• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



ভিয়েতনাম কোথায় আর আমরা কোথায়?

কমপিউটার জগৎ-এর অক্টোবর ২০০৯ সংখ্যার ‘কমপিউটার জগতের খবর’ পাতায় প্রকাশিত একটি খবর ‘টেলিটকে ২৫ কটি ডলার বিনিয়োগ করবে ভিয়েতনাম’ আমাকে ব্যাপকভাবে আলোড়িত করেছে। কেননা আমরা সবাই জানি, ভিয়েতনাম দীর্ঘ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর স্বাধীনতা লাভ করে আমাদের অনেক পরে। অথচ সেদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ধারের কাছেও নেই আমাদের অবস্থান। আইসিটি খাতের অবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত ও এ খাতে বিদেশী বিনিয়োগও ব্যাপক এবং ঈর্ষণীয় পর্যায়ে। ভিয়েতনামের এই এগিয়ে যাবার পেছনে রয়েছে সরকার ও সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও যথাযথ বাস্তবায়ন। পক্ষান্তরে আমাদের এ দৈন্য অবস্থার পেছনে রয়েছে যেমনি সরকারি পর্যায়ের কর্মকান্ডের সিদ্ধান্তহীনতা, তেমনি রয়েছে দেশাত্মবোধ ও দূরদর্শিতার অভাব।

রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয়দের দূরদর্শিতার অভাবের কারণে আমরা অনেক সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারিনি, যেমন প্রায় বিনে পয়সায় ফাইবার অপটিক্স সংযোগ, ডাটাএন্ট্রি শিল্পের বিকাশ ইত্যাদি। ফাইবার অপটিক্সের সংযোগ পেতে আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দেড় যুগেরও উপর। এখনো এর ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয়নি, এরকম দৃষ্টান্ত রয়েছে ভূরিভূরি।

যেকোনো দেশের সরকারি বা বিরোধীদলীয় শীর্ষ নেতার সুপরিকল্পিত সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ঘোষণা-পরিকল্পনা ব্যাপক জনসমর্থন পেতেই সহায়তা করে না বরং সারাদেশে সৃষ্টি হয় এক নতুন প্রেরণা ও কর্মোদ্যম। যেমন বারাক ওবামার চেঞ্জ এবং আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, তা তরুণসমাজকে যেমন আকৃষ্ট করেছে, তেমনি অনুপ্রাণিত করছে সর্বমহলকে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যে অবকাঠামো থাকা দরকার তার আলামতের নিদর্শন আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি না। অবশ্য বাংলাদেশকে রাতারাতি ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে তাও বলছি না। এর জন্য দরকার সময়। অবশ্যই তা অনন্ত নয়। আমরা চাই, তার কিছু কিছু বাস্তবায়নের উদ্যোগ, যার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ক্রমশ ডিজিটালের দিকে এগিয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন অনুষঙ্গের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইন্টারনেট। এই ইন্টারনেট আমাদের দেশে এখনো অনেক ব্যয়বহুল। কোরিয়া, ভিয়েতনামের মতো অনেক দেশেই ইন্টারনেট বিনামূল্যে ব্যবহার হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমাদের দেশে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ মূল্য অনেক কমানো হয়েছে ঠিকই, তবে সেটি এখনো সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে। ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় টেলিকম অপারেটর ভিয়েতটেল কোম্পানিটি বাংলাদেশের টেলিটকের অংশীদার হতে যাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ দেবে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার পর। অবশ্যই ব্যবসায়িক স্বার্থকে মাথায় রেখেই তারা এ সুযোগ দেবে। আমার কথা হচ্ছে ভিয়েতটেল যদি পারে, তবে সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক কেন পারবে না বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ দিতে?

পরিশেষে কমপিউটার জগৎ পরিবারের সংশ্লিষ্ট সবার মঙ্গল কামনা করি।

মো: রাজু আহম্মেদ
নড়াইল, যশোর

.....................................................................................................

সময়মতো কমপিউটার জগৎ চাই

আমি কমপিউটার জগৎ পত্রিকার অনেক পুরনো এবং নিয়মিত পাঠক। আমি স্বীকার করি, কমপিউটার জগৎ তার সূচনালগ্ন থেকেই এ দেশে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনকে এগিয়ে নিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে এবং এখনো তা অব্যাহত আছে, আশা করি আগামীতেও থাকবে।

যেহেতু আমি এ পত্রিকার অনেক পুরনো পাঠক, তাই স্বাভাবিকভাবে আমি কিছু প্রত্যাশাও করি এ পত্রিকার কাছ থেকে। আর সেটি খুব বেশি কিছু নয়, বরং বলা যেতে পারে আমার যৌক্তিক দাবি। আর সে দাবিটি হলো সময়মতো অর্থাৎ আগের মতো প্রতিমাসের ১০-১২ তারিখের মধ্যে কমপিউটার জগৎ হাতের কাছে পাওয়া। এ দাবিটি তুলে ধরেছি এ কারণেই যে প্রায় বছরখানেক ধরে দেখা যাচ্ছে, কমপিউটার জগৎ পত্রিকাটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছাতে প্রতিমাসেই ১৫ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। এতে আমাদের অপেক্ষার প্রহর যেমন গুনতে হচ্ছে তেমনি বিরক্তও লাগছে প্রচন্ড। মাঝে মধ্যে মনে হয়, বাজার থেকে অন্য কোনো আইটিবিষয়ক বাংলা পত্রিকা কিনে নিয়ে যাই এবং নিয়েছিলামও। কিন্তু সেসব পত্রিকা আমার আত্মতৃপ্তির খোড়াক হতে পারেনি। ফলে আবার অনেকটা বাধ্য হয়েই কমপিউটার জগৎ কিনতে ও পড়তে শুরু করলাম। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, আমার মতো অন্যান্য পাঠকের বেলায়ও হয়ত তাই ঘটছে। তাছাড়া যেসব পাঠক কয়েকজন মিলে একটি কমপিউটার জগৎ (পাঠকদের চিঠিপত্র কলাম পড়ে জেনেছি) কিনে এবং যারা ভাগে এক সপ্তাহ করে কমপিউটার জগৎ রাখে তাদের অবস্থা কেমন করুণ তা সহজেই অনুমেয়।

কিন্তু, আমার প্রশ্ন হচ্ছে কমপিউটার জগৎ-কে ভালোবাসি বলেই কি এমন দুর্ভোগ পোহাতে হবে? আর যদি হয়, তবে কতদিন এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে? পাঠক হিসেবে কেন আমরা এ যন্ত্রণাভোগ করব? আমার দৃষ্টিতে বাজারে কমপিউটার জগৎ-এর সমমানের অন্য কোনো পত্রিকা নেই বলেই কি পাঠকদের প্রতি কমপিউটার জগৎ কর্তৃপক্ষের এত উদাসীনতা ইত্যাদি অনেক প্রশ্নই রয়েছে।

সুতরাং কমপিউটার জগৎ-এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে পত্রিকাটি আগের মতো নিয়মিতভাবে প্রতি মাসের ৮-১০ তারিখের মধ্যে মফস্বল শহরগুলোতে পৌঁছে। কমপিউটার জগৎ পরিবারের সবার মঙ্গল কামানা করছি।

মো: মাসুদুর রহমান
শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

.....................................................................................................

এটা কি শুধুই প্রশ্ন

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদবাচ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ যা আজ জনমনে বহুল আলোচিত, যার বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করছে সরকার, তেমনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরের সবচেয়ে পুরনো ও জনপ্রিয় ম্যাগাজিন কমপিউটার জগৎ। বর্তমানে বিনোদনের জন্য গজিয়ে উঠছে নানা ধরনের মিডিয়া চ্যানেল এবং তৈরি হচ্ছে বিনোদনধর্মী নানা অনুষ্ঠান। কিন্তু প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রসারের জন্য প্রচারিত হচ্ছে না তেমন কোনো অনুষ্ঠান। ১৯৯১ সালের মে মাস থেকে মানুষকে প্রযুক্তির জ্ঞানে আলোকিত করতে যাত্রা শুরু করে কমপিউটার জগৎ। আজ ১৮ বছর পরও এটি ম্যাগাজিনেই সীমাবদ্ধ। একে পরিণত করা হয়নি কোনো মিডিয়া চ্যানেলে অথবা ধারাবাহিক টিভি অনুষ্ঠানে। যদি হতো তা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত বলার অপেক্ষা রাখে না। পাঠকের হাজারো অনুরোধ সত্ত্বেও দেয়া হচ্ছে না এ ব্যাপারে কোনো প্রতিশ্রুতি, তেমনি দেয়া হচ্ছে না অধ্যাপক মরহুম আবদুল কাদেরের কর্মের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। আজ প্রযুক্তির যে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আমরা নতুন দিনের ও সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছি তার পূর্ব ইতিহাস ঘাঁটলে বোঝা যাবে, বর্তমানে দেশের প্রযুক্তিগত এই উন্নতির ক্ষেত্রে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল অধ্যাপক আবদুল কাদেরের। জনমনে প্রযুক্তির জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে ও মানুষকে প্রযুক্তির জ্ঞানার্জনে উদ্বুদ্ধ করতে যে সাহসী পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন তা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ। তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে এদেশে যাদের অবদান অতুলনীয় হয়ে আছে এবং থাকবে সেরকম একজন সৈনিককে আমরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে পারব না? দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে গড়তে যিনি ছিলেন অগ্রনায়ক এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সরকারের সাথে সহায়ক ভূমিকা রাখবে যার কৃতিত্ব, সেরকম এক দেশ গড়ার কারিগরকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কি জবাবদিহি করতে হবে না?

শুভ
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস