• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ৩য় মত
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
৩য় মত



ডুল্যান্সার বা এ জাতীয় সাইট থেকে সাবধান!

বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ে একটি সম্মানজনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর এ দেশে যেখানে বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে ফ্রিল্যান্স আউসোর্সিং এক সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে দিন দিন দেশের তরুণ মেধাবীদের সম্পৃক্ত হওয়ার হার বেড়েই চলেছে। শোনা যাচ্ছে, দেশে এখন প্রায় ৮ হাজার ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সার রয়েছেন, যারা দেশের জন্য যেমন বয়ে আনছেন সম্মান তেমনি বয়ে আনছেন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।

কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার কিছু প্রতারক যেমন ডুল্যান্সার ডটকম (Dolancer.com) বা এ জাতীয় কিছু সাইটে তৎপর হয়ে উঠেছে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সের কথা বলে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। ডুল্যান্সার নিজেদেরকে পরিচয় দেয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট হিসেবে, আসলে তা নয়। যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের সবার মনে থাকা দরকার, ফ্রিল্যান্সিং সাইটের সদস্য হতে হলে কোনো টাকা লাগে না। অথচ ডুল্যান্সারের সদস্য হতে ১০০ ডলার চার্জ দিতে হয়। বস্ত্তত সাধারণ মানুষের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তেমন স্বচ্ছ ধারণা না থাকায় প্রতারক চক্র এ সুযোগ নিতে পারছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের অনেক লোক আছেন, যারা খুব সহজ রাস্তায় অর্থাৎ সহজ উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে চান। শুধু তাই নয়, এর সাথে আছে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মনমানসিকতাও। আর এ মনস্তাত্বিক বিষয়টি প্রতারক চক্র খুব সহজে বুঝতে পেরে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের হীন কর্ম অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সার সাইট হিসেবে দাবি করে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

আমি এ জন্য প্রতারকদেরকে যতটুকু দায়ী করি তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী করি ডুল্যান্সার সাইটের সদস্যদের, যারা কোনো তথ্য যাচাই বাছাই না করেই খুব সহজে অর্থ উপার্জনের লোভে ১০০ ডলারের বিনিময়ে সদস্য হয়েছেন। এরা অ্যাড ক্লিক করে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে চান। অর্থাৎ বিনাশ্রমে এবং বিনা মেধা প্রয়োগ করে অর্থ উপার্জন করতে চান। অথচ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ যেমন মেধাবীদের উপযোগী, তেমনি প্রচন্ড ধৈর্য ও সহনশীলতার কাজ যা ডুল্যান্সারের সদস্যরা বোধহয় জানেন না।

এরপর আমি দায়ী করব গণমাধ্যমকে, যারা সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে ডুল্যান্সারের বিজ্ঞপ্তি ছাপিয়েছে। সাধারণ মানুষ প্রথম সারির এসব পত্রিকায় ডুল্যান্সারের সংবাদ ও বিজ্ঞপ্তি দেখেই সহজে বিশ্বাস করেছে। ইতোমধ্যে ৪-৫টি জাতীয় দৈনিকে ডুল্যান্সারের রিভিউ ছাপা হয়েছে। যেকোনো বিজ্ঞপ্তি ছাপানোর আগে তার সত্যতা যাচাই করা মিডিয়ার এক নৈতিক দায়িত্ব। এর বত্যয় ঘটার মানেই হচ্ছে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়া, যা ইদানীং আমাদের দেশের কোনো কোনো জাতীয় দৈনিকে অহরহ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। আর সম্ভবত এসব কারণেই মিডিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, যা মোটেই কাম্য নয়। আমরা সাধারণ মানুষ জাতীয় দৈনিকগুলোর কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীলতা আশা করি অন্তত ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে।

তৃতীয়ত আমি দায়ী করব বেসিসকে। যদিও ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাপারে বেসিসের করণীয় কিছুই নেই। তারপর আমি বলব বেসিসের দায়িত্ব আছে। কেননা তারা সফটওয়্যার শিল্প নিয়ে কাজ করছে। সেই সূত্রে ফ্রিল্যান্সারদের প্রমোট করার এক অলিখিত দায়িত্বও এই সংগঠনটির ওপর বর্তায়। তা ছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের উৎস ও প্রেরণা দেয়ার জন্য অনেক সময় বেশ কিছু সভা-সেমিনার বেসিসকে করতে দেখা যাচ্ছে, যার জন্য বেসিসকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়।

তাই ফ্রিল্যান্সিং সাইট হিসেবে দেশের ভেতরে আত্মপ্রকাশ করে যদি নির্বিঘ্নে প্রতারণা চালিয়ে যায় বেসিসের সামনেই, তাহলে তো তাদেরকে দায়ী করা যায় নির্লিপ্ততার অভিযোগে। যদিও ফ্রিল্যান্সারেরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন, এরা বেসিসের সদস্য নন, তারপরও তাদের ভালোমন্দ দেখার বিষয়টি বেসিস নিতেই পারে।

আরেকটি কথা, ডুল্যান্সারকে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের সাথে জড়িয়ে ফেলে প্রকৃতপক্ষে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং মূলধারাকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। যার সুদূরপ্রসারী ক্ষতি হলে আমাদের সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং খাতের অপমৃত্যু ঘটবে। সুতরাং আমাদেরকে এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে এ ধরনের প্রতারক চক্র আবার সক্রিয় হতে না পারে।

প্রিয়মত্মী
মিরপুর, ঢাকা

...............................................................................................................................................................................................................................

ধন্যবাদ বিটিসিএল

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে দেশকে প্রথমে একটি মধ্যম আয়ের দেশে, তারও পরে একটি উন্নত দেশে রূপ দেয়াই ছিল সরকারের ঘোষিত ও প্রতিশ্রুত লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে। তাই স্বাভাবিকভাবে আমাদের প্রত্যাশা একটু বেশি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সরকার বেশ কাজ করছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে তা প্রত্যাশিত গতিতে নয়। বিশেষ করে যে গতিতে এগুলে সরকারের ঘোষিত ‘ভিশন ২০২১’ পূরণ হতে পারে, অন্তত সে গতিতে নয়, তা আমার মনে হয় অনেকেই স্বীকার করবেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অনেকগুলো উপকরণের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইন্টারনেটের ব্যবহারকে বাড়াতে হবে। তবে তা বাড়ছে বেশ ধীরগতিতে। আর সম্ভবত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহারকারীর সংখ্যা তেমনভাবে বাড়াতে না পারার কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের তুলনামূলক আইসিটির উন্নয়নের প্রবৃদ্ধিহারে দুই ধাপ পিছিয়ে পড়েছে।

অবশ্য সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। কেননা এখন একটি জাতি কতটুকু উন্নত তার কয়েকটি মানদন্ডের মধ্যে একটি হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সুবিধা সে দেশের জনগণ কতটুকু পাচ্ছে তার ওপর। কিন্তু ইন্টারনেট এখনও আমাদের দেশে অনেকের নাগালের বাইরে। অর্থাৎ আমাদের দেশে ব্যান্ডউইডথের দাম এখনও অনেক বেশি।

অবশ্য গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে বিটিসিএল ব্যান্ডউইডথের দাম আরও একধাপ কমিয়েছে। গ্রাহক পর্যায়ে ২৫৬ কেবিপিএস ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার করতে পারবে এখন ৩০০ টাকায়। আগে ১২৮ কেবিপিএস ব্যবহার করতে খরচ হতো ৩০০ টাকা। একইভাবে প্রতিটি প্যাকেজে গতি বাড়ানো হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অনেকগুলো উপদানের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ানো। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সরকারকে ক্রমান্বয়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম কমিয়ে আনতে হবে। আমরা আশা করব, এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অন্তত একটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।

পারভেজ


কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস