পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান নাম শুনলেই ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোর নাম মনে আসে। এই মুভির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও মূল চরিত্রও হচ্ছে এই জ্যাক স্প্যারো। এই মজার চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন হলিউডের অন্যতম বিখ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ। এই মুভির তৃতীয় সিক্যুয়াল অ্যাট ওয়ার্ল্ডস ইন্ড নিয়ে তৈরি করা একটি গেম নিয়েই আজ আলোচনা করা হবে। তবে এর আগে এই সিরিজের আরো কিছু গেমের মধ্যে পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান, দ্য লিজেন্ড অব জ্যাক স্প্যারো, পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান- ডেড ম্যানস চেস্ট অন্যতম।
প্লট
গেমের নাম এই সিরিজের তৃতীয় মুভি পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান- অ্যাট ওয়ার্ল্ডস ইন্ড হলেও গেমের কাহিনী শুধু এই মুভির কাহিনীর ওপর নির্ভর করে বানানো হয়নি, বরং এখানে আগের মুভি ডেড ম্যানস চেস্ট-এর কিছু ঘটনাও রাখা হয়েছে। কাহিনীর শুরুতে দেখানো হয়েছে জ্যাক স্প্যারো জেলে বন্দী, গেমারকে নানান বুদ্ধি খাটিয়ে জ্যাক স্প্যারোকে জেল থেকে মুক্ত করতে হবে এবং সেই দ্বীপ থেকে পালাতে হবে। তারপর পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা নামকরা জলদস্যু বা পাইরেট লর্ডদের খুঁজে বের করতে হবে এবং তাদের সিপরেক কোভ নামের একস্থানে জমায়েত হওয়ার ব্যাপারে জানাতে হবে। কারণ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লর্ড কাটলার বেকেট দায়িত্বে আসার পর সে জলদস্যুদের সমুদ্র থেকে চিরতরে নির্মূল করার জন্য খুবই জটিল একটি চাল চালে। সে কৌশলে ডেভি জোনসের বাক্সবন্দী হার্ট বা হৃৎপি দখল করে ফেলে, যার ফলে ডেভি জোনস নামের সবচেয়ে ভয়ানক ও মহাপরাক্রমশালী জলদস্যুকে নিজের দলে টেনে নিতে সক্ষম হয়, কেননা যার কাছে ওই বাক্সবন্দী হৃৎপি টি রয়েছে ডেভি জোনস তার হুকুম পালন করতে বাধ্য থাকবে। তাই লর্ড কাটলার তাকে দিয়ে বাকি জলদস্যুদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। কারণ ডেভি জোনস হচ্ছে সমুদ্রের ত্রাস ফ্লাইং ডাচম্যান নামের জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং এই জাহাজের মোকাবেলা করতে পারে এমন কোনো জলদস্যু জাহাজ-সমুদ্রে নেই। এছাড়া এই জাহাজ দিয়ে ডেভি জোনস সমুদ্রের গভীর থেকে ক্রাকুন বা বহু শুঁড়বিশিষ্ট অনেকটা অক্টোপাসের আকারের বিশাল সামুদ্রিক প্রাণীকে জাগাতে পারে এবং সেটিকে শত্রুপক্ষের ওপর লেলিয়ে দিতে পারে। গেমে লর্ড কাটলারের এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত হওয়ার পথ বন্ধ করার জন্য গেমারকে বিভিন্ন মিশন খেলতে হবে।
গেমপ্লে
গেমটিতে প্রথমে গেমারকে জ্যাক স্প্যারোর ভূমিকায় খেলতে হবে এবং পরবর্তীতে অন্য ক্যারেক্টারগুলো নিয়েও খেলা যাবে। গেমটি মূলত থার্ড পারসন অ্যাকশন ধাঁচের গেম। গেমটি হার্ড ও ইজি মোডে খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। গেমে প্রধান অস্ত্র হিসেবে রয়েছে তলোয়ার এবং পাশাপাশি পুরনো আমলের পিস্তল ও অন্যান্য বিস্ফোরক জাতীয় হাতিয়ার ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। তবে সব ক্যারেক্টারকে নিয়েই মারপিট করার ধরন একই এবং মারামারি করে যুদ্ধে জেতাও বেশ সহজ।
গেমের ফিচার
গেমটি মুভির সাথে মিল রেখে বানানো হয়েছে, তাই গেমটি খেলতে বেশ ভালো লাগবে। এছাড়া ক্যারেক্টারগুলোর গ্রাফিক্সও খুবই চমৎকার হয়েছে। গেমে লুকানো কিছু আইটেম সংগ্রহ ও মিনি গেমগুলো হচ্ছে গেমটির অন্যতম আকর্ষণ।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
গেমটি চালানোর জন্য ন্যূনতম কমপিউটার কনফিগারেশন হচ্ছে ইন্টেল পেন্টিয়াম ১.৫ গিগাহার্টজ বা সমমানের এএমডি অথলন প্রসেসর, ২৫৬ মেগাবাইট র্যা ম, ১.৫ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, ডিরেক্টএক্স ৯.০ সি সাপোর্টেড ১২৮ মেগাবাইট মেমরির গ্রাফিক্স কার্ড এবং ডিরেক্টএক্স ৯.০ সি কম্প্যাটিবল সাউন্ডকার্ড।
কজ ওয়েব