• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



কমপিউটার জগৎ-এর কাছে কিছু আবেদন

কমপিউটার জগৎ-এর বিগত কয়েকটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে কমপিউটার নিজে কিনে সংযোজন করা, হার্ডডিস্ক পার্টিশন, বায়োস সেটআপ, অপারেটিং সিস্টেম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছিল। যার থেকে সাধারণ ব্যবহারকারীরা খুবই উপকৃত হয়েছেন। কারণ, এতদিন এগুলোর জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হতো। আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলো সম্পর্কে বর্ণনা করা খুবই প্রয়োজন, তাহলো কমপিউটারের যন্ত্রাংশসমূহ যেমন প্রিন্টার, স্ক্যানার, মনিটর, স্পিকার, গ্রাফিক্সকার্ড, মাদারবোর্ড ইত্যাদি সার্বিক ব্যবহারের পদ্ধতি, যত্ন নেয়ার নিয়ম এবং সেটআপ দেয়ার নিয়ম ইত্যাদি। কারণ, অধিকাংশ কমপিউটারেই আয়ু যতদিন আছে তার পূর্বেই সমস্যা দেখা দেয় সঠিক যত্ন না নেয়া ও সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার না করার কারণে। অনেকেই কমপিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সঠিক ব্যবহার ও যত্ন নেয়ার নিয়ম জানেন না। আর কমপিউটার অনেক সময় ভাইরাসজনিত সমস্যার কারণে সেটআপ দিতে হয়। অনেকেই সেটআপ দেয়ার নিয়ম জানেন না। ফলে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে প্রচুর টাকা খরচ করে সেটআপ করিয়ে আনতে হয়, যা একটি বিরক্তিকর কাজ। কমপিউটার জগৎ-এ এমন একটি বিভাগ চালু করা হোক যেখানে ধারাবাহিকভাবে কমপিউটারের যন্ত্রাংশসমূহ সঠিক ব্যবহার ও যত্নআত্তির পদ্ধতি আলোচনা করা হবে। কমপিউটারে কোনো সমস্যা হলে সেটি ভাইরাসজনিত না যন্ত্রাংশজনিত, সমাধান নিজেই করা যাবে নাকি সার্ভিস সেন্টারে নিতে হবে, বড় সমস্যা নাকি ছোট সমস্যা ইত্যাদি প্রশ্নের ভিড়ে খুবই অসহায় মনে হয়। তাই পিসি হেল্পলাইন নামে একটি বিশেষ কোনো নাম্বার ও মেইল অ্যাড্রেস চালু করা হোক। যেখান থেকে ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যার স্বরূপ ও সমাধান জানতে পারবেন। আর পিসি এক্সপার্টদের দিয়ে পরিচালিত হেল্পলাইনে বিশেষজ্ঞরা সমস্যা নিজেই সমাধান করার মতো হলে সমাধান জানিয়ে দেবেন, সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে থাকার মতো হলে তাও জানিয়ে দেবেন, প্রকৃতপক্ষে এটি হবে বিপদের পরম বন্ধু এবং এতে মানুষের মূল্যবান সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। আর কমপিউটার জগৎ-এর ৩য় মত বিভাগে যত মতামত, আবেদন, পরামর্শ ইত্যাদি ছাপা হয় সেগুলোতে যদি সম্পাদকের মন্তব্য থাকত তাহলে খুব ভালো হতো। যদি ছাপা হওয়া বিষয়গুলোর গুরুত্ব, গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি বিবেচনা করে সম্পাদকের উত্তর বা মন্তব্য দেয়া হয় তাহলে আবেদনকারীরা তাদের আবেদন সম্পর্কে অবগত হবেন, মতামতকারীরা তাদের মতামতের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করতে পারবেন। আশা করি কমপিউটার জগৎ কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত আবেদনগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কমপিউটার জগৎ-এর তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন সফল হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এই কামনা রইল।

মো: মামুনুর রহমান
হাটহাজারী, চট্টগ্রাম

....................................................................................................

কমপিউটার জগৎ আরো একধাপ এগিয়ে গেল

প্রিয় ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের কৃতিত্ব বা ভালো কাজ আমাদের সবাইকে আনন্দে উদ্বেলিত করে, প্রেরণা যোগায়, উৎসাহ যোগায়। তেমনিই এক উৎসাহ ও প্রেরণাদায়ক কর্মকান্ডের দৃষ্টান্ত স্থাপন করল আমার প্রিয় পত্রিকা মাসিক কমপিউটার জগৎ, যা ইতোপূর্বে বাংলাদেশের আইসিটিসংশ্লিষ্ট কোনো সংগঠন যেমন করেনি তেমনি করেনি অন্য কোনো সংগঠন।

বাংলাদেশে সুপরিচিত ব্যাংক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংক, বেসরকারি সেবা সংস্থা ডি.নেট ও এদেশের প্রথম ও সর্বাধিক প্রচারিত এবং তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে খ্যাত প্রযুক্তিবিষয়ক সাময়িকী মাসিক কমপিউটার জগৎ একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ সমঝোতা চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিপণ্যসংশ্লিষ্ট ই-বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপিউটার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে প্রযুক্তি শিক্ষার আরো প্রসার ঘটানো। চুক্তি অনুযায়ী কমপিউটার জগৎ ও ডি.নেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ প্রযুক্তিগুলোর মধ্যে যেগুলো মেরামতযোগ্য সেগুলো মেরামত করে আইসিটিভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচির কাজে লাগাবে। এতে একদিকে যেমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার সরবরাহ হবে তেমনি ই-বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের পরিবেশ অতিসামান্য হলেও রক্ষা পাবে। এভাবে আমরা সবাই উদ্যোগী হলে আমাদের পরিবেশকে কিছুটা হলেও ই-বর্জ্যের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব। কমপিউটার জগৎ, ডি.নেট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের পরিবেশবান্ধব এই কর্মসূচির সাধুবাদ জানাচ্ছি।

আমি মনে করি, এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কমপিউটার জগৎ বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি করল।

আমার ধারণা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ইতোমধ্যে বিনামূল্যে তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ যাবতীয় কমপিউটার ও প্রযুক্তিপণ্য ডি.নেট ও কমপিউটার জগৎ-এর কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা প্রত্যাশা করি ডি.নেট ও কমপিউটার জগৎ ব্যবহারযোগ্য কমপিউটারগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদান করবে।

আমরা প্রত্যাশা করি কমপিউটার জগৎ ও ডি.নেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ কমপিউটারগুলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতরণ করার পাশাপাশি যথাযথ তদারকিও করবে যাতে এর সুফল পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমপিউটারে প্রশিক্ষনের মান যাতে মানসম্মত হয় সে ব্যাপারে নজর দেবে। সেই সাথে আরো প্রত্যাশা করি অন্যান্য বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান যাতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এগিয়ে আসে, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা আরো দ্রুত এগিয়ে যাব।

আলভী
আজিমপুর, ঢাকা

....................................................................................................

এশিয়ার ইন্টারনেট ঘনত্বে বাংলাদেশের লজ্জাকর অবস্থান

‘তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশের অভিযাত্রা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে রচিত রিপোর্টধর্মী লেখাটি চমৎকার হয়েছে। এ রিপোর্টধর্মী লেখাটির মাধ্যমে জানতে পারলাম কোনো দেশে ইন্টারনেট পেনিট্রেশন বা ঘনত্ব যখন ১ শতাংশ বেড়ে যায় তখন সেদেশের রফতানির পরিমাণ বাড়ে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর প্রতি ১০০ জনের মধ্যে যদি ১০ জনের মোবাইল ফোন থাকে, তাহলে সেদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রভৃতি বাড়বে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, যা হয়তো আমার মতো অনেকেরই অজানা।

কোন দেশ কতটা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গঠনে সক্ষম হয়েছে তা নির্ণয়ের রয়েছে ডিজিটাল অপরচুনিটি ইনডেক্স। বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে ১৩৪তম। সুযোগ, অবকাঠামো এবং ব্যবহার- এই তিনটি ক্ষেত্রের ১১টি আইসিটি ইন্ডিকেটরের ভিত্তিতে এই ইনডেক্স তৈরি করা হয়। সুতরাং এই সূচক দেখেই খুব সহজে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে আছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট পেনিট্রেশন সবচেয়ে কম দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নিচে অবস্থান করছে তিমুর ও মিয়ানমার। এটি শুধু যে দুঃখজনক তা নয় বরং লজ্জাজনক বটে। অথচ আমাদের এমন অবস্থা হবার কথা নয়। এ লজ্জাকর অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ সমভাবেই দরকার।

দেশের ইন্টারনেট পেনিট্রেশন তথা ঘনত্ব বাড়াতে ইতোমধ্যে মোবাইল কোম্পানিগুলো কিছু কিছু পরিকল্পনা করেছে এবং তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে। সরকার সে লক্ষ্যে ব্যান্ডউইডথের দামও কিছুটা কমিয়েছে। কিছু সেটি এমনও সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে। এটা আরো অনেক কমাতে হবে, অন্যথায় দেশের ইন্টারনেট ঘনত্ব বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা এদেশের ৮০ ভাগ লোকই দরিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। শিক্ষিত সবার পক্ষে ইন্টারনেট ঘনত্ব বাড়াতে হলে সরকারকে প্রথমে উদ্যোগী হতে হবে এবং ইন্টারনেট চার্জ কমাতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে। কথামালার ফুলঝুরি দিয়ে নয়, বরং তা বাস্তবায়ন করে। মূলত সরকারের সঠিক নীতিমালার অভাবের কারণে আমাদের এ দূরাবস্থা। সুতরাং সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে যা অনুপ্রাণিত করবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের।

শাওন
বাঁশেরপুল, ডেমরা, ঢাকা
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস