ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তের্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ দিনব্যাপী বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি তথা বিসিএস আয়োজিত ‘বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড’ কমপিউটার মেলা শেষ হয়েছে। ‘ওয়ে টু ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে মেলার শুরু ১৭ নভেম্বর। শেষ হয় ২১ নভেম্বর।
মেলা উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রযুক্তিবান্ধব সরকার। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় থাকার সময় কমপিউটারের ওপর থেকে শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার করেন। ভেঙ্গে দিয়েছিলেন মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসায়। তথ্যপ্রযুক্তিকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। গঠিত হয়েছিল টাস্কফোর্স।
সামিটে বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান (ডানে)
তিনি বলেন, এদেশকে ডিজিটালের দিকে এগিয়ে নেয়ার অর্থ শুধু দেশের শহরগুলোর কিছুসংখ্যক তরুণকে উন্নত প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করা নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে বোঝায় দেশের আপামর জনসাধারণকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা হবে, মানুষের কল্যাণে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ সব বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, ওয়ে টু ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রথম কাজ হবে সারাদেশে আইসিটি শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়া। দেশের প্রত্যন্তে অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা সম্প্রসারণ করতে হবে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে। এজন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগের। আমরা যদি আমাদের শিক্ষাকে ডিজিটাল করতে না পারি, তবে আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকারে থেকে যাবে।
স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেন, সংসদে ইতোমধ্যেই ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। সংসদে এমপিদের দেয়া প্রশ্ন বাছাই প্রক্রিয়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। সংসদ সদস্যরা যাতে আইসিটি আয়ত্ত করতে পারেন, সেজন্য তাদের কমপিউটার দেয়া হচ্ছে। যারা কমপিউটার চালাতে পারবেন না তাদের জন্য অপারেটর দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সংসদ সদস্যদের ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিশেষ অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল ফারুক খান বলেন, অনলাইন পদ্ধতিতে দ্রুত ব্যবসায় বাণিজ্যের কাজ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একই সাথে ৬ ঘণ্টার মধ্যে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়েও আইটি সুবিধা চালু করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অনুমোদন পেলে তিনি ল্যাপটপ নিয়ে সংসদ অধিবেশনে যাবেন এবং প্রশ্নের জবাব দেবেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এমন ব্যবস্থা থাকবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ ই-মেইলে যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করার সুযোগ পান। ওই সব প্রশ্নের জবাবও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেয়া হবে।
বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে উন্নতি করবেই। এই শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের সব স্তরে সব অঞ্চলে ডিজিটাল পদ্ধতির সুবিধাসমূহ পৌঁছে দেয়া হবে, যাতে করে গ্রামের মানুষ এই প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করতে পারেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জববার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আজ মানুষ স্বপ্ন দেখে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কোনো বিকল্প নেই। বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড নতুন প্রজন্মের কাছে এক নবদিগন্তের সূচনা করবে।
তিনি আশা করেন আগামী বাজেট অধিবেশনের আগেই সংসদ ডিজিটাল হবে এবং অর্থমন্ত্রী ব্রিফকেস নয়, ল্যাপটপ নিয়ে সংসদে প্রবেশ করবেন।
বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ডের প্লাটিনাম স্পন্সর প্রতিনিধি গ্রামীণফোনের সিইও ওডভার হেশজেডাল বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি পণ্যের প্রদর্শনীতে প্লাটিনাম স্পন্সর হতে পেরে তারা গর্বিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্তে অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেটপ্রযুক্তি বিস্তারে গ্রামীণফোন কাজ করে চলেছে।
শেষে ধন্যবাদ জানান মেলার কো-কনভেনর শাহিদ-উল-মুনীর। মেলার গোল্ড স্পন্সর ছিল লেনোভো, মাইক্রোসফট, ওয়াইম্যাক্স ব্র্যান্ড কিউবি এবং স্যামসাং। সিলভার স্পন্সর মার্কারি এবং সমাপনী অনুষ্ঠানের স্পন্সর ইনডেক্স আইটি। টিকেট কাউন্টার স্পন্সর ক্যাসপারস্কি এবং ভলান্টিয়ার ড্রেস স্পন্সর ওরিয়েন্ট কমপিউটার্স। বিসিএসের সহ-সভাপতি এটি শফিক উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন মেলার কনভেনর। তিনি অসুস্থ থাকায় কোষাধ্যক্ষ শাহিদ-উল-মুনীর কো-কনভেনরের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্তে মেলা চলে। ৬৫টি প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের ৮৩টি স্টল এবং ৩২টি প্যাভিলিয়ন ছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিটকে সামনে রেখে আইসিটি ওয়ার্ল্ড ২০০৯-এর পাশাপাশি ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্তে ৬টি প্রাক-সম্মেলন অধিবেশনে একাধিক বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হলো : বিসিএসের আয়োজনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য টেকসই প্রযুক্তি’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আইন ও পদ্ধতি সংস্কার’, ‘ডিজিটাল ফটোগ্রাফি’, ‘ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি’, ‘সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এবং ‘ডিজিটাল সংসদ’। গ্রামীণফোনের আয়োজনে ‘এক সংযুক্ত বাংলাদেশের অভিমুখে’। কম ভ্যালীর আয়োজনে ‘এসঅ্যান্ডডি : এ নিউ অডিও এক্সপেরিয়েন্স’ এবং লেনোভোর আয়োজনে ‘নতুন বিশ্ব নতুন চিন্তা’ বিষয়ক সেমিনার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি শিল্পে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় ফ্লোরা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে। তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। আইবিসিএস-প্রাইমেক্স সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেডের আবু ইউসুব মেসবাহউদ্দিন আহামদ পেয়েছেন মরণোত্তর লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড। তার ছেলে প্রতিষ্ঠানের সিইও জামাল আহমেদ স্পিকারের কাছ থেকে অ্যাওয়ার্ড নেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট ২০০৯
বর্তমান বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর এক আধুনিক বিশ্বে পরিণত হয়েছে। সে তুলনায় উন্নয়নশীল দেশেগুলো পিছিয়ে আছে। এই খাতের উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে। ২২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তের্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট ২০০৯ উদ্বোধনকালে রাষ্ট্রপতি মো: জিল্লুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, পাটমন্ত্রী আ: লতিফ সিদ্দিকী, বিসিএস সভাপতি মোস্তাফা জববার প্রমুখ।
বক্তারা তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেবার মাধ্যমে ধনী-গরিব সবার মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিটের মূল অনুষ্ঠান। জাতীয় আইসিটি নীতিমালা ২০০৯-এর বাস্তবায়ন শীর্ষক এ অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রামীণফোনের সিইও ওডভার হেশজেডাল। বিসিএস সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী পরিচালক মো: মাহফুজুর রহমান।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য শুধু শহরকেন্দ্রিক উদ্যোগ না নিয়ে গ্রামেও প্রযুক্তিসুবিধা ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানানো হয়।
এই সম্মেলনে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) নীতিমালা ২০০৯ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রস্তাব রাখা হয়। বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড ২০০৯-এর পাশাপাশি ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাক-সম্মেলন অধিবেশনে আলোচনার বিষয়গুলোকে প্রস্তাবে যুক্ত করার কথা বলা হয়। সম্মেলনে নেয়া নানা প্রস্তাব বিজ্ঞান সচিবের কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি প্রস্তাবনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রাক-সম্মেলন অধিবেশনে আলোচিত বিষয়গুলো জাতীয় আইসিটি নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে। সন্ধ্যায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিটের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
মেলায় দেয়া বিভিন্ন অফার
প্রতিবারের মতো এবারের মেলাতেও প্রযুক্তি পণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেশকিছু অফার বা ছাড় দেয়।
কমপিউটার জগৎ :
আইসিটি ওয়ার্ল্ডে সেরা আকর্ষণ ছিল কমপিউটার জগৎ-এর লাইভ ওয়েবকাস্টিং। কমপিউটার জগৎ ডট কম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘ইউ আর লাইভ’ স্লোগানে প্রতিদিন মেলা এবং সেমিনারগুলো সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থেকে মেলা ও সেমিনার উপভোগ করা যায়। ওই লাইভ ওয়েবকাস্টের আর্কাইভও থাকছে ওয়েবসাইটের ভিডিও সেকশনে। অল্প চার্জের বিনিময়ে যেকেউ এই সেবা নিতে পারবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা মেলা ও সেমিনার সরাসরি দেখে অনলাইনে মন্তেব্যও পাঠিয়েছেন। যারা ইউটিউব দেখে ভাবেন, এমন কিছু বাংলা ভাষায় আসছে না কেনো, তাদের জন্যই এসেছে কমপিউটার জগৎ ওয়েবসাইটের ভিডিও সেকশন। সেখানে যেকেউ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। যেকোনো মতামত দেয়ার জন্য রয়েছে ব্লগ। ওয়েবসাইট : www.comjagat.com। ভিডিও সেকশন : www.video.comjagat.com। ব্লগ : blog.comjagat.com।
ফ্লোরা লিমিটেড :
দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা লিমিটেড। বরাবরের মতো এবারের মেলাতেও একাধিক স্টল নিয়ে তাদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো যেখানে ছিল তাদের বাজারজাতকরা বিভিন্ন পণ্যের ওপর ছাড়। বিশেষ করে এইচপি ল্যাপটপ ও এপসন প্রিন্টারের ওপর দেয় বিশেষ মূল্য ছাড়।
স্মার্ট টেকনোলজিস :
স্যামসাং, তোশিবা এবং গিগাবাইট এইচপি প্যাভিলিয়নসহ স্মার্ট টেকনোলজিস তিনটি স্টল নিয়ে অংশ নেয়। মেলায় এইচপি-কম্প্যাক পণ্যে ছিল এইচপি ল্যাপটপ, ক্যামেরা মোবাইল, টিশার্ট, ৪ গি.বা. পেনড্রাইভ, শপিং ভাউচার ও প্রাইজবন্ড জিতে নেয়ার সুযোগ। গিগাবাইট পণ্যে ছিল টি-শার্ট, তোশিবার নতুন মডেলের ল্যাপটপে ডিসকাউন্ট এবং ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস ফ্রি। স্যামসাং প্রিন্টারের দাম কমানো এবং অদলবদল অফারে পুরনো প্রিন্টার বদলে নতুন স্যামসাং লেজার প্রিন্টার দেয়া হয়েছে। গিগাবাইট প্যাভিলিয়নে ছিল গিগাবাইট গেমিং জোন।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড :
গ্লোবাল ব্র্যান্ড এনেছিল তাদের প্রায় সব পণ্য। তারা দেয় আসুস নোটবুকে অন স্পট বুকিংয়ের সুবিধা। আসুসের কে৪০ আইজে মডেলের নোটবুকের সাথে ফ্রি ছিল ওয়াইম্যাক্স ডিভাইস এবং ১ মাসের ইন্টারনেট সংযোগ। আসুসের ই-বক্স এবং ই-টপ পিসির সাথে ছিল ফ্রি এক্সটারনাল অপটিক্যাল ড্রাইভ। আসুস পিসিতে ছিল ‘স্ক্র্যাচ অ্যান্ড উইন’ অফার। ডেল ব্র্যান্ডের ভোস্ট্র এ৮৬০ মডেলের ল্যাপটপে ছিল ১টি ওয়েবক্যাম ফ্রি। অন্যান্য পণ্যে ছিল মূল্য ছাড়।
এসার :
এসারের বিজনেস ও সার্ভিস পার্টনার ‘এক্সিকিউটিভ টেকনোলজিস’-এর স্টলে বিশেষ আকর্ষণ ছিল স্ক্রাচ অ্যান্ড সিওর উইন অফার। এতে প্রতিটি নোটবুকের সাথে ক্রেতারা জিতে নেয় একটি স্ক্রাচ কার্ড, যেখানে ছিল নিশ্চিত ক্যাশ ডিসকাউন্ট। এছাড়াও প্রতিটি পণ্যের সাথে ছিল একটি এসারের পলো শার্ট।
তোশিবা :
বিশ্বখ্যাত তোশিবার মোবাইল কমপিউটিং পার্টনার ‘আইওএম’ এবারের মেলায় প্রযুক্তিপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারের আয়োজন করে। মেলায় তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের সাথে ইন্টারনেট মডেম, পেন ড্রাইভ, ক্যামেরা মেমরি কার্ড ইত্যাদি পণ্য ক্রেতাদের ফ্রি দেয়।
জেএএন অ্যাসোসিয়েটস :
এর স্টলে ছিল নানা উপহার এবং প্রতিটি পণ্যে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ মূল্য ছাড়। এদের পরিবেশকদের কাছ থেকে ক্যানন প্রিন্টার, স্ক্যানার ও ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রেও ক্রেতারা এ সুবিধা পান। প্রতিটি ডিজিটাল ক্যামেরার সাথে উপহার ছিল ক্যামেরা ব্যাগ, ২ গি.হা. এসডি মেমরি কার্ড, ক্যামকর্ডারের সাথে ব্যাগ ও ২ গি.হা. এসডি মেমরি কার্ড।
আলোহা আই শপ :
আলোহা আইশপ মেলা উপলক্ষে অ্যাপলের বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় দেয়। এছাড়া মেলাপরবর্তী সময়ে বিশেষ করে বড়দিন উপলক্ষে মাসব্যাপী ‘ম্যাক প্রমোশন অফার’ চালু করেছে।
ওরিয়েন্টাল :
অডিও ভিজ্যুয়াল ও অফিস ইক্যুইপমেন্ট বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়েন্টাল সার্ভিসেস এভি (বিডি) লিমিটেড মেলায় এনেছিল হিটাচি ব্র্যান্ডের কিছু প্রজেক্টর। এছাড়া মেলায় তারা প্রদর্শন করে ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ডসহ নানা পণ্য এবং দেয়া হয় নানা উপহার।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : jagat@comjagat.com