লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক
এখন যে গেমটি নিয়ে আলোচনা করব তার সাথে জড়িত রয়েছে অন্ধকার। যারা অন্ধকারকে ভয় পান, রাতে আলো জ্বেলে ঘুমান তারা কিন্তু সাবধান। অন্ধকারকে ভয় বা লাইগোফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা এই গেম না খেললেই ভালো। আর যদি সাহসের পরীক্ষা করতে চান তবে পিসির সামনে বসে এই গেমটি উপভোগ করতে পারেন। অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক নামে ২০০৫ সালে হরর মুভিও তৈরি করা হয়েছিল, যার দ্বিতীয় পর্ব দ্য নিউ নাইটমেয়ার বের হয়েছে ২০০৯ সালে। অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক বা আঁধারে একলা বা অন্ধকারে একা যাই বলুন না কেন, নামটির সাথে সবার পরিচিত থাকার কথা। সেই ১৯৯২ সাল থেকে এই গেমের উৎপত্তি। আর্কেড গেমস, ঘরোয়া কন্সোল গেম ও কমপিউটার গেমের অগ্রযাত্রার মূলে রয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি, তার নাম হচ্ছে আটারি। আটারির গেমিং কনসোলের কথা শোনেননি বা আটারির বানানো গেমগুলো খেলেনি, এমন কোনো গেমার চিরুনি অভিযান চালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ আছে।
সারভাইবাল হরর গেমগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক সিরিজের গেমগুলো। গেমটির এই পর্যন্ত পাঁচটি পর্ব বের হয়েছে। প্রথম চারটি গেমের পাবলিশার ও ডেভেলপার দুই-ই ছিল ইনফোগ্রামেস। কিন্তু পঞ্চম পর্বটি পাবলিশ করেছে আটারি ও ডেভেলপ করেছে ইডেন গেমস। এখন পর্যন্ত বানানো সবরকমের হরর গেমের মাঝে ভালো স্থান দখল করে আছে এই সিরিজের গেমগুলো। আটারির বানানো আরো কিছু ভালো মানের গেমের মাঝে রয়েছে- আর্ট অব ম্যাজিক, আর্মা, আর্থার, ডন অব ম্যাজিক, ডিয়ার হান্টার, ডেস্পারাডোস, কিংস বাউন্টি, ফ্যান্টাসি ওয়ারস, দ্য উইচার, নেভার উইন্টার নাইটস, রোলার কোস্টার টাইকুন, টেস্ট ড্রাইভ ইত্যাদি। গেমিং দুনিয়ার আরো কিছু ভয়ানক গেমের তালিকায় রয়েছে- ফ্যাটাল ফ্রেম, ক্লক টাওয়ার, সাইলেন্ট হিল, রেসিডেন্ট ইভিল, অ্যামনেশিয়া, ডেড স্পেস, লেফট ফর ডেড, বায়োশক, ফেয়ার, সিস্টেম শক, ডেড আইল্যান্ড, ডুম ইত্যাদি।
এ সিরিজের প্রথম গেমটির পটভূমি হচ্ছে ১৯২৪ সাল। জেরেমি হার্টউড নামের এক স্বনামধন্য লেখক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার মৃত্যুর কারণের কোনো কূল-কিনারা দেখতে পেল না কেউ। তাই পুলিশ কেসটি নিয়ে তদন্ত শুরু করল। বেশ কিছুদিন এ নিয়ে নড়াচড়া করে পুলিশ কেসটি পূর্ণ না করেই কাজ বন্ধ করে রাখল। ঘটনা ঘটে যাওয়ার বহুদিন পড়ে এডওয়ার্ড কার্নবি নামের একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর আবার কেসটি নিয়ে মাথা ঘামানো শুরু করবে। গেমারকে এ চরিত্রকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ধীরে ধীরে রহস্যের জাল খুলে সে আবিষ্কার করবে জেরেমির আত্মহত্যার কারণ। গেমের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গেমের অন্ধকার পরিবেশ। অন্ধকারে টর্চলাইট জ্বেলে রহস্যের কূল-কিনারা করতে হবে।
অনেক পুরনো গেম, তাই বলার অপেক্ষা রাখে না গেমটি লো কনফিগারেশনের পিসিতেও অনায়াসে চালানো যাবে। পেন্টিয়াম থ্রি মানের পিসিতেও গেমটি অনায়াসে চলবে। যাদের অন্ধকারে গেমটি খেলতে সমস্যা হবে তারা মনিটরের এবং গেমের ব্রাইটনেস অপশন থেকে তা বাড়িয়ে নিন। এতে ভালোভাবে দেখা যাবে। কিন্তু অন্ধকারে যে গা ছমছমে ভাব রয়েছে, তার মজা উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত হবেন। হেডফোন কানে লাগিয়ে গেমটি খেললে তা আরো বেশি উপভোগ্য হবে। গেমের গ্রাফিক্স সে আমলের গ্রাফিক্সের সাথে তুলনা করলে বেশ ভালোই বলা চলে। যাদের পিসি কনফিগারেশন ভালো তারা নতুন অ্যালোন ইন দ্য ডার্ক ৫ গেমটি খেলে দেখতে পারেন।