শুটিং গেমের জগতে কল অব ডিউটি সিরিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ব্যাটলফিল্ড সিরিজের গেম। ব্যাটলফিল্ড সিরিজের গেম বের হলো তিনটি এবং এক্সপানশনসহ সর্বমোট ৮টি। প্রথম পর্বের দুটি এক্সপানশন হচ্ছে দ্য রোড টু রোম ও সিক্রেট ওয়েপনস অব ওয়ার্ল্ড ওয়ার ২ এবং দ্বিতীয় পর্বের এক্সপানশন তিনটি হচ্ছে স্পেশাল ফোর্সেস, ইউরো ফোর্সেস ও আর্মোরড ফিউরি। মূল সিরিজের বাইরে বের হওয়া কয়েকটি গেমের মধ্যে রয়েছে-ব্যাটলফিল্ড ভিয়েতনাম, মডার্ন কমব্যাট, ব্যাটলফিল্ড ২১৪২ ও ব্যাটলফিল্ড ১৯৪৩। ব্যাটলফিল্ড সিরিজের সাব সিরিজ হিসেবে রয়েছে ব্যাড কোম্পানি সিরিজ, যার দুটি গেম বের হয়েছে। গেমটি ডেভেলপ করেছে ইলেকট্রনিক আর্টস ডিজিটাল ইল্যুশন্স সিই এবং পাবলিশ হয়েছে ইলেকট্রনিক আর্টসের ব্যানারে। গেমটি ডেভেলপ করা হয়েছে ফ্রস্টবাইট ২ নামের গেম ইঞ্জিন দিয়ে। গেমটি বের হওয়ার প্রথম সপ্তাহে ৫ মিলিয়ন কপির বেশি বিক্রি হয়েছে।
গেমটির শুরু হয়েছে ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ব্যাটলফিল্ড ২ গেমের কাহিনীর সূত্র ধরে। ক্যাম্পেইন মোডে গেমটিতে কিছু আলাদা পারসোনা সিলেক্ট করে খেলার সুবিধা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মিলিটারি পারসোনার মধ্যে রয়েছে-ইউএসএমসি রিকোনাইসেন্স অফিসার, এফ-১৮ সিস্টেমস অফিসার, এমওয়ানএটু অ্যাব্রামস ট্যাঙ্ক অপারেটর ও স্পেটসন্যাজ অপারেটিভ। গেমে ব্যবহৃত লোকেশনগুলো হচ্ছে-তেহরান, প্যারিস, সুলাইমানিয়া, নিউইয়র্ক, ওয়েক আইল্যান্ড, ওমান এবং আরো কিছু এলাকা। মূলত গেমের পটভূমি টানা হয়েছে ২০১৪ সালের ইরান-ইরাক বর্ডারের যুদ্ধ নিয়ে, যে যুদ্ধের রেশ প্যারিস হয়ে নিউইয়র্ক পর্যন্ত গড়াবে। গেমের শুরু হয়েছে সার্জেন্ট ব্ল্যাকবার্নের কাহিনী দিয়ে, যা শেষের দিকে দিমিত্রি মায়াকোভস্কির দিকে ধাবিত হয়েছে। আলাদা আলাদা ইউনিটের কম্বিনেশনে গেমটি খেলার ব্যবস্থা রাখায় গেমটি সিঙ্গেল প্লেয়ার, কো-অপারেটিভ ও মাল্টিপ্লেয়ার সব মোডেই বেশ চমৎকারভাবে খেলা সম্ভব হয়েছে। গেমের গেমপ্লেতে বেশ নতুনত্বের ছোঁয়া থাকায় অনেকেই মডার্ন ওয়ারফেয়ার ৩ গেমটির চেয়ে এটির গেমপ্লেকে ভালো বলে মন্তব্য করেছেন। ব্যাটললগ নামের ক্রস প্লাটফর্ম সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সার্ভিসের সাহায্যে বিল্ট-ইন টেক্সট মেসেজিং, ভয়েস কমিউনিকেশনস ও গেম স্ট্যাটিস্টিকস বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে, যা গেম খেলার স্বাদ বহুগুণে বাড়িয়ে তুলবে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে অ্যাসাউল্ট, সাপোর্ট, ইঞ্জিনিয়ার ও রেকন-এ চারটি চরিত্রে খেলার সুযোগ রয়েছে।
ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমটি শুধু ডিরেক্ট এক্স ১০ ও ১১ সাপোর্টে চলে, তাই তা ডিরেক্টএক্স ৯ সাপোর্টেড উইন্ডোজ এক্সপিতে চলবে না। গেমটি খেলার জন্য ভিসতা সার্ভিস প্যাক ২ ব্যবহার করতে হবে। উইন্ডোজ সেভেন ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমে গেমের আসল স্বাদ উপভোগ করা যাবে। ক্যাম্পেইন মোডের দিক থেকে তুলনা করলে মডার্ন ওয়ারফেয়ারের চেয়ে ব্যাটলফিল্ড ৩ গেমের গেমপ্লে কিছুটা ফিকে হয়েছে। মডার্ন ওয়ারফেয়ারের ড্রাম বিট, অ্যাকশন মুভি ধাঁচের পরিবেশ ও অগণিত শত্রুপক্ষ গেমটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে ব্যাটলফিল্ড ৩ কল অব ডিউটিকে মাত দিয়েছে। গেম উপস্থাপনের ক্ষেত্রে দুটি গেমই ড্র করেছে বলা যায়, কারণ গ্রাফিক্স কোয়ালিটির দিক থেকে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ব্যাটলফিল্ডের কো-অপারেটিভ মোড মডার্ন ওয়ারফেয়ারের চেয়ে কিছুটা দুর্বল। সহজ কথায় বলতে গেলে গেম দুটির কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গেম দুটিকে ভিন্ন করে তুলেছে।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.৪ গিগাহার্টজ/এএমডি এথলন এক্সটু ৪৮০০+, মেমরি : ২ গিগাবাইট, গ্রাফিক্স হার্ডওয়্যার : ৫১২ মেগাবাইট (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৮০০ জিটি/এটিআই রাডেওন এইচডি ৩৮৭০) ও হার্ডডিস্ক স্পেস : ২০-২৫ গিগাবাইট।
কজ ওয়েব