ভূতের ভয়ে কাবু? রাতের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে ভূতের দল? ঘরের সবাইকে পেরেশান করে তুলেছে ভূতদের কান্ড-কারখানা? কোনো কাজই করতে দিচ্ছে না শয়তান ভূতের দল? কোনো কিছুতেই তাদের থামানো যাচ্ছে না? তাহলে তো তাদের শায়েস্তা করার ব্যবস্থা করতে হয়। কি বলেন? এখুনি ফোন করুন ঘোস্ট বাস্টারসের হেডকোয়ার্টারে। দেখুন তারা এসে কিভাবে ভূত পিটিয়ে তাদের বন্দি করে ঘর ভূতমুক্ত করে। ঘোস্ট বাস্টারস ১৯৮৪ সাল থেকে এখনও ভূতদের তাড়া করে আসছে। না সত্যিকারে নয়, সিনেমার পর্দায়। ঘোস্ট বাস্টারসের যাত্রা শুরু আজ থেকে ২৭ বছর আগে একটি মুভির মাধ্যমে। যাতে একটি টিম তাদের প্যারানরমাল এক্সটারমিনেটর সার্ভিসের মাধ্যমে ভূতসহ অন্যান্য বিপজ্জনক প্রাণীকে নাস্তানাবুদ করে অত্যাধুনিক টেকনোলজির সাহায্যে তাদের বন্দি করে রাখে। প্রথম মুভির পর ১৯৮৭ সালে আরেকটি মুভি ঘোস্ট বাস্টারস ২ মুক্তি পায় এবং নতুন মুভি ঘোস্ট বাস্টারস ৩-এর কাজ চলছে যা মুক্তি পাবে ২০১২ সালে। মুভির রেশ ধরে একে একে বের হয়েছে অনেকগুলো গেম। এগুলো হচ্ছে-ঘোস্ট বাস্টারস, ঘোস্ট বাস্টারস ২, দ্য রিয়েল ঘোস্ট বাস্টারস, এক্সট্রিম ঘোস্ট বাস্টারস, কোড-অ্যাক্টো-ওয়ান, দ্য আল্টিমেট ইনোভেশন, ঘোস্ট বাস্টারস-দ্য ভিডিও গেম। এ ছাড়াও রয়েছে অনেক কমিকস ও অ্যানিমেশন ফিল্ম। আমাদের আজকের আলোচনা হবে ঘোস্ট বাস্টারসের নতুন গেম ঘোস্ট বাস্টারস-স্যাঙ্কটাম অব স্লাইম নিয়ে।
স্যাঙ্কটাম অব স্লাইম গেমটির কাহিনী ঘোস্ট বাস্টারস ১ ও ২-এর কাহিনীর ওপরে নির্মিত এবং ঘোস্ট বাস্টারস-দ্য ভিডিও গেমের সিক্যুয়াল। গেমের কাহিনীতে দেখানো হবে মিউজিয়ামের কিউরেটর জানোসজ পোহার মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হবে এবং সেখানে সে পরিচিত হবে ইসমায়েল ম্যাকেনথলের সাথে। ইসমায়েল শয়তান ডুমাজুর উপাসকদের সর্বশেষ বংশধর। সে রেলিক অব নিলহে নামের এক প্রাচীন রহস্যময় আর্টিফ্যাক্ট খুঁজে বেড়াচ্ছে যা দিয়ে আবার ডুমাজুকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাদের দুজনের সহযোগিতায় ৪ হাজার বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা শয়তান ডুমাজু আবার জেগে উঠবে এবং নিউইয়র্ক সিটির ওপর হামলা চালাবে। প্রচন্ড শক্তিশালী ডুমাজুকে কয়েদ করা সম্ভব হবে না বুড়িয়ে যাওয়া ঘোস্ট বাস্টারস টিমের পক্ষে। ঘোস্ট বাস্টারসের কর্ণধার ড. পিটার ভেঙ্কম্যান, ড. রেমন্ড স্ট্যান্টজ, ড. ইগন স্পেঞ্জলার ও উইনস্টন জেড্ডেমোর তখন সিদ্ধান্ত নেয় টিমে নতুন লোক নেয়ার। তাই তাদের জায়গায় নতুন করে নেয়া হয় চারজনকে, তারা হচ্ছেন- অ্যালান ক্রেন্ডাল, স্যামুয়েল হ্যাজার, ব্রিজেট গিবনস ও গ্যাব্রিয়েল সিটার। নতুনদের নিয়েই গেম খেলতে হবে, তবে পুরনো সদস্যরা সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করবে। তারা ল্যাবে থেকে প্রয়োজনীয় উপদেশ ও সাপ্লাই দিয়ে তাদের সাহায্য করবে।
গেমে অনেক ধরনের ভূতের মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো মধ্যে রয়েছে-বেলহপ ঘোস্ট, স্লাইমার, ফ্লাইং স্কাল, কক ঘোস্ট, হেলিস ফুল টরসো, স্কাল পোর্টাল, অ্যাবোমিনেশন, গোলেম, ক্রাওলার, স্ম্যাশার, জম্বি, গ্রোটেসকিউ, নকনিটসা ইত্যাদি। গেমে ব্যবহৃত ভূত নিধনকারী অস্ত্রগুলো হচ্ছে-অ্যাক্টো-ফোরডব্লিউডি, প্রোটন স্টিম, প্লাজমা ইন্ডাক্টর, ফারমিশন শক ইত্যাদি।
গেমে প্রায় ১২টি লেভেল রয়েছে। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে চারজন একসাথে খেলা যাবে। গেমের গ্রাফিক্স মোটামুটিমানের, তবে শব্দকৌশল বেশ উপভোগ্য। গেমটি চালাতে ডুয়াল কোরের প্রসেসর, ১ গিগাবাইট র্যাকম, পিক্সেল শেডার ৩.০ সমর্থিত গ্রাফিক্স কার্ড ও ৫০০ মেগাবাইট হার্ডডিস্ক লাগবে।
কজ ওয়েব