• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > এসাসিন’স ক্রিড রেভেলেশনস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১২ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
এসাসিন’স ক্রিড রেভেলেশনস

মনে আছে কি সেই অলতেয়ার ইবনে লা-আহাদ, ইজিও অদিতোরে দ্য ফিরেঞ্জের ও ডেসমন্ড মাইলসের কথা? দুর্দান্ত সেই ঐতিহাসিক অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ভিত্তিক গেম এসাসিন’স ক্রিডের কথা ভুলে যাননি তো? গেমের জগতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনাকারী এ গেমটি ভুলে যাওয়ার নয়। এসাসিন’স ক্রিডের নতুন পর্ব রেভেলেশনের জন্য এ সিরিজের ভক্তরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল যার অবসান হয়েছে গত ডিসেম্বরে। গেমটি ডেভেলপ করেছে ইউবিসফট মনট্রেয়াল, যা পাবলিশ হয়েছে ইউবিসফটের ছত্রছায়ায়। গেমটি বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানভিল নামের গেম ইঞ্জিন। যারা গেম সিরিজটি খেলেননি তাদের জন্য নতুন গেমটির কাহিনী বোঝা বেশ দুরূহ ব্যাপার। গেমের কাহিনী এমনিতেই বেশ জটিল এবং তা ধারাবাহিক কাহিনী, তাই মাঝখান থেকে গেম সিরিজটি শুরু করে গেমের আসল স্বাদ উপভোগ করা যাবে না। যারা নতুন এ সিরিজের গেমের সাথে পরিচিত নন, তাদের জন্য খুব সংক্ষেপে গেমের কাহিনী তুলে ধরা হলো।

এসাসিন’স ক্রিডের মূল নায়ক ডেসমন্ড মাইলস নামের এক বারটেন্ডার যে কি না বহু পুরনো আততায়ী গোষ্ঠীর উত্তরাধিকার। তার জিনে রয়েছে সেই আততায়ীদের বহু অজানা ইতিহাস। পিস অব ইডেন নামের এক আর্টিফ্যাক্ট ধারণ করে আছে অকল্পনীয় শক্তি, যার লোভে সেই ক্রুসেডের যুগ থেকে এখন পর্যন্ত টেম্পলাররা তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসাসিন বা আততায়ী গোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে পিস অব ইডেনকে সুরক্ষিত রেখেছে। ডেসমন্ডের স্মৃতির আবডালে লুকিয়ে আছে পিস অব ইডেনের সন্ধান, তাই তাকে এনিমাস নামের এক মেশিনে রেখে তার জিন থেকে পুরনো কাহিনীগুলো ঘেঁটে দেখে পিস অব ইডেনের সন্ধান চায় টেম্পলাররা। প্রথম গেমে ডেসমন্ড এনিমাস মেশিনের সাহায্যে জেরুজালেম, আক্রা ও দামাস্কাসে বিচরণ করে বেড়ায় তার পূর্বপুরুষ অলতেয়ার ইবনে লা-আহাদের বেশে। কিন্তু গেমের শেষে সে বুঝতে পারে তাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই দ্বিতীয় পর্বের প্রথমে দেখানো হয় সে টেম্পলারদের ল্যাব থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আরো উন্নত আরেকটি এনিমাস মেশিন দিয়ে রেনেসাঁ যুগের ইউরোপে বিচরণ করে বেড়ায় তার আরেক পূর্বপূরুষ ইজিও অদিতোরে দ্য ফিরেঞ্জের বেশে। দ্বিতীয় গেমের কাহিনীর সমাপ্তি টানা হয় তৃতীয় গেম ব্রাদারহুডে। চতুর্থ গেমে আগের তিনটি গেমের খেলার সময় গেমারদের মনের মাঝে যেসব প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল তার উত্তর দেয়া হয়েছে।

ব্রাদারহুডে দেখানো হয়েছে ডেসমন্ডের মস্তিষ্ক ও চিন্তাশক্তি এনিমাস মেশিনের মধ্যে আটকা পড়ে যায়। নতুন গেমের শেষের দিকে সে এনিমাস থেকে মুক্তি পায় এনিমাসে তার বাকি স্মৃতিগুলো সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে। মেমরি পুরো করার জন্য সে অলতেয়ারের শেষ জীবন ও ইজিওর বৃদ্ধ জীবন নিয়ে বিস্তারিত জানবে। গেমে অলতেয়ার, ইজিও ও ডেসমন্ড সবাইকে নিয়ে খেলা যাবে। গেমপ্লে আগের গেম ব্রাদারহুডের মতোই রাখা হয়েছে। তবে চলাচলের সুবিধা আরো বাড়ানোর জন্য নতুন যুক্ত করা হয়েছে হুক ব্লেড ও জিপলাইন। পুরনো গেমের এলাকাগুলোতে আবার বিচরণ করতে হবে এবং সেই সাথে রয়েছে নতুন স্টেজ, তাই গেমটি বেশ ভালো লাগবে খেলতে। গেমে আবারো রাখা হয়েছে মাল্টিপ্লেয়ার অপশন। আগের তুলনায় গেমের গ্রাফিক্স ও সাউন্ড সিস্টেম আরো উন্নত করে তোলায় এবং বেশ কিছু নতুন গেমপ্লে স্টাইলের সংযোজন গেমটির স্বাদ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট

প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো ২.২ গিগাহার্টজ/এএমডি এথলন এক্সটু ৪৬০০+
মেমরি : ২ গিগাবাইট
গ্রাফিক্স হার্ডওয়্যার : ৫১২ মেগাবাইট (ন্যূনতম এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৮০০ জিটি/এটিআই রাডেওন এইচডি ৩৮৫০)
হার্ডডিস্ক স্পেস : ১২ গিগাবাইট

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস