মনে আছে কি সেই অলতেয়ার ইবনে লা-আহাদ, ইজিও অদিতোরে দ্য ফিরেঞ্জের ও ডেসমন্ড মাইলসের কথা? দুর্দান্ত সেই ঐতিহাসিক অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারভিত্তিক গেম এসাসিনস ক্রিডের কথা ভুলে যাননি তো? গেমের জগতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনাকারী এ গেমটি ভুলে যাবার নয়। এসাসিনস ক্রিডের মূল নায়ক ডেসমন্ড মাইলস নামের এক বারটেন্ডার যে কি না বহু পুরনো আততায়ী গোষ্ঠীর উত্তরাধিকারী। তার জিনে রয়েছে সেই আততায়ীদের বহু অজানা ইতিহাস। পিস অব ইডেন ধারণ করে আছে অকল্পনীয় শক্তি, যার লোভে সেই পুরনো যুগ থেকে এখন পর্যন্ত টেম্পলাররা তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। এসাসিন বা আততায়ী গোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে পিস অব ইডেনকে সুরক্ষিত রেখেছে। ডেসমন্ডের স্মৃতির আবডালে লুকিয়ে আছে পিস অব ইডেনের সন্ধান, তাই তাকে এনিমাস নামের এক মেশিনে রেখে তার জিন থেকে পুরনো কাহিনীগুলো ঘেঁটে দেখে পিস অব ইডেনের সন্ধান চায় টেম্পলাররা।
প্রথম গেমে ডেসমন্ড এনিমাস মেশিনের সাহায্যে জেরুজালেম, আক্রে ও দামেস্কাসে বিচরণ করে বেড়ায় তার পূর্বপুরুষ অলতেয়ার ইবনে লা-আহাদের বেশে। কিন্তু গেমের শেষে সে বুঝতে পারে তাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই দ্বিতীয় পর্বের প্রথমে দেখানো হয় সে টেম্পলারদের ল্যাব থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং আরও উন্নত আরেকটি এনিমাস মেশিন দিয়ে ইউরোপে বিচরণ করে বেড়ায় তার আরেক পূর্বপূরুষ ইজিও অদিতোরে দ্য ফিরেঞ্জের বেশে। দ্বিতীয় গেমের কাহিনী পুরো শেষ হয়নি এবং তা সমাপ্তি টানা হবে নতুন গেম ব্রাদারহুডে। এ গেমে সিজার বোর্গিয়া নামের টেম্পলারের জীবনের ইতি টানতে হবে। গেমের শেষে ডেসমন্ড জানতে পারবে সে আততায়ী গোষ্ঠীর ৭২তম বংশধর, যার ধারা শুরু হয়েছিল অলতেয়ার ও মারিয়ার মাধ্যমে।
নতুন এ গেমে ইজিওর সাথে থাকবে কয়েকজন সহকারী, যারা বিপদে ইজিওকে সাহায্যে করবে। গেমে রয়েছে অনেকগুলো অস্ত্র, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন যুক্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-লং সোর্ড, ক্রসবো, ডাবল হিডেন ব্লেড, পয়জন ডার্ট, হিডেন গান, স্পেয়ার, হালবার্ড, পাইক, থ্রোয়িং নাইফ, ওয়ারহ্যামার, মেস, ক্যালিভার, হুইললক পিস্তল, এক্স ইত্যাদি। গেমের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এ গেমেই প্রথম মাল্টিপ্লেয়ার অপশন রাখা হয়েছে। গেমে প্রায় ৮টি মোড রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-ওয়ান্টেড, অ্যালায়েন্স, ম্যানহান্ট, চেস্ট ক্যাপচার, অ্যাডভান্সড ওয়ান্টেড, অ্যাডভান্সড অ্যালায়েন্স, এসকর্ট ও এসাসিনেট। গেমের বিভিন্ন ম্যাপে এবং বেশ কয়েকটি স্থানে বিচরণ করতে হবে। যেমন-ফ্লোরেন্স, রম, ক্যাসল গান্ডোলফো, সিয়েনা, মন্ট সেইন্ট মিচেল ইত্যাদি। মাল্টিপ্লেয়ার মোডে প্রায় ২১টির মতো প্লেয়ার রয়েছে। তার হচ্ছে-কার্টেসান, বারবার, প্রিস্ট, নোবেল, প্রৌলার, এক্সেকিউশনার, ডক্টর, ব্ল্যাকস্মিথ, ক্যাপ্টেন, স্মাগলার, ইঞ্জিনিয়ার, থিফ, মার্সেনারি ইত্যাদি। আগের তুলনায় গেমের গ্রাফিক্স ও সাউন্ড সিস্টেম আরও উন্নত করে তোলায় এবং বেশ কিছু নতুন গেমপ্লে স্টাইলের সংযোজন গেমটির স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
গেমটি খেলার জন্য পেন্টিয়াম কোর টু ডুয়ো বা এএমডি এথলন এক্সটু ৬৪ সিরিজের ১.৮ গিগাহার্টজের প্রসেসর, এক্সপির জন্য ১.৫ ও ভিসতা/সেভেনের জন্য ২ গিগাবাইট র্যািম, ২৫৬ মেগাবাইট মেমরির পিক্সেল শেডার ৩.০ সাপোর্টেড গ্রাফিক্স কার্ড, ৮ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস এবং মাল্টিপ্লেয়ার মোডে খেলার জন্য ১২৮ কিলোবিট পার সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট কানেকশন লাগবে।
কজ ওয়েব