ফাস্ট পারসন শূটিং গেমভক্তদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় গেমের তালিকাগুলোর একটি যে ক্রাইসিস তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একঘেয়ে যুদ্ধভিত্তিক গেমগুলোর মাঝে নতুনত্বতা যোগ করে গেমের রোমাঞ্চ এবং উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিল এ সিরিজের প্রথম গেম। ব্যাপক সাফল্যের কারণ ছিল গেমের মূল ফিচার ন্যানো স্যুট, যা প্লেয়ারকে কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা দিয়ে গেম খেলার স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। গেমের জগতে এ গেম তুলকালাম ঘটানোয় গেমারদের চাহিদা মেটানোর জন্য বের হয়েছিল ক্রাইসিস ওয়ারহেড নামের এক্সপানশন। কিন্তু নতুন বছরে উপহার হিসেবে থাকছে গেম সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব ক্রাইসিস ২। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটে অবস্থিত ক্রাইটেকের ডেভেলপ করা এ গেম পাবলিশ করেছে ইলেকট্রনিক আর্টস। গেমটি প্রথম গেমের সিক্যুয়াল বা প্রথম গেমের কাহিনীর ধারাবাহিকতায় নির্মাণ করা হয়েছে। গেমের কাহিনী লিখেছেন রিচার্ড মরগান এবং সায়েন্স ফিকশন নভেল রাইটার পিটার ওয়াটস গেমের কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে লিখেছেন একটি উপন্যাস। গেমের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-গেমটি ক্রাইটেকের নতুন গেম ইঞ্জিন ক্রাইইঞ্জিন ২-এ বানানো প্রথম গেম। আগের গেম দুটিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ক্রাইইঞ্জিন ২। পৃথিবীর শক্তিশালী গেম ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে এটি একটি, যার অনেক ফিচার রয়েছে।
গেমের কাহিনী নির্ধারণ করা হয়েছে প্রথম গেমের ৩ বছর পরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ক্রাইসিস ও ফারক্রাই গেমের মধ্যে জঙ্গলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল গেমের জগত। তাই গেমে কিছুটা ভিন্নতা আনার জন্য ক্রাইটেক গেমের পটভূমি সাজিয়ে তুলেছে নিউইয়র্ক সিটিতে। জঙ্গলের চেয়ে শহুরে লোকালয়ে খেলার ধরন বেশ আলাদা ও যুদ্ধ-কৌশল প্রয়োগ করার ব্যাপারে বেশ সুবিধার। শহরে ভিনগ্রহবাসীদের আক্রমণ ঠেকাতে হবে এবং মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষা করতে হবে। ন্যানো স্যুট আরও উন্নত এবং গেমের পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে। ফাস্ট পারসন মোডে গেমটি খেলার সময় থার্ড পারসন মোডে খেলার সময় যেসব সুবিধা পাওয়া যায় তার অনেকটাই পুরো করে দেয়া হয়েছে। ফাস্ট পারসন মোডে এত সুবিধা আর কোনো গেমে দেয়া হয়নি। গেমের প্রধান চরিত্রে রয়েছে অরিজিনাল ক্রাইসিস গেমের জেক ডান এবং তার সঙ্গীরাও রয়েছে গেমে।
ক্রাইটেক দাবি করেছে এটি বিশ্বের এখন পর্যন্ত বানানো সবচেয়ে নিখুঁত ও বাস্তবসম্মত গ্রাফিক্সসমৃদ্ধ গেম। পুরনো গেমের চেয়ে নতুন গেমে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। শুঁড়বিশিষ্ট কদাকার ভিনগ্রহবাসীর বদলে ব্যবহার করা হয়েছে বর্ম পরিহিত হাইটেক সাইবোর্গ। ন্যানোস্যুটে আর উন্নত ট্যাকটিক্যাল মোড ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে আর দ্রুত গতি, স্টিলথ মোড ও পাওয়ার পাওয়া যাবে। ক্রাইটেক চ্যালেঞ্জ করেছে ক্রাইইঞ্জিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ইপিক গেমসের আনরিয়েল ইঞ্জিনেরও ক্রাইসিস ২ চালানোর ক্ষমতা নেই।
ক্রাইটেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের নতুন এ গেমের সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট আগের গেমের তুলনায় কম হবে এবং তারা তাদের কথা রেখেছে। গেমের মিনিমাম ও রিকমেন্ডেড সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট গেমের গ্রাফিক্স কোয়ালিটির তুলনায় বেশ কমই চাওয়া হয়েছে। ফুল এইচডি মোডে খেলার জন্য কিছুটা হাই কনফিগারেশনের দরকার হবে, তবে তাও খুব বেশি নয়। গেমটি খেলার জন্য ২ গিগাহার্টজের কোর টু ডুয়ো বা এথলন এক্সটু সিরিজের প্রসেসর, ২ গিগাবাইট র্যারম এবং ন্যূনতম জিফোর্স ৮৮০০ জিটি বা রাডেওন এইচডি ৩৮৫০ গ্রাফিক্স কার্ড লাগবে।
কজ ওয়েব