথ্যসূত্র:
									
										Interesting Math									
									
								 
																
								
								
							 
						 
						
						
										উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির  আইসিটি বিষয়ের প্রাথমিক আলোচনা						
						
							উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির  আইসিটি বিষয়ের প্রাথমিক আলোচনা
এসএসসি পরীক্ষায় যারা এ বছর পাস করেছো তাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভ কামনা। এখন তোমরা সবাই কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে কলেজ পছন্দ ক্রম অনুসারে আবেদন করছো এবং আবেদন গ্রহণ হলে ভর্তির নিশ্চিত করে ভর্তি হবে। তোমাদেরকে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এই তিনটি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে সব (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) শাখায় পড়তে হবে। এইচএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে সৃজনশীল - ৫০, বহুনির্বাচনি - ২৫ এবং ব্যবহারিক - ২৫ নম্বরসহ সর্বমোট ১০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সংখ্যায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ওপর সম্পূর্ণ সিলেবাস নিয়ে আলোচনা করা হলো।  
সাধারণত এইচএসসিতে দুই বছরে বইয়ের ছয়টি অধ্যায় পড়ানো হয়। বিশেষ করে একাদশ শ্রেণিতে কলেজগুলোতে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধ্যায় পড়ানো হয়। বোর্ড পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন ও সংশ্লেষণ এই ৬টি দক্ষতা স্তরকে নিচের ৪টি দক্ষতা স্তরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এই ৪টি স্তরের সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন : পূর্ণমান - ৫০ নম্বর
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮টি থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে (৫  ১০ = ৫০)। 
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন : পূর্ণমান - ২৫ নম্বর
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ২৫টি থেকে ২৫টির উত্তর দিতে হবে (২৫  ১ = ২৫)। 
ব্যবহারিক অংশ : পূর্ণমান - ২৫ নম্বর 
ব্যবহারিক অংশ হিসেবে চতুর্থ অধ্যায় থেকে এইচটিএমএল, পঞ্চম অধ্যায় থেকে সি প্রোগ্রামিং ও ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকবে। ব্যবহারিকে একটি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। নম্বর বণ্টন-যন্ত্রপাতির ব্যবহার : ৫ নম্বর, ফলাফল উপস্থাপন : ১২ নম্বর (প্রক্রিয়া অনুসরণ : ৪ নম্বর; ব্যাখ্যা : ৪ নম্বর; ফলাফল : ৪ নম্বর), মৌখিক অভীক্ষা : ৫ নম্বর, নোটবুক : ৩ নম্বর। 
প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত	
১.১ বিশ্বগ্রামের ধারণা, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, অফিস, বাসস্থান, 	ব্যবসায় বাণিজ্য, সংবাদ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়; ১.২ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব; ১.৩ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, ক্রায়োসার্জারি, মহাকাশ অভিযান; ১.৪ আইসিটিনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, বায়োমেট্রিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানোটেকনোলজি; ১.৫ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা; ১.৬ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব; ১.৭ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
দ্বিতীয় অধ্যায় : কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং	
২.১ কমিউনিকেশন সিস্টেম, কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা, ডাটা কমিউনিকেশনের ধারণা, ব্যান্ডউইডথ, ডাটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, ডাটা ট্রান্সমিশন মোড; ২.২ ডাটা কমিউনিকেশন মাধ্যম, তার মাধ্যম, তারবিহীন মাধ্যম; ২.৩ ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয়তা, বøুটুথ, ওয়াই-ফাই, ওয়াই-ম্যাক্স; ২.৪ মোবাইল যোগাযোগ, বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল; ২.৫ কমপিউটার নেটওয়ার্কিং, নেটওয়ার্কের ধারণা, 	নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য, নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ, নেটওয়ার্ক ডিভাইস, নেটওয়ার্কের কাজ, নেটওয়ার্ক টপোলজি, ক্লাউড কমপিউটিংয়ের ধারণা, ক্লাউড কমপিউটিংয়ের সুবিধা। 
তৃতীয় অধ্যায় : সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস	
৩.১ 	সংখ্যা আবিষ্কারের ইতিহাস; ৩.২ সংখ্যা পদ্ধতি, সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ, সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর; ৩.৩ বাইনারি যোগ ও বিয়োগ; ৩.৪ চিহ্নযুক্ত সংখ্যা; ৩.৫ ২-এর পরিপূরক; ৩.৬ কোড; ৩.৭ বুলিয়ান অ্যালজেবরা ও ডিজিটাল ডিভাইস, বুলিয়ান অ্যালজেবরা, বুলিয়ান উপপাদ্য, ডি-মরগানের উপপাদ্য, সত্যক সারণি, মৌলিক গেইট, সার্বজনীন গেইট, বিশেষ গেইট, ডিজিটাল ডিভাইস, এনকোডার, ডিকোডার, অ্যাডার, রেজিস্টার ও কাউন্টার। 
চতুর্থ অধ্যায় : ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি ও এইচটিএমএল
৪.১ ওয়েব পেজ ডিজাইনের ধারণা, ওয়েবসাইটের কাঠামো; ৪.২ এইচটিএমএলের মৌলিক বিষয়সমূহ, এইচটিএমএলের ধারণা, এইচটিএমএলের সুবিধা ও অসুবিধা, এইচটিএমএলের ট্যাগ ও সিনটেক্স পরিচিতি, এইচটিএমএল নকশা ও কাঠামো লে-আউট, ফরম্যাটিং, হাইপারলিঙ্ক, ব্যানারসহ চিত্র যোগ করা, টেবিল; ৪.৩ ওয়েব পেজ ডিজাইনিং; ৪.৪ ওয়েবসাইট পাবলিশিং।
পঞ্চম অধ্যায় : প্রোগ্রামিং ভাষা 
৫.১ প্রোগ্রামের ধারণা; ৫.২ প্রোগ্রামিং ভাষা, যান্ত্রিক ভাষা, অ্যাসেম্বলি ভাষা, মধ্যম স্তরের ভাষা, উচ্চ স্তরের ভাষা, চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা, পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা; ৫.৩ অনুবাদক প্রোগ্রাম; ৫.৪ প্রোগ্রামের সংগঠন; ৫.৫ 	প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহ, অ্যালগরিদম, প্রবাহচিত্র; ৫.৬ প্রোগ্রাম ডিজাইন মডেল; ৫.৭ সি প্রোগ্রামিং ভাষা; ৫.৮ 	ডাটা টাইপ, ধ্রæবক, চলক; ৫.৯ ইনপুট আউটপুট স্টেটমেন্ট; ৫.১০ কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট; ৫.১১ লুপ স্টেটমেন্ট; ৫.১২ অ্যারে; ৫.১৩ ফাংশন।
ষষ্ঠ অধ্যায় : ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম 
৬.১	 ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ, রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য, 	রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার; ৬.২ ডাটাবেজ তৈরি, ক্যুয়েরি, ডাটা সাজানো, ডাটাবেজ ইনডেক্সিং, ডাটাবেজ রিলেশন; ৬.৩ কর্পোরেট ডাটাবেজ; ৬.৪ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাটাবেজ; ৬.৫ ডাটা সিকিউরিটি; ৬.৬ ডাটা এনক্রিপশন