• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্রোটোটাইপ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - আগস্ট
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রোটোটাইপ




রাডিক্যাল এন্টারটেইনমেন্টের বানানো প্রোটোটাইপ গেমটি বাজারে ছেড়েছে অ্যাক্টিভেশন। টাইটানিয়াম নামের গেম ইঞ্জিনের ওপর ভিত্তি করে বানানো অসাধারণ ও ব্যতিক্রমধর্মী গেমটির কাহিনী ও গেম খেলার ধাঁচ প্রচলিত অন্যান্য গেমের তুলনায় বেশ আলাদা ও দারুণ আকর্ষণীয়। এটি স্যান্ডবক্স স্টাইলের অ্যাকশন গেম। স্যান্ডবক্স ধরনটি হচ্ছে ননলিনিয়ার গেমের একটি ভাগ। ননলিনিয়ার গেমে গেমারকে একটি ধারাবাহিক মিশনে আবির্ভূত হতে হয় এবং গেমের কাহিনী নানা শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত থাকে। এতে প্রতিটি মিশন একটি অপরটির সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং গেমার তার ইচ্ছেমতো গেমের জগতে বিচরণ করতে সক্ষম। এতে দেয়া থাকে ওপেন ওয়ার্ল্ড, তাই এতে তেমন কোনো বাধাধরা নিয়ম বা সময়সীমা থাকে না। তাই গেমার ইচ্ছেমতো সময়ে গেমের মিশন শেষ করতে পারেন। এসব গেমে অনেক সাইড মিশন দেয়া থাকে। তবে স্যান্ডবক্স স্টাইলে তা না খেললেও মূল গেমের কাহিনীর কোনো পরিবর্তন হয় না। এ ধাঁচের আরো কয়েকটি গেমের মধ্যে রয়েছে- এসাসিনস ক্রিড, জিটিএ, ফার ক্রাই ইত্যাদি। খেলার ধাঁচ কিছুটা মিল থাকলেও এ গেমের কাহিনী ও খেলার ধরন অনেক আলাদা, যা দেবে নতুন এক রোমাঞ্চ। বীভৎসতা ও রক্তারক্তির পরিমাণ অনেক বেশি। তাই ছোটদের এই গেম খেলা উচিত হবে না, কারণ এতে তাদের মনের ওপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।



এ গেমে গেমারকে খেলতে হবে অ্যালেক্স মারসারের চরিত্রে। অ্যালেক্সকে গেমের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান চরিত্র হিসেবে গেম নির্মাতারা অভিহিত করছেন। এ গেমের আগে আর কোনো গেমে কোনো চরিত্রকে এতটা ক্ষমতা দেয়া হয়নি। অ্যালেক্স দারুণ শারীরিক শক্তির অধিকারী, তার রূপ বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে, নিজের জীবনীশক্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা আছে ও লাফিয়ে বিশাল দূরত্ব অনায়াসে পার করা তার কাছে কিছুই নয়। বিল্ডিং বেয়ে দৌড়ে ওঠা, আকাশে বাজপাখির মতো ভেসে বেড়ানো, দ্রুতগতিতে দৌড়ানো, ভারি বস্তু তোলা ও তা অনেক দূরে ছুড়ে ফেলা, সব কিছু তার আয়ত্তে। মারামারি করার জন্য তার রয়েছে কিছু অসাধারণ কৌশল। স্ট্রিট ফাইটারের রিয়ু বা কেনের মতো হাডোওকেন ও সোরিওকেন কৌশলের মতো কৌশল রয়েছে অ্যালেক্সের। সে তার হাতকে ধারালো বড় আকৃতির নখে পরিণত করতে পারবে, যা দিয়ে সে শত্রুকে কচুকাটা করতে সক্ষম। বাহুর পেশীর ক্ষমতা বাড়িয়ে ভারি বস্তু তুলতে পারবে ও হাতকে হাতুড়ির মতো শক্ত বানিয়ে ট্যাঙ্ক ঘুষিয়ে ভাঙতে পারবে। বর্ম দিয়ে নিজেকে আবৃত করতে পারবে, ঢাল বানিয়ে নিজেকে সুরক্ষা দান করতে পারবে এবং হাতকে বিশাল আকৃতির ব্লেডে পরিণত করতে পারবে, যা তার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজে দেবে। এগুলো ছাড়াও অ্যালেক্সের ক্ষমতার মধ্যে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি কনজিউম বা শোষণ করার ক্ষমতা। এ ক্ষমতার বলে সে কারো জীবনীশক্তি, স্মৃতিশক্তি, কর্মদক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শারীরিক আকৃতি ইত্যাদি টেনে নিতে পারে এবং তা নিজের কাজে লাগাতে পারে। যেমন অ্যালেক্সকে নিয়ে ট্যাঙ্ক বা হেলিকপ্টার চালানোর আগে ট্যাঙ্ক বা হেলিকপ্টার চালাতে দক্ষ ট্যাঙ্ক চালক বা পাইলটকে পাকড়াও করে তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা শোষণ করতে হবে, অন্যথায় সে তা চালাতে পারবে না। মেশিনগান, বাজুকা, রকেটগান ইত্যাদি চালানোর দক্ষতাও বাড়াতে হবে আর্মি সদস্যদের কনজিউম করে। অ্যালেক্সকে নিয়ে কোনো আর্মি ঘাঁটিতে প্রবেশের আগে যেকোনো আর্মির রূপ ধারণ করতে হবে সবার চোখ ফাঁকি দেবার জন্য। কিছু কিছু সংরক্ষিত স্থানে আর্মি অফিসারের রূপে যেতে হবে। যে মানুষকে অ্যালেক্স কনজিউম করবে, তার রূপ ধরতে পারবে। আর্মি কমান্ডারের রূপে থাকা অবস্থায় সে যেকোনো চিহ্নিত অবস্থানেরও ওপর এয়ার স্ট্রাইক ও অন্য সৈনিকদের আদেশ দিতে পারবে।



গেমের শুরুতে অ্যালেক্স নিজেকে আবিষ্কার করবে জেনটেক নামের এক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির মর্গে। সে কিছুই মনে করতে পারবে না, সে কে এবং কিভাবে এখানে এলো? সেখান থেকে পালিয়ে সে নিজের পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করতে থাকবে। এরপর সে ধীরে ধীরে নিজের অস্বাভাবিক ক্ষমতাগুলো আবিষ্কার করবে এবং সেগুলো তার পরিচয় খোঁজার কাজে লাগাবে। সেই সাথে তার মনে আরেকটি প্রশ্ন যোগ হবে কিভাবে সে এত ক্ষমতার অধিকারী হলো? গেমের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে নিউইয়র্কের হাডসন নদীর তীরবর্তী ম্যানহাটান শহরকে কেন্দ্র করে। পুরো শহর এক অদ্ভুত ভাইরাসের কবলে পড়ে বিনষ্ট হতে থাকবে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত লোকজন পিশাচে পরিণত হবে। গেমারকে এসব পিশাচের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং খুঁজে বের করতে হবে কে কে তার পরিচয় জানে। শহর খুঁজে সেরকম ব্যক্তিগুলোর দেখা পেলে তাদের কনজিউম করে স্মৃতি সংগ্রহ করে বিশাল এক স্মৃতির জাল বুনে তা থেকে গেমের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব কাহিনীর মূল উৎস বের করা সম্ভব হবে। গেমে কিছু অদ্ভুত জন্তুর সাথেও মোকাবেলা করতে হবে, যেমন- হান্টার নামের বিশাল দানব, অনেক শুঁড়বিশিষ্ট হাইড্রা ইত্যাদি। গেমে অ্যালেক্সের প্রধান শত্রুর তালিকায় রয়েছে ব্ল্যাকওয়াচ নামের একটি সংগঠন। মেরিন ও মিলিটারির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক স্পেশাল দল হচ্ছে ব্ল্যাকওয়াচ, যার নেতা ক্যাপ্টেন ক্রস। গেমে অ্যালেক্সের সাহায্যকারী হিসেবে থাকবে তার বোন ডানা, প্রেমিকা কারেন পারকার ও ডা. র্যা গল্যান্ড- যে অ্যালেক্সের সাথে কী ঘটেছে তার অনেক কিছু জানে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক shmt_21@yahoo.com

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস