• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মোবাইলপ্রযুক্তি : ফিরে দেখা ২০১৪
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মেহেদী হাসান
মোট লেখা:২৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মোবাইল
তথ্যসূত্র:
মোবাইলপ্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মোবাইলপ্রযুক্তি : ফিরে দেখা ২০১৪
সদ্য সমাপ্ত বছরটিতে মোবাইলপ্রযুক্তিতে অনেক কিছু যোগ হয়েছে, অনেক কিছুর আধুনিকায়ন হয়েছে। ভালো-মন্দের ভেতর দিয়ে আমরা পেছনে ফেলে এসেছি এ বছরটি। এরপরও সব মিলিয়ে একটা প্রযুক্তিময় বছর কাটিয়েছি আমরা। অথবা বলা যায়, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন হয়েছে বিগত ২০১৪ সালে। চলতি এবং আসন্ন বছরগুলোতে যার ফল পাওয়া যাবে। সদ্য সমাপ্ত বছরটিতে মোবাইলপ্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরাই এ লেখার উদ্দেশ্য।
স্মার্টওয়াচ এখন হাতের নাগালে
২০১৪ সাল জুড়ে স্মার্টওয়াচ তৈরির ধুম দেখা গেছে স্মার্টফোন প্রস্ত্ততকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। মটোরোলা, আসুস, স্যামসাং, এলজি এর মধ্যে অন্যতম। এর মূল কারণ স্মার্টওয়াচের জন্য অ্যান্ড্রয়িড ওএস বাজারে ছেড়েছে গুগল। এদিকে অ্যাপল মাঠে নেমেছে আইওয়াচ নিয়ে। আইফোন প্রকাশের দিনেই তারা নতুন আইওয়াচ প্রকাশ করে। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ এখন চাইলেই স্মার্টওয়াচ কিনতে পারছে। আগের চেয়ে অনেক নতুন মডেলে তো পাওয়া যাচ্ছেই, অনেক নতুন সুবিধাও যোগ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল জুড়েও এই ধারা বজায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লোকসানের বোঝা স্যামসাংয়ের কাঁধে
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে এমন কথা মানায় না। তবে ঘটনা সত্যি। প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক প্রকাশিত বিবরণীতে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি করা স্মার্টফোন না কমলেও বাজার দখলের শতকরা হার উল্লেখযোগ্য হারে নিম্নমুখী। একই সাথে লাভের পরিমাণও কমতে শুরু করেছে। চীনা স্মার্টফোন প্রস্ত্ততকারকদের উত্থান এর মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই বছরটিতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল ডাটার ব্যবহার তুঙ্গে
বছরজুড়ে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে অ্যাপের ব্যবহার। নতুন অ্যাপগুলোর বেশিরভাগ ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে। ফলে মোবাইল ডাটার ব্যবহার বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই সাথে বড় পর্দার স্মার্টফোন ও ট্যাবে মানুষ তাদের সব কাজ সেরে ফেলছে। আর তাই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০১৪ সাল জুড়ে মোবাইল ডাটা ট্রাফিক বেড়েছে প্রায় ৮১ শতাংশ।
বড় পর্দার আইফোন বাজারে
ব্যাপারটা নতুন করে বলার কিছু নেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, মোটামুটি সবার কানেই পৌঁছে গেছে। অবশ্য প্রচার করার মতো খবরই বটে। বছরের পর বছর একই মাপের পর্দার আইফোন বাজারে ছাড়ায় অ্যাপল বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে। সবাই আশা করতে থাকে পরবর্তী আইফোন নিশ্চয় বড় আকারের হবে। তবে ৫.৫ ইঞ্চি পর্দার আইফোন ৬ প্লাস বাজারে ছেড়ে সবাইকে যেন হতবাক করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি অনেক বড় মাপের অ্যান্ড্রয়িড ফোনের চেয়েও বড় এটি। ২০১৪ সালের গুরুত্বপূর্ণ খবরই বটে। অবশ্য স্মার্টফোনটি প্যান্টের পকেটে বেঁকে যেতে শুরু করে বলে সমালোচনার মুখে পড়ে।
সেলফি ফোনে বাজার ছেয়ে গেছে
২০১৩ সালে ‘সেলফি’ শব্দটা বেশ জোরেশোরেই উচ্চারিত হতে থাকে। সেলফি তোলার ধুম পড়ে যায়, যা এখনও আছে। তবে স্মার্টফোন প্রস্ত্ততকারকেরা এই নতুন ধারায় যুক্ত হতে কিছুটা সময় নেন। ২০১৪ সালে এসে তারা সামনের ক্যামেরার ওপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে। প্রায় প্রত্যেক প্রস্ত্ততকারক সেলফির জন্য বিশেষ মডেল বাজারে ছাড়তে শুরু করে। স্যামসাং বলুন কিংবা এইচটিসি, অথবা আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরও এখন বিশেষ সেলফি ফোন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
চীনা স্মার্টফোন প্রস্ত্ততকারকদের উত্থান
শিরোনাম দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তারা যুদ্ধ করতে মাঠে নামেনি। অবশ্য যুদ্ধ তো বলাই যায়। ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক। চীন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র, বিশেষ করে অর্থনৈতিক দিক থেকে। জনসংখ্যার দিক থেকে প্রথম হওয়ায় সব স্মার্টফোন প্রস্ত্ততকারকরা চীনা বাজারকে আলাদা গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। তবে চীনা প্রস্ত্ততকারীরা কি বসে আছে? তারা এতদিন শুধু দেশীয় বাজারকেই গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। অর্থাৎ চীনাদের জন্যই ফোন তৈরি করে এসেছে। দেশের বাইরে বলতে অন্য প্রস্ত্ততকারকদের হয়ে তাদের ফোন তৈরি করে দিয়েছে। তবে এবার তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব বাজারের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। ফলাফল? স্যামসাং, অ্যাপলের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমে গেছে। জিয়াওমি, হুয়াওয়ে, লেনোভো, ওপোর মতো চীনা ব্র্যান্ড এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্ববাসী কিনছে বেশ নির্ভরতার সাথে।
নকিয়া লুমিয়া এখন মাইক্রোসফট লুমিয়া
নকিয়ার ডিভাইস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ কেনার কথা ছিল মাইক্রোসফটের। এটা বেশ আগের খবর। তবে তাদের চুক্তি সম্পন্ন হয় ২০১৪ সালে এসে। এদিকে সম্প্রতি নকিয়া লুমিয়া বাদ দিয়ে মাইক্রোসফট লুমিয়া নামে হ্যান্ডসেট বাজারে ছাড়তে দেখা গেছে। তবে কি নকিয়া শেষ? এদিকে অবশ্য অন্য গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নকিয়া হয়তো নিজ নামে পুনরায় স্মার্টফোন বাজারে ছাড়তে পারে। তবে মাইক্রোসফটের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২০১৬-এর আগে তা হচ্ছে না। ট্যাবলেট ছাড়তে যেহেতু কোনো আপত্তি নেই, তাই নকিয়া এন১ নামে নতুন একটি অ্যান্ড্রয়িডচালিত স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে নকিয়া।
নতুন নেক্সাস সাধ্যের বাইরে
বিশ্ববাজারে গুগলের নেক্সাস মডেলের স্মার্টফোনগুলো কেনা বেশ সহজসাধ্য ছিল। অন্তত একই ফিচারের অন্যান্য ফোনের তুলনায় তো বটেই। বাংলাদেশে সরাসরি বিক্রি না করায় অবশ্য এখানে দাম কিছুটা বেশি পড়ত। যাই হোক, গুগল ও মটোরোলা যৌথভাবে গত নভেম্বরে নেক্সাস ৬ প্রকাশ করে বেশ হইচই ফেলে দেয়। তবে দুঃখের বিষয়, নতুন এই মডেলটির দাম এত বেশি রাখা হয়, যা সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। কে যানে বাংলাদেশে এই ফোনের দাম প্রাথমিকভাবে কত রাখা হবে!
অ্যান্ড্রয়িড ফোনে ৬৪ বিট প্রসেসর
অ্যাপলের আইফোন ৫এস বাজারে ছাড়ার পর সে সময় একটি বিষয় বেশ জোর দিয়ে প্রচার করে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। ৬৪ বিটের প্রথম আইফোনের সাথে তা সমর্থন করে এমন অপারেটিং সিস্টেম প্রচার করার মতোই বটে। অ্যান্ড্রয়িড ব্যবহারকারীদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তবে এ বছর এইচটিসি বাজারে ছাড়ে ‘ডিজায়ার ৫১০’ মডেলের স্মার্টফোন, যা ৬৪ বিট সিস্টেম সমর্থন করে। দামও একদম আকাশছোঁয়া নয়। ফলে অ্যান্ড্রয়িড ব্যবহারকারীদের তো খুশি হওয়ারই কথা। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, অ্যান্ড্রয়িড অপারেটিং সিস্টেম ৬৪ বিট সমর্থন করত না। এর সমাধান দিয়েছে অ্যান্ড্রয়িডের নতুন সংস্করণ ললিপপ
ফিডব্যাক : mhasanbogra@gmail.com

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা