দেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ দোয়েল উড়ছে ধীরগতিতে
দেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ দোয়েল-এর উৎপাদন শুরু হয়েছে জুলাই থেকে। টেলিফোন শিল্প সংস্থা তথা টেশিসের তত্ত্বাবধানে চার ধরনের ল্যাপটপ উৎপাদন হচ্ছে। এসব ল্যাপটপের দাম ও মানের পার্থক্য আছে। টেশিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুল শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সর্বনিম্ন দাম রাখা হয়েছে ১০,০০০ টাকা। বর্তমানে আমাদের দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এই দাম একটু বেশিই হয়তো অনেকেই বলবেন। কেননা ভারত ইতোমধ্যে আরো কম দামে ল্যাপটপ দিচ্ছে তাদের দেশের ছাত্রদের। ভারত ছাত্রদের জন্য কম দামী ল্যাপটপ তৈরি ও ছাড়ার ঘোষণা দেয় সম্ভবত আমাদের পরে। তারপরও আমাদের চেয়ে সবদিক থেকেই এগিয়ে গেছে অনেক বেশি। যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
আমি অবশ্য দোয়েল ল্যাপটপের দাম বেশি না কম, সে বিতর্কে যেতে চাই না। আমি জানতে চাই, বাংলাদেশে দোয়েল ল্যাপটপ কবে ব্যাপকভাবে পাওয়া যাবে? দোয়েল শুধু টেশিসের নিজস্ব শোরুমকেন্দ্রিক থাকবে নাকি দোয়েল উড়ে বেড়াবে বাংলাদেশের সর্বত্রই। অর্থাৎ দোয়েল ল্যাপটপ ঢাকাকেন্দ্রিক না হয়ে দেশব্যাপী হবে সমহারে।
শোনা যাচ্ছে, দৈনিক দোয়েল ল্যাপটপ উৎপাদন হয় ৫০ থেকে ১০০টি। এই যদি উৎপাদনের গতি হয়, তাহলে সারা দেশ তো দূরের কথা, শুধু ঢাকার আইডিবিতে দোয়েলের উড়ে যেতে কয়েক মাস লেগে যাবে। আর উৎপাদনের এই গতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সারা দেশের আকাশে বিচরণ করতে দোয়েল ল্যাপটপ বুড়ো হয়ে যাবে, অর্থাৎ দোয়েল ল্যাপটপের বর্তমান কনফিগারেশন ও মডেলগুলো বাতিল পণ্যের তালিকায় স্থান করে নেবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কেননা প্রযুক্তিপণ্যের সংস্করণ খুবই দ্রুতগতিতে হয়।
সুতরাং এই বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে দোয়েলের বর্তমান মডেলগুলো যেনো ব্যবহারকারীর কাছে পুরনো ও বাতিল মডেলের ল্যাপটপ হিসেবে না যায়। অর্থাৎ দোয়েল ল্যাপটপের দৈনিক উৎপাদনের গতি আরো বাড়বে এবং খুব শিগগির বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যাবে সে ব্যবস্থা করবে। অন্তত দোয়েলের ক্ষেত্রে ডিজিটাল বৈষম্য যেনো না বাড়তে থাকে সেদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর দেবে, তা আমাদের সবার প্রত্যাশা।
শাওন-শুভ, কোনাপাড়া, ঢাকা
............................................................................................................................................................................
আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফিডব্যাক নেয়া ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ চাই
আমরা প্রায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত খবর থেকে জানতে পারি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী পদমর্যাদার বা সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। মাঝেমধ্যে আমার মনে হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সভা-সেমিনারে আমাদের দেশ থেকে যেনো একটু বেশিই প্রতিনিধিরা বিদেশে যান দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নিতে। আমি বলছি না তারা দেশের জনগণের টাকা শ্রাদ্ধ করছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব সভা-সেমিনার হয়, তাতে যেসব মূল্যবান মতামত ও তথ্য বেরিয়ে আসে, তার আলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে অনেক দেশই উন্নতির পথ বেয়ে এগিয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের দেশ থেকে যারা বিদেশে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে যান, তারা একদিন অনেক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, যার আলোকে বাংলাদেশও এগিয়ে যাবে। আমি যেহেতু আইসিটিসংশ্লিষ্ট পেশায় আছি, তাই এ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কিছু বলতে চাই।
আইসিটিসংশ্লিষ্ট যেসব আন্তর্জাতিক মানের সভা-সেমিনার হয়, সেখানে যেন অবশ্যই আইসিটিসংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞরা যান এবং তাদের লব্ধজ্ঞানকে যেন কাজে লাগানো হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন সংশ্লিষ্টজনেরা।
আমাদের দেশ থেকে যেসব প্রতিনিধি বিদেশে যান, তারা তাদের অর্জিত জ্ঞানকে কেউ কেউ হয়তো যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরামর্শও দেন। আবার কেউ কেউ হয়তো বিদেশে সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষে বেমালুম ভুলে যান যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে। আবার অনেক সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও বিদেশে সভা-সেমিনারে অংশগ্রহণের ফিডব্যাকও জানতে চায় না, যা তাদের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে। আমাদের অনেকেরই বিশ্বাস কখনো কখনো এমন ঘটনাটি বেশি ঘটে অর্থাৎ ফিডব্যাক নেয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে উদাসীনতা বিরাজ করে বেশি।
আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের বিশ্বের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা যেমন উচিত, বিশেষ করে আইসিটিসংশ্লিষ্ট সেমিনারগুলোতে। কেননা বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রটি এখন অনেক দুর্বল। এ ক্ষেত্রের জন্য দরকার প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করা সভা-সেমিনারের মাধ্যমে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে সভা-সেমিনার শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে অবহিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, সভা-সেমিনার থেকে অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চেষ্টা-তদ্বির করা উচিত। তবে লক্ষ রাখতে হবে, বিদেশে সভা-সেমিনারে যারা যান তারা যেন অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন কিংবা প্রগাঢ় জ্ঞানের অধিকারী হন যাতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যভাবে আমাদের দেশে তেমনটি একটু কমই দেখা যায়।
দেশ-বিদেশে আইসিটিসংশ্লিষ্ট যেসব সভা-সেমিনার হয়, অন্তত সেসব সেমিনারের ফিডব্যাক নেয়ার সাথে সাথে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এম. জামান, ডেমরা, ঢাকা
............................................................................................................................................................................
আলোচনাধর্মী লেখা বাড়ানো হোক
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন পাঠক। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না হওয়ায় আলোচনাধর্মী লেখার প্রতি আমার আকর্ষণ বেশি। বলতে পারেন, প্রচ্ছদসহ আলোচনাধর্মী লেখাগুলো বেশি পড়ি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার মতো অনেক পাঠক আছেন কমপিউটার জগতের, যারা শুধু আলোচনাধর্মী লেখাগুলো পড়েন। আমার যতটুকু মনে পড়ে, ইতোপূর্বে বছর দু-তিনেক আগে আরেকজন পাঠক চিঠিপত্র কলামে আলোচনাধর্মী লেখা বাড়ানোর আবেদন করে লিখেছিলেন।
আমি জানি, কমপিউটার জগৎ-এর বেশিরভাগ পাঠকই ছাত্র-ছাত্রী। আমার সন্তানেরাও কমপিউটার জগৎ পড়ে। তারা বেশিরভাগই টেকনিক্যাল লেখাগুলো পড়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে টেকনিক্যাল লেখা বেশি দেয়া উচিত ঠিকই, তবে নন-টেকনিক্যাল পাঠকদের কথাও আপাদের বিবেচনা করা উচিত। এ শ্রেণীর মধ্যে পড়েন দেশের নীতি-নির্ধারণী মহল, যাদের বেশিরভাগই নন-টেকনিক্যাল বিষয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ। এ শ্রেণীকে আইসিটিতে আরো বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে দরকার বেশি করে আইসিটিসংশ্লিষ্ট নন-টেকনিক্যাল লেখা প্রকাশ করা, যাতে তারা আইসিটিকে আরো বেশি করে জানতে ও বুঝতে পারেন। এর ফলে আইসিটির বিষয়ে গুরুত্ব উপলব্ধি করে করণীয় বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন। অর্থাৎ নীতিনির্ধারণী মহল আইসিটির ব্যাপারে আরো বেশি উদ্যোগী হবে। কমপিউটার জগৎ-এর কাছে আমার দাবি টেকনিক্যাল লেখার পাশাপাশি সমান অনুপাতে নন-টেকনিক্যাল লেখাও যেন থাকে। আশা করি আমার এই অনুরোধ কমপিউটার জগৎ কর্তৃপক্ষ সুবিবেচনা করবেন।
মনিরুজ্জামান পিন্টু, ঢাকা
কজ ওয়েব