সম্প্রতি বের হয়েছে সায়েন্স ফিকশন রোল প্লেয়িং অ্যাকশন গেম মাস ইফেক্ট-এর দিবতীয় পর্ব। গেমটি ডেভেলপ করেছে বায়োওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠান ও পাবলিশ করেছে ইলেকট্রনিক আর্টস। গেমটি শুধু উইন্ডোজ ও এক্সবক্স ৩৬০-এর জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে, তাই প্লেস্টেশন কনসোলে তা খেলা যাবে না। গেমটির প্রথম পর্বের ধারাবাহিকতায় নতুন এ গেমের কাহিনী গড়ে উঠেছে।
গেমের শুরুতে দেখা যাবে, ২১৮৩ সালের প্রেক্ষাপটে গেথ নামের গোষ্ঠীর অবশিষ্ট সদস্যদের নির্মূলের কাজে মহাশূন্যে বিচরণ করছে মহাকাশযান নরম্যানডি। নরম্যানডিতে কমান্ডারের ভূমিকায় রয়েছে কমান্ডার সেফার্ড। আচমকা নরম্যানডির ওপরে হামলা হবে এবং এতে শিপের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কমান্ডার সবাইকে ক্যাপসুলে করে নিরাপদে নরম্যানডি থেকে দূরে পাঠিয়ে দেবে। নরম্যানডির পাইলট জোকারকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত করার আগে আবার হামলা করবে শত্রুপক্ষ। এতে জোকারের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে কমান্ডার আত্মত্যাগ করবে এবং তার মরদেহ অজানা এক গ্রহে বিলীন হয়ে যায়। এ ঘটনার প্রায় ২ বছর পর তার দেহের অবশিষ্টাংশ খুঁজে বের করবে সারবেরাস নামের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের নতুন ল্যাজারাস প্রজেক্টের সাহায্যে সেফার্ডের দেহে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করবে। সেফার্ড ফিরে পাবে নতুন দেহ ও নতুন চেহারা কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য গুণাগুণ আগের মতোই থাকবে। নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার পর সে দেখতে পাবে অন্যান্য কিছু জাতি মিলে মানব জাতির অস্তিত্ব মুছে দিতে চাচ্ছে। তাদেরকে দমন করার জন্য ইলুসিভ ম্যান নামের অজানা এক ব্যক্তির আদেশক্রমে সে মানবজাতিকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার দায়ভার গ্রহণ করে। তাকে পুরনো নরম্যানডির আদলে বানানো আরো উন্নত মহাকাশযান নরম্যানডি এসআর ২-এর কমান্ডার পদে নিয়োগ করা হয়।
সেফার্ডের কাজে সাহায্যের জন্য তার দলে যুক্ত হবে কিছু বিশেষ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তারা একেকজন একেক জাতির ও তাদের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমে তাদেরকে খুঁজে বের করে সবাইকে একত্রিত করতে হবে। তারপর তাদের মিলিত যাত্রা শুরু হবে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে। গেমের চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইলুসিভ ম্যান, গ্রান্ট, মর্ডিন সোলাস, সামারা, জ্যাকব টেইলর, মিরান্ডা লাওসন, থেন ক্রিওস, সাব্জেক্ট জিরো, নিমা, গাররুস ভাকারিয়ান, লিজিওন ও যায়েদ মাসসানি। গেমটিতে অনেক ধরনের জাতির দেখা মিলবে। মাস ইফেক্ট ইউনিভার্সের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সিটাডেল কাউন্সিলের অমত্মর্ভুক্ত জাতিগুলো হচ্ছে- আসারি, ড্রেল, ইলকোর, হানার, হিউম্যানস, কিপারস, স্যালারিয়ানস, টুরিয়ানস ও ভোলুস। সিটাডেলের বহির্ভূত কিছু জাতির মধ্যে রয়েছে- বাটারিয়ানস, কালেক্টরস, গেথ, ক্রোগান, রিপারস, কুয়ারিয়ানস ও ভর্চা। বিলুপ্তপ্রায় কিছু জাতির তালিকায় রয়েছে- আরথেন, প্রোথেয়ানস, রাচনি ও জেইওপ। গেমে সিটাডেলের অন্তর্ভুক্ত গোষ্ঠীগুলোর সাথে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে থাকে সিটাডেলের বহির্ভূত জাতিগুলোর। গেমের কাহিনী অন্যান্য গেমের কাহিনীর চেয়ে অনেক ভিন্ন ও নতুন মাত্রার তাই গেমটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
থার্ড পারসন শূটিং গেম ধাঁচের এ গেমে রয়েছে উত্তেজনাকর অভিযান ও শ্বাসরুদ্ধকর গেমপ্লে। গেমে সেফার্ড বিশেষ কিছু ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে যা খুবই আনকোরা ও অন্যান্য সায়েন্স ফিকশনভিত্তিক গেমের তুলনায় বেশ আলাদা। গেমের গ্রাফিক্সের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে আনরিয়েল ইঞ্জিন ৩.৫, তাই গেমের গ্রাফিক্স হয়ে উঠেছে দারুণ প্রাণবন্ত। গেমের শব্দশৈলীও বেশ চমৎকার করা হয়েছে। গেমটি খেলতে লাগবে ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ১.৮ গিগাহার্টজের প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যাটম, পিক্সেল শ্রেডার ৩.০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৬৮০০/এটিআই রাডেওন এক্স১৬০০) ও ১৫ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস। গেমটির গ্রাফিক্সের মজা ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য ন্যূনতম কোর টু ডুয়ো ২.৬ গিগাহার্টজের প্রসেসর ও এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৮০০ জিটি বা এটিআই রাডেওন এইচডি ২৯০০ এক্সটি মানের গ্রাফিক্স কার্ডের দরকার হবে
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com