• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > রেনেগেড অপস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
রেনেগেড অপস
জাস্ট কজ গেমের মতো দুর্দান্ত গেমের নির্মাতা সুইডিশ কোম্পানি অ্যাভাল্যানসে স্টুডিও ডেভেলপ করেছে আরেকটি শ্বাসরুদ্ধকর গেম, যার নাম রেনেগেড অপস। গেমটি পাবলিশ করেছে জাপানের বিখ্যাত গেম ডেভেলপার ও পাবলিশার কোম্পানি সেগা। গেমটি মূলত স্ট্র্যাটেজি টাইপের ভেহিকেলস ভিত্তিক শুটিং গেম। গেমের আকার ছোট কিন্তু তাই বলে গেম বানানোর কাজে কোনো কমতি রাখা হয়নি। গেমটি বানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে দুটি শক্তিশালী গেম ইঞ্জিন, যার একটি হচ্ছে অ্যাভাল্যানসে ইঞ্জিন ২.০ এবং অপরটি হচ্ছে হ্যাভক ফিজিক্স। আইরিশ কোম্পানি হ্যাভকের এ শক্তিশালী গেম ইঞ্জিন দিয়ে বেশ কিছু নামকরা গেমের জন্ম হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- বায়োশক, কোম্পানি অব হিরোস, বেন টেন আল্টিমেট অ্যালিয়েন, ডার্ক সোউলস, ডেড রাইজিং, ডিয়াব্লো ৩, দ্য এল্ডারস স্ক্রোলস ৪, ফলআউট ৩, ফলআউট-নিউ ভেগাস, এফইএআর, হাফ লাইফ ২, হালো, হেভি রেইন, জাস্ট কজ, কিল জোন, ম্যাক্স পেইন ২, এলএ নোইরে, লস্ট প্লানেট, অপারেশন ফ্ল্যাশপয়েন্ট, পেইনকিলার, সেইন্টস রো, রেড ফ্যাকশন, পোর্টাল, রেসিডেন্ট ইভিল, সোল ক্যালিবার, দ্য উইচার ২, দ্য সাবোটিয়ার, স্ট্রংহোল্ড ৩, স্টারক্রাফট ২, উলফেন্সটাইন, আনচার্টেড সিরিজসহ আরো অনেক গেম। এ ইঞ্জিনের বানানো কোনো গেমই ফেলনা নয় তা নাম দেখেই বুঝতে পারছেন। কারণ প্রত্যেকটিই বেশ ব্যবসাসফল গেম।



সিনিস্টার টেররিস্ট অর্গানাইজেশনের কমান্ডার ইনফার্নো তার ক্ষমতার বহির্প্রকাশ করার জন্য ইউরোপের ওপরে ভয়ঙ্কর এক বোমা নিক্ষেপ করে বিশ্ববাসীকে চমকে দেয়। আতঙ্কিত হয়ে ওয়ার্ল্ড লিডাররা এক মিটিংয়ের আয়োজন করেন এবং সেখানে ইনফার্নো পুরো বিশ্বকে নিজের কব্জায় নেয়ার মনোভাবনা প্রকাশ করে। কেউ তার বিরুদ্ধে টু শব্দটি করার সাহস করে না, কিন্তু জেনারেল ব্রায়ান্ট চুপ থাকার নয়। সে তার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের একটি ছোট মিলিটারি টিম তৈরি করে ইনফার্নোর একনায়কতন্ত্রের অভিলাষ ঘুচিয়ে দেয়ার জন্য। গেমের কাহিনীতে তেমন একটা নতুনত্ব না থাকতে পারে, তবে গেমপ্লেতে বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে এ গেমে।

গেমে মোট চারজনকে নিয়ে খেলা যাবে, তবে বোনাস ক্যারেক্টার হিসেবে হাফ লাইফ গেমের ক্যারেক্টার ড. গর্ডন ফ্রিম্যানকে আনলক করে নিতে হবে। পাঁচজনের গাড়ি ও স্পেশাল পাওয়ার আলাদা, তাই গেমটি আরো বেশি উপভোগ্য হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন স্পেশাল পাওয়ারের মধ্যে রয়েছে এয়ার স্ট্রাইক, হেভি গ্যাটলিং গান, ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক পালস, হেডি আর্মার ও এলিয়েন কল। গেমে মিশন রয়েছে মাত্র নয়টি, কিন্তু তা মোটামুটি বড় আকারের। লেভেলআপ করার সাথে সাথে কিছু নতুন ক্ষমতা পাওয়া যাবে, যা ব্যবহার করে আরো সহজে শত্রুপক্ষকে পরাস্ত করা যাবে। গেমে দু’জন প্লেয়ার একসাথে স্প্লিট স্ক্রিনে গেম খেলার সুবিধা পাবেন। অনলাইনে ৪ জন একসাথে খেলা যাবে। অনলাইন লিডারবোর্ডের লিস্টের প্লেয়ারদের সাথে টেক্কা দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করার সুযোগও রয়েছে। গেমের একটি সমস্যা হচ্ছে গেম সেভ করার কোনো অপশন নেই, পুরো মিশন শেষ করতে হবে। গেমে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইফ শেষ হয়ে গেলে গেমটি আবার মিশনের প্রথম থেকে শুরু হবে।

গেমটির গ্রাফিক্স উঁচুমানের, তাই ছোট আকারের গেম হওয়া সত্ত্বেও তা চালানোর জন্য মোটামুটি ভালো কনফিগারেশনের পিসি চাওয়া হয়েছে। গেমটি চালানোর জন্য চাওয়া মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে- ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যা ম, ডিরেক্টএক্স ১০.১ সাপোর্টেড ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড এবং ২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস।


কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : shmt_21@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস