• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পার্ল হান্টার
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:৫৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পার্ল হান্টার



গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে একটি দবীপকে সুনামির হাত থেকে বাঁচানোকে কেন্দ্র করে। গেমের কাহিনীতে দেখানো হয়েছে দবীপটিতে এক প্রলয়ঙ্করী সুনামি আঘাত করতে যাচ্ছে। তাই গেমারকে এই আঘাত প্রতিহত করতে কিছু স্পিরিট (ফায়ার স্পিরিট, আর্থ স্পিরিট) বা অলৌকিক শক্তির সহায়তা নিতে হবে। সেই শক্তিকে আগে প্রচুর মুক্তো ভ্যাট হিসেবে দিতে হবে, যাতে করে তারা জেগে ওঠে ও দবীপকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচায়। গেমে গেমারকে একজন মুক্তো শিকারি বা ডুবুরির ভূমিকায় খেলতে হবে। তাকে নিয়ে নীল সাগরের তলদেশে মুক্তোর খোঁজ করতে হবে। প্রতি লেভেলে কিছু নির্দিষ্টসংখ্যক মুক্তো সংগ্রহ করতে হবে স্পিরিটকে জাগানোর জন্য। সাগরতলে পাথর ও জলজ উদ্ভিদের মাঝে লুকানো থাকবে ঝিনুক, সেই ঝিনুক গেমারকে খুঁজে বের করতে হবে। তবে শুধু খুঁজে বের করলেই হবে না, ঝিনুক থেকে মুক্তো সংগ্রহ করতে হবে এবং যে ঝিনুক মুখ বন্ধ করে আছে সেটির কাছ থেকে মুক্তো নেয়া যাবে না, তাই তাদের মুখ খোলার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

সাগরতলে শুধু ঝিনুকই নয়, নানা রঙ-বেরঙের মাছ ও জীবজন্তু বিচরণ করে বেড়াবে। এদের কাছে গেলেই এরা ভয়ে দূরে সরে যাবে, তবে কিছু কিছু প্রাণী যেমন হাঙ্গর, জেলিফিশ, বিশাল বান মাছ, অক্টোপাস, বিষাক্ত কাঁটাযুক্ত পুফার ফিশ ইত্যাদি থেকে সাবধান থাকতে হবে, কেননা এগুলোর সাথে সংঘর্ষ হলে ডুবুরির জীবনীশক্তি কমে যাবে। এ ছাড়া গেম খেলার সময় বাঁদিকে উপরে বাতাসের পরিমাণ নির্দেশক একটি লাইফ বার আছে, যতক্ষণ সেই লাইফ বার বাতাসে ভরা থাকবে, ততক্ষণ ডুবুরি পানির নিচে থাকতে পারবে, তবে সময়ের সাথে সাথে বাতাসের পরিমাণ কমতে থাকবে, ফলে খুব দ্রুত মুক্তো সংগ্রহ করতে হবে। সময়ের মধ্যে নির্দিষ্টসংখ্যক মুক্তো সংগ্রহ করতে না পারলে সেই মিশন পুনরায় খেলতে হবে। তবে কোনো কারণে লাইফ বারে বাতাসের পরিমাণ কমে গেলে তা রিকভার করার জন্য সমুদ্রের নিচে লাইফ খুঁজে পেলে তা তাড়াতাড়ি সংগ্রহ করে লাইফ বাড়িয়ে নিতে হবে। তবে প্রথম স্টেজ থেকেই এই সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে না। প্রতি লেভেল বা স্টেজ পার হলে বিভিন্ন বোনাস জিনিস আনলক হবে। যেমন- এক্সট্রা বোনাস পয়েন্টের জন্য নানা ধরনের আইটেম সমুদ্রের তলদেশ থেকে তুলতে হবে। এ ছাড়া কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ স্টেজ খেলার পর গোলাপী মুক্তো আনলক হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাদা মুক্তো দুটোর সমান মূল্যমান হচ্ছে একটি গোলাপী মুক্তো, যার ফলে একটি গোলাপী মুক্তো সংগ্রহ করতে পারলে দুটো সাদা মুক্তোর পয়েন্ট পাওয়া যাবে।

গেমের একঘেয়েমি দূর করার জন্য কয়েকটি মিশন পর পর একটু ভিন্ন ধাঁচের দেয়া হয়েছে। এসব মিশনের কয়েকটিতে গেমারকে ডুবুরিকে নিয়ে সাগরের নিচে দ্রুত বিচরণ করে গোল্ডফিশ সংগ্রহ করতে হবে। এ ছাড়া যত খুশি তত বোনাস আইটেম সংগ্রহ করে পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। এ ছাড়া ছুটে চলার সময় বিভিন্ন বাধা যেমন- ডুবোজাহাজ, পাথুরে টিলা, হাঙ্গর, জেলিফিশ, পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বিশাল বান মাছ ইত্যাদি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলতে হবে। মোট তেরোটি স্টেজ খেলার পর একটি পাজল গেম সমাধান করতে পারলে স্পিরিট জাগ্রত হবে। তারপর পরবর্তী স্পিরিটকে জাগানোর জন্য আবার আরো ১৩টি স্টেজ খেলতে হবে। এভাবে গেম খেলতে থাকলে দুর্লভ কালো মুক্তো বা ব্ল্যাক পার্ল আনলক হবে, যার মূল্যমান সাদা মুক্তোর তিনগুণ। এ ছাড়া ডুবুরির ডুবসাঁতারের গতি বাড়ানোর জন্য আলাদা আইটেম আনলক হবে, যা সমুদ্রের তলদেশ থেকে সংগ্রহ করে কিছু সময়ের জন্য ডুবুরির গতি বাড়ানো যাবে। গেমটি খেলার জন্য পেন্টিয়াম টু মানের কমপিউটার হলেই হবে।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_15@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস