লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
ই-বাণিজ্য মেলা এবার বিভাগীয় শহরগুলোতে
কমপিউটার জগৎ-এর পাঠকমাত্র অবগত আছেন মাসিক কমপিউটার জগৎ গত ৭, ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আয়োজন করে এ দেশের প্রথম ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৩।‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত এ মেলার সফল সমাপ্তি ঘটে নির্ধারিত সময়েই। দেশে ই-বাণিজ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও এর সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরাই ছিল এ মেলা আয়োজনের মুখ্য লক্ষ্য। প্রথমবারের মতো এ ধরনের মেলা আয়োজন হলেও এতে বিপুল সাড়া পাওয়া যায়। মেলায় দর্শক সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। মেলায় ৪০টি স্টলসহ ৩৪টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। মেলায় বেশ কয়েকটি সেমিনারও আয়োজিত হয়। মেলায় বিভিন্ন স্পন্সর ও পার্টনারদের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি প্রত্যাশিত মাত্রায়।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ই-বাণিজ্য মেলার সফল সমাপ্তির পর বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের কাছে জোরালো তাগিদ আসে আমরা যেনো আর দেরি না করে ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরগুলোতে পর্যায়ক্রম এ ধরনের ই-বাণিজ্য মেলার আয়োজনের উদ্যোগ নিই। বিশেষ করে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিব এন. আই. খান এ ব্যাপারে আমাদের অভাবনীয়ভাবে উৎসাহ যুগিয়েছেন। ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিরাও সমভাবে আমাদের একই তাগিদ দিয়েছেন। এমনি একটি প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা ঢাকার বাইরের বিভাগীয় শহরগুলোতে পর্যায়ক্রমে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিই। সেই লক্ষ্য প্রাথমিকভাবে আমরা সবার আগে আগামী ৪, ৫ ও ৬ এপ্রিল ২০১৩ সিলেটে তিন দিনব্যাপী ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছি। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে একইভাবে ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজন করা হবে।
আমরা আশা করছি, ঢাকায় ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যেভাবে আমাদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বা দিয়েছিলেন, বিভাগীয় পর্যায়ের মেলা আয়োজনেও তাদের কাছ থেকে একই ধরনের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা পাব। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আপনাদের আমত্মরিক সহায়তা এই মেলার আয়োজনকে সফল করে তুলতে পারে। আমরা আশা করছি, সিলেট ই-বাণিজ্য মেলায় পণ্য ও সেবা প্রদর্শক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি এ মেলায় দর্শক সমাগমও ঘটবে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। কারণ, ঢাকায় অনুষ্ঠিত ই-বাণিজ্য মেলা ই-কমার্স সম্পর্কে জনসচেতনতা অনেকখানি বাড়িয়ে তুলেছে। তবে আমরা মনে করি, এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা আমাদের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। গণমাধ্যমগুলোর প্রচার সূত্রে দেশের মানুষ জানার সুযোগ পাবে ই-বাণিজ্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি সম্ভাবনাময় খাত। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে শুরু হওয়া ই-বাণিজ্য সম্ভাবনাগুলো এখনও আমাদের দেশের মানুষজন সঠিকভাবে জানার সুযোগ পায়নি। এই অভাব পূরণে দেশের গণমাধ্যমগুলো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। আর ই-বাণিজ্য মেলা জনগণের মধ্যে এ সম্পর্কে সার্বিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে। সে উপলব্ধি থেকেই কমপিউটার জগৎ ই-বাণিজ্য মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়। এ উদ্যোগ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের প্রয়াসে আমরা আন্তরিক থাকব, এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের ও সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রয়াসে বিভাগীয় শহরগুলোতে অনুষ্ঠিতব্য ই-বাণিজ্য মেলা সার্বিক সাফল্য লাভ করুক, এই মুহূর্তের কামনা আপাতত এটুকুই।
আমাদের এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের বিষয় ইউআইএসসি তথা ইউনিয়ন ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার। ২০০৭ সালে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার মিশন নিয়ে এই তথ্যকেন্দ্র চারটি বিষয়ে কাজ শুরু করে : এক. তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের জন্য তথ্য ও সেবা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলা, দুই. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করে তোলা, তিন. জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করা এবং চার. প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেবাকে ই-সেবায় পরিণত করা। ২০০৭ থেকে ২০১৩।' তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এবারের সংশ্লিষ্ট প্রচ্ছদ প্রতিবেদনটিতে।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনারা জানেন মূল্যস্ফীতির চাপ সংবাদপত্রেও আঘাত হেনেছে চরমভাবে। ফলে আমরা অত্যন্ত নিরুপায় হয়ে অনেকটা অসিত্মত্ব রক্ষার প্রয়োজনে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বেও কমপিউটার জগৎ-এর দাম ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি। এই দাম বাড়ানো আগামী মাস অর্থাৎ এপ্রিল ২০১৩ থেকে কার্যকর হবে।