• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > স্মার্ট প্রযুক্তির সিইএস মেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: ইমদাদুল হক
মোট লেখা:৩৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৯ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
স্মার্ট প্রযুক্তির সিইএস মেলা
স্মার্ট প্রযুক্তির সিইএস মেলা
ইমদাদুল হক

বছরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাস নগরীতে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় তড়িৎ-প্রযুক্তি প্রদর্শনী কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস)। সর্বশেষ প্রযুক্তির উৎসব হিসেবে কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো বরাবরই থাকে জমজমাট। এবারও অনেক উদ্ভাবন ও ডিভাইস নিয়ে আলোচনা ছড়িয়েছে এ প্রদর্শনী।

পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ তিনটি জোনে প্রযুক্তিপণ্য, সেবা ও ধারণার পসরা উপস্থাপন করে নেয় ৪ হাজার ৫০০ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল স্টার্টআপ কোম্পানি। বাদ যায়নি গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, স্যামসাং, অ্যাপল, এসারের মতো নামি ব্র্যান্ডও।

প্রদর্শনী উপলক্ষে গত ৮ থেকে ১১ জানুয়ারি চার দিন লাস ভেগাসের বিভিন্ন হোটেলে টেক ইস্ট, টেক ওয়েস্ট এবং টেক সাউথ জোনগুলোকে ভাগ করে দেয়া হয়। এসব জোনেই বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে কৌতুহল আর উদ্দীপনা নিয়ে অংশ নেন প্রায় দুই লাখ দর্শনার্থী। ২.৭৫ মিলিয়ন বর্গফুটের বড় পরিসরে বিন্যস্ত ছিল ১১টি ভেন্যুতে। ২৫টি মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করা হয় ২৪ ক্যাটাগরির হাজারো চমকপ্রদ টেক পণ্য। ৩০ লাখ বর্গফুটের হলরুমে ছিল না তিলধারণের ঠাঁই।

দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত হার্ডওয়্যার, ভাঁজযোগ্য স্মার্টফোন, বাঁকানো পর্দার টিভি, রোবট বালিশ ও ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস ছাড়াও হাল ফ্যাশন ও প্রযুক্তির গ্যাজেট ছিল প্রদর্শনীতে। ছিল এআই ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ডিভাইসের ছড়াছড়ি। ইন্টারনেট অব থিংস সেন্সর ও কানেক্টিভিটি ছাপিয়ে ছিল ইন্টেলিজেন্স অব থিংসের প্রাধান্য।
৮-কে রেজ্যুলেশনের টিভি নিয়ে হাজির হয় স্যামসাং, সনি, এলজি, তোশিবা ও শার্প। এলজি উন্মোচন করে ভাঁজযোগ্য ফোন। চমক হিসেবে নুমি ২.০ মডেলের স্মার্ট টয়লেট প্রদর্শনীতে হাজির হয় অ্যালেক্স। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকগুলো ডিভাইসও প্রদর্শিত হয় এ মেলায়। লোভট, কিকি, লিকু নামের আদুরে চেহারার কিছু রোবট মেলায় দর্শনার্থীদের অভিবাদন জানিয়েছে। প্রদর্শনীতে ল্যাপটপও ছিল বেশ কয়েকটি। নাকডাকা প্রতিরোধে ফিলিপসের স্মার্ট বেল্ট, খাদ্য হজম হওয়ার ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি মুখের ভাষা পড়তে সক্ষম রোবট কী ছিল না এখানে!

গাড়িতে প্রযুক্তির ছোঁয়া

স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য খুব একটা আদর্শ জায়গা না হলেও সিইএস শো-কে গুরুত্ব দিয়ে এতে অংশ নেয় ১১টি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। দেখা মেলে পাল ভি লিবা মডেলের তিন চাকার উড়ন্ত গাড়ি।

সেলুলার ভেহিকেল

ধরুন, গুলশান থেকে আপনি ধানমন্ডির দিকে যাচ্ছেন। কিন্তু পথের অবস্থা সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই। এর দরকারও নেই। আপনার গাড়িটিই ঝটপট ওখানে থাকা আরেকটি গাড়ির সাথে যোগাযোগ করে জেনে নেবে এলিফ্যান্ট রোডের যানজটের তথ্যসহ পারিপার্শ্বিক বিষয়।

এবারের সিইএস মেলায় পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্কভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর গাড়ির নমুনা দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর্ড। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে সি-ভি ২ এক্স নামের প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের গাড়িগুলো সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য শেয়ার করবে। ২০২২ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে তাদের প্রতিটি মডেলে এই প্রযুক্তি করা হবে। আর এই গাড়িটিকেই ফোর্ড বলছে সেলুলার ভেহিকেল।

মার্সিডিজ বেঞ্জ আর্বানেটিক

এবারের মেলায় স্বচালিত গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিল জার্মানির বিখ্যাত গাড়ির ব্র্যান্ড মার্সিডিজ বেঞ্জ। হলিউডের সায়েন্স ফিকশন ছবিগুলোতে ভবিষ্যতের গাড়ি যে রকম দেখতে ‘আর্বানেটিক’ ঠিক সে রকম। এই গাড়িতে কোনো স্টিয়ারিং হুইল, গিয়ার কিছুই নেই। আপনি উঠে বসবেন, গাড়ি চলবে। এতে মানুষ এবং পণ্য দুটোই পরিবহন করা যায়।

উড়ন্ত ট্যাক্সি

যানজট এড়িয়ে দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে উড়ন্ত ট্যাক্সির জুড়ি নেই। আর সেই প্রযুক্তি নিয়ে এবারের মেলায় এসেছিল বেল এয়ার ট্যাক্সি। এই উড়ন্ত ট্যাক্সিতে ছয়টি পাখা আছে। এটি হেলিকপ্টারের মতো উঠতে-নামতে পারে। এর ওজন ৬০০০ পাউন্ড, রেঞ্জ ১৫০ মেইল এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ মাইল।

টয়োটা চালকবিহীন গাড়ি

দর্শনার্থীদের চমক দিয়ে এবারের সিইএস মেলায় চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে টয়োটা। এর একটি হচ্ছে শফার এবং অন্যটি গার্ডিয়ান। শফার প্রযুক্তিতে গাড়ি সম্পূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয় এবং গার্ডিয়ান প্রযুক্তিতে চালককে নানাভাবে সহযোগিতা করে।

হলোরাইড

উবারের মাধ্যমে একটা গাড়ি ভাড়া করে যে ধানমন্ডি থেকে গুলশান যাওয়ার পথে জ্যামে আটকে আছেন দীর্ঘক্ষণ। এই বিরক্তিকর সময়ে যাত্রীকে বিনোদিত হরকে এবারের মেলায় ‘হলোরাইড’ প্রদর্শন করে জার্মানির গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অডি। অবশ্য অডির সাথে অভিনব কনটেন্টনির্ভর এই প্রযুক্তিতে সাথে ছিল ডিজনি, মার্ভেল কমিক্স এবং হলোরাইড। হলোরাইডমূলক এটি একটি ইন-কার এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেম। রাইড হেলিং সার্ভিসের গাড়িগুলোতে ভিআর হেডসেট থাকবে। যাত্রীরা গাড়িতে ওঠার পরে ভিআর হেডসেট লাগিয়ে গেম খেলবে বা দূরের কোনো পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চারে মেতে উঠবে। গাড়ি ডানে ঘুরলে গেমসের মধ্যেও খেলোয়াড় দিক পরিবর্তন করবে।

টেলিভিশনের হাল প্রযুক্তি

সিইএসের অন্যতম আকর্ষণ টেলিভিশন। প্রতিবছর স্যামসাং, এলজি, সনিসহ বিশ্বের বড় বড় ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ডগুলো তাদের টেলিভিশন প্রযুক্তি দেখিয়ে থাকে। এবারের সিইএসের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ৮-কে হাই রেজ্যুলেশন টেলিভিশন। একে বলা হয় আল্ট্রা হাই ডেফিনিশন যাতে ৭৬৮০ পিক্সেল থাকে।

৯৮ ইঞ্চি ৮-কে কোয়াড এলইডি টিভি

বিভিন্ন দিক বিবেচনায় সিইএস-কে টেলিভিশন প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য বিখ্যাত স্থান মনে করা হয়। এক দশক আগেও অর্গানিক লাইট এমিটিং ডায়োড (ওএলইডি) একেবারে নতুন প্রযুক্তি ছিল। ওই সময় এ ডিসপ্লে প্রযুক্তি আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন স্মার্টফোন ও টিভির পাশাপাশি বিভিন্ন ডিভাইসে ওএলইডি ডিসপ্লে ব্যবহার হচ্ছে। চলতি বছর সিইএসে মাইক্রো এলইডি প্যানেলকে ছাড়িয়ে ৮-কে কোয়াড এলইডি টেলিভিশন উন্মোচন করেছে স্যামসাং। ডিভাইসটি অ্যামাজন অ্যালেক্সা এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট সমর্থন করবে। সিইএসে ২১৯ ইঞ্চির একটি মডিউলার মাইক্রো এলইডি ডিসপ্লে প্রদর্শন করেছে।

মোড়ানো পর্দার টিভি

এবারের প্রদর্শনীতে নতুন ওএলইডি টিভি ডিসপ্লে উন্মোচন করেছে এলজি। কাগজের মতো মোড়ানো যায় টিভিটি। গত বছর এ টিভি ডিসপ্লের প্রোটোটাইপ দেখিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহক একটি বাটন চেপেই সুবিধামতো টিভির ডিসপ্লে খুলে ব্যবহার করতে পারবেন এবং প্রয়োজন শেষে মুড়িয়ে একটি বাক্সের মধ্যে রাখতে পারবেন। বাটন চেপে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টিভির ডিসপ্লে খুলতে ও মুড়িয়ে বাক্সের মধ্যে যেতে সময় লাগে ১০ সেকেন্ড।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার টেলিভিশন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর টিভি নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছিল চীনের ইলেকট্রনিক ব্র্যান্ড হাইসেন্স। উন্মোচন করে ট্রাইক্রোমা লেজার টিভি। দর্শকের পছন্দ অনুযায়ী সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান দেখার সুবিধা দেয় টিভিটি।

উচ্চতা পরিবর্তনশীল মনিটর

স্যামসাংয়ের স্পেস মনিটরের নকশাটা খুবই সুন্দর। এটা জায়গাও কম নেয়। সাধারণ মনিটর বেশি নড়াচড়া করা যায় না, কিন্তু এই মনিটরের উচ্চতা বাড়ানো-কমানো যায়। এটি ২৭ ইঞ্চি আর ৩২ ইঞ্চির সাইজে পাওয়া যায়। ছোট মনিটরের রেজ্যুলেশন হচ্ছে ১৪৪০ পিক্সেল এবং বড় মনিটরের রেজ্যুলেশন ৪-কে। ছোটটির দাম ৫০০ ডলার এবং বড়টি ৬০০ ডলার।

চওড়া-বাঁকানো মনিটর

এবারের সিইএস মেলায় এলজি গেমারদের জন্য নিয়ে আসে আল্ট্রা ওয়াইড মনিটর। এই মনিটরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি একটু বাঁকানো এবং সাধারণ মনিটরের তুলনায় লম্বা। গেমারদের জন্য এটি দারুণ একটি মনিটর। ৪৯ ইঞ্চির আল্ট্রা ওয়াইড মনিটর ভিডিও এডিটিং প্রফেশনালদের জন্য এবং ৩৮ ইঞ্চির আল্ট্রা গিয়ার মনিটর হচ্ছে গেমারদের জন্য।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবান্ধব হাল-প্রযুক্তি
স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল এবং চিকিৎসা কাজে সহায়ক বেশ কিছু ডিভাইস ও পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের পসরা বসেছিল এবারের সিইএস মেলায়।

ব্লাড প্রেসার ঘড়ি

হৃদস্পন্দনের চাপ মেপে তা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে অ্যাপ্লিকেশননির্ভর একটি প্রযুক্তি ঘড়ি এবারের সিইএস মেলায় প্রদর্শন করেছে ওমরন হেলথকেয়ার। ঘড়িটির সাথে রয়েছে হার্র্ট অ্যাডভাইজার নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন। এতে পাম্প ও প্রেসার সেন্সর যুক্ত করায় সাধারণ হাতঘড়ির তুলনায় একটু বেশি ভারি।

স্মার্ট ব্লাড প্রেসার মেশিন

এবার সিইএস মেলায় কার্ডিওভাসকুলার রোগ শনাক্তকরণ ব্লাড প্রেশার মনিটর নিয়ে এসেছে ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান উইথিংস। যন্ত্রটি দেখলে মনে হবে হলিউড সায়েন্স ফিকশন ছবির কোনো প্রযুক্তি। এতে আছে ইসিজি মনিটর এবং ডিজিটাল স্টেথিস্কোপ। প্রয়োজন হয় না পাঞ্চ করে মেশিনে বাতাসের চাপ প্রয়োগের। হাতের সাথে বেঁধে সুইচ চেপে ধরলে এবং পাশে থাকা স্টেথিস্কোপটি বুকের পাশে মিশিয়ে ধরলে বাকি কাজটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে মেশিন নিজেই সেরে নেয়। এটি ওয়াই-ফাই বা ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত হয়। এর বাইরেও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের জন্য মুভ ইসিজি স্মার্টওয়াচ মেলায় প্রদর্শন করে উইথিংস। এই স্মার্টঘড়িতে আছে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম মনিটর, যা ব্যবহারকারীর হার্টের তথ্য সংগ্রহ করে সহজেই।

স্যামসাং এক্সোস্কেলেটন ও হেলথ রোবট

দুর্ঘটনার ফলে যারা স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেন না বা যাদের শারীরিক সমস্যা আছে এবং হাঁটতে কষ্ট হয় তাদের জন্য এবারের সিইএস মেলায় একটি স্কেলেটন প্রদর্শন করে স্যামসাং। জেমস এইচ মডেলের এই এক্সোস্কেলেটনের ওজন মাত্র ৪.৯ পাউন্ড। জেমস কে এবং জেমস এ নামে আরও দুটি মডেল রয়েছে হালকা এক্সোস্কেলেটনটির।

বট রোবট

এর বাইরেও বট কেয়ার হেলথ রোবট মেলায় উপস্থাপন করে স্যামসাং। এই রোবটটি একজন মানুষের রক্তচাপ, হৃদকম্পন, আপনি কতক্ষণ ঘুমান, কী ধরনের ঘুম হয় ইত্যাদি বিষয় পরিমাপ করতে পারে। আপনার কখন কখন ওষুধ খেতে হবে সেটাও মনে করিয়ে দেবে। এমনকি কোনো কারণে যদি ব্যবহারকারী অচেতন হয়ে যায় বা সমস্যায় পড়ে, এটি সাথে সাথে জরুরি সেবায় যোগাযোগ করতে পারে।

কেটেল বেল

কেতলির মতো দেখতে স্মার্টফিটনেস ডিভাইস কেটেল বেল নিয়ে এবারের মেলায় হাজির হয়েছিল জ্যাক্সজক্স নামে একটি ফিটনেস পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। কেটেল বেল কানেক্ট নামের ডিভাইসটিতে একটি চার্জার পোর্ট আছে। এই পোর্টে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে আছে। ব্যবহারকারী এই ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে কেটেল বেলের ওজন বাড়াতে বা কমাতে পারেন। এর দাম পড়বে ৩৫০ ডলার।

মেটাবলিজম মনিটর

নিঃশ্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে শরীর কত ক্যালরি খরচ করছে, হজম শক্তির কী অবস্থা ইত্যাদি তথ্য জানানোর জন্য একটি বিশেষ ডিভাইস লুমেন মেটাবলিজম মনিটর। এই যন্ত্রটি একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সাথে কাজ করে। লুমেন একটি স্টার্টআপ। ইন্ডিগোগো থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি ২ মিলিয়ন ডলার ফান্ড পেয়েছে। এ বছর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি তাদের পণ্য বিক্রি করবে। মেটাবলিজম মনিটরের মতো একই রকমভাবে কাজ করে ফুড মার্বল এয়ার। এটি ব্যবহারকারীর শ্বাস পরীক্ষা করে বলে দেয় খাবার কীভাবে হজম হচ্ছে। এটি ব্যবহারকারীর শ্বাসে কী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড আছে, তা নির্ণয় করে এবং সেখান থেকে হিসাব করে যে, কী পরিমাণ খাবার ক্যালরি উৎপাদন করছে এবং কত ক্যালরি খরচ হচ্ছে।

গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট আপগ্রেড ইন্টারপ্রেটার মোড

বেশ ঘটা করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিতে দারুণ কিছু জিনিস নিয়ে এবারের সিইএস মেলায় আসে গুগল। গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের নতুন দুটি ফিচার ইন্টারপ্রিটার মোড এবং কানেক্ট মোড এবারের সিইএসে উন্মোচন করা হয়েছে। ইন্টারপ্রিটার মোডে ব্যবহারকারী একটি স্মার্ট ডিসপ্লের মাধ্যমে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের সাথে ২৭টি ভাষায় কথা বলতে পারবে। গুগল কানেক্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিভাইসে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ করবে, যার ফলে গুগল হোম স্মার্ট স্পিকারের ওপরে চাপ কম পড়বে।

সিইএস মেলায় আলোচিত ল্যাপটপ

সিইএস মেলায় হাজির হয়েছিল বেশ কিছু ল্যাপট। ল্যাপটপগুলোর বেশিরভাগই ছিল গেমিং ঘরানার। পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হয় এগুলো। এবার সে দিকটায় একটু চোখ দেয়া যাক।

আসুস স্টুডিও বুক

আসুসের স্টুডিও বুক এস ( ডব্লিউ ৭০০) একটি ওয়ার্কস্টেশন ল্যাপটপ। এতে আছে ১৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে, যার অ্যাসপেক্ট রেশিও ১৬:১০। এর ওজন ২.৩৯ কেজি। এতে ইন্টেলের জিয়ন ই-২১৭৬ সিক্স কোর অথবা ইন্টেল কোরআই৭ প্রসেসর লাগানো যায়। এতে আছে এনভিডিয়া কোয়াড্র পি৩২০০ গ্রাফিক্স। র‍্যাম ৬৪ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যায়।

এসার সুইফট ৭

এবারের সিইএসে তাইওয়ানের বিখ্যাত কমপিউটার ব্র্যান্ড এসার তাদের সুইফট ৭ আল্ট্রা বুক উন্মোচন করে। এটি খুবই চিকন একটি কমপিউটার। এতে আছে ১৪ ইঞ্চির ডিসপ্লে এবং ২.৫৭ মিমি বেজেল। এই ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন হচ্ছে ১৯২০ বাই ১০৮০। এই ডিসপ্লেতে সুরক্ষার জন্য আছে গরিলা গ্লাস ৬। এতে আছে ইন্টেল কোরআই৭ ৮৫০০ ওয়াই। এর ওজন মাত্র ৮৯০ গ্রাম। এতে ১০ ঘণ্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে।

আসুসের ক্রোমবুক ফ্লিপ সি ৪৩৪

ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইসটির ডিসপ্লের সাইজ ১৪ ইঞ্চি। ৪ গিগাবাইট র‌্যাম ও ১২৮ গিগাবাইট ইন্টারনাল স্টোরেজ সমৃদ্ধ ডিভাইসটি টানা ১০ ঘণ্টা ব্যাকআপ সুবিধা দেবে।

এলজি গ্রাম ১৭

সিইএসে উন্মোচিত এলজি গ্রাম ১৭ ল্যাপটপটিতে রয়েছে অষ্টম প্রজন্মের ইন্টেল কোরআই৭ প্রসেসর। অধিক ব্যাটারি ব্যাকআপ সুবিধার জন্য বিশেষভাবে প্রযুক্তিপ্রেমীদের নজর কেড়েছে ডিভাইসটি। একবার সম্পূর্ণ চার্জে ডিভাইসটি টানা সাড়ে ১৯ ঘণ্টা ব্যাকআপ সুবিধা দেবে। ডিভাইসটির ওজন মাত্র ৩ পাউন্ড। ৮ ও ১৬ গিগাবাইট র‌্যামের সংস্করণে ডিভাইসটি ২৫৬ ও ৫১২ ইন্টারনাল মেমরি সংস্করণে বাজারে পাওয়া যাবে। হোয়াইট ও ডার্ক রঙের ডিভাইসটিতে রয়েছে ইউএসবি টাইপ সি, ৩.৫ এমএম হেডফোন জ্যাক ও মাইক্রো এসডি কার্ডস্লট সুবিধা।

ডেল এক্সপিএস ১৩

আগের এক্সপিএস ১৩ সিরিজের চেয়ে বেশ উন্নত নতুন ডিভাইসটি। এতে রয়েছে এইচডি ওয়েবক্যাম ও ইনফিনিটি এজ ডিসপ্লে। ১৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে সমৃদ্ধ ডিভাইসটিতে রয়েছে কোয়াড কোর অষ্টম প্রজন্মের প্রসেসর ও শক্তিশালী ব্যাটারি। একবার সম্পূর্ণ চার্জে ডিভাইসটি টানা ২১ ঘণ্টা ব্যাকআপ সুবিধা দিতে পারবে।

এইচপি উইমেন ১৫ গেমিং ল্যাপটপ

কনজিউমার ইলেকট্রনিকস শোতে নতুন উইমেন ১৫ গেমিং ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে এইচপি। এইচপির নতুন উইমেন ১৫ গেমিং ল্যাপটপে অষ্টম প্রজন্মের ইন্টেল কোরআই৭ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রাফিক্স হিসেবে আছে এনভিডিয়া জিফোর্স আরটিএক্স ২০৭০ ম্যাক্স-কিউ। ডিভাইসটির ওএলইডি ডিসপ্লে সংস্করণে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন হাই-এন্ড ফিচারের কারণে ওএলইডি ডিসপ্লে সংস্করণের দাম তুলনামূলক বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যালিয়েন ওয়্যার ৫১এম

গেমারদের জন্য বাজারে উন্মোচন করা হয়েছে ল্যাপটপটি। সিইএস আয়োজনে বেশ সাড়া ফেলেছে ডিভাইসটি। কেননা, এতে রয়েছে প্রসেসর ও জিপিইউ আপডেট করার সুবিধা। অর্থাৎ একজন ব্যবহারকারী চাইলে ডেস্কটপ কমপিউটারের মতোই ল্যাপটপটির বিভিন্ন হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করতে পারবেন। প্রসেসর হিসেবে ডিভাইসটিতে রয়েছে ইন্টেল কোরআই৯ ৯৯০০কে প্রসেসর। ৬৪ গিগাবাইট র‌্যামের ল্যাপটপটির ডিসপ্লে আকার ১৭ দশমিক ৩ ইঞ্চি ও রেজ্যুলেশন ১৯২০ বাই ১০৮০ পিক্সেল।

স্যামসাং নোটবুক ৯ প্রো

সিইএসে নোটবুক ৯ প্রো কনভার্টিবল ল্যাপটপ উন্মোচন করেছে স্যামসাং। ধাতব কাঠামোর ডিভাইসটিতে ইন্টেলের অষ্টম প্রজন্মের প্রসেসর রয়েছে। ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি ডিসপ্লের খুবই চিকন বেজেলের ৮ গিগাবাইট র‌্যামের এ ল্যাপটপে ২৫৬ গিগাবাইট বিল্টইন স্টোরেজ সুবিধা রয়েছে। ডিভাইসটিতে গ্রাফিক্স হিসেবে আছে ইন্টেল ইউএইচডি ৬২০। ডিভাইসটিতে কানেক্টিভিটির জন্য আছে ওয়াই-ফাই, থান্ডারবোল্ড ৩ পোর্ট, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট, মাইক্রো এসডি কার্ড ¯øট ও একটি ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক।

স্মার্ট ট্যাব পি ১০ ও এম ১০

কমপিউটিং ডিভাইসের পাশাপাশি সিইএসে স্মার্ট ট্যাব পি ১০ ও এম ১০ নামে দুটি ট্যাবলেট ডিভাইস উন্মোচন করেছে লেনোভো। ডিভাইস দুটিতে লেনোভোর স্মার্ট ডক ফিচার রাখা হয়েছে। অ্যামাজন অ্যালেক্সা সমর্থিত দুই ট্যাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও এবং অ্যামাজন মিউজিক সমর্থন করবে।

আসুস আরওজি মাদারশিপ গেমিং পিসি

এবারের সিইএস মেলায় ল্যাপটপের পাশাপাশি আরওজি মাদারশিপ গেমিং পিসি সবার নজর কেড়েছে। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছেÑ এটি মাইক্রোসফটের জনপ্রিয় সারফেস প্রো সিক্স ল্যাপটপের ডিজাইন অনুসরণ করেছে। এতে আছে ডিটাচেবল কিবোর্ড এবং কিক স্ট্যান্ড। এর ডিসপ্লের আকার ১৭ ইঞ্চি এবং এতে আরটিএক্স ২০৮০ গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ইন্টেলের কোরআই৯ ৮৯৫০ এইচকে প্রসেসর, ৬৪ জিবি র‍্যাম, এসএসডি ড্রাইভ আছে। তাইওয়ানের বিখ্যাত কমপিউটার ব্র্যান্ড আসুস নির্মিত এই পিসিটি এ বছরের মাঝামাঝিতে বাজারে ছাড়া হবে।

অনার ভিউ ২০

সিইএসে অনার ভিউ ২০ স্মার্টফোন উন্মোচন করে হুয়াওয়ের সাব-ব্র্যান্ড অনার। ৬ দশমিক ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের ডিভাইসটিতে ৪৮ মেগাপিক্সেলের থ্রিডি রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ আছে। এর স্পর্শপর্দায় কোনো নচ প্রযুক্তি রাখা হয়নি। সেলফি ক্যামেরার জন্য হ্যান্ডসেটটির ডিসপ্লে প্যানেলের ওপরের বাঁ পাশে একটি ছিদ্র রয়েছে। ডিভাইসটির ৬ গিগাবাইট র‌্যাম সংস্করণে ১২৮ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ তথ্য সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে এবং ৮ গিগাবাইট র‌্যাম সংস্করণে ২৫৬ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ সুবিধা মিলবে।

স্মার্ট টয়লেট

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কোহলার সিইএসে তাদের নতুন বুদ্ধিমান টয়লেট প্রযুক্তি প্রদর্শন করেছে। নুমি ২.০ নামের এই টয়লেটে অ্যামাজনের অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট যুক্ত হয়েছে। এতে আরও আছে বিল্টইন সারাউন্ড সাউন্ড স্পিকার, অ্যামবিয়েন্ট মোড লাইটিং। কণ্ঠ শনাক্তকরণ প্রযুক্তির এই টয়লেটে ব্যবহার হয়েছে ডায়নামিক লাইটিং। ব্যবহারকারীর মৌখিক নির্দেশেই সম্পন্ন হবে ফ্ল্যাশ, শুষ্ক হবে টয়লেটের প্যান। ব্যবহারকারী চাইলে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দিতে গান শুনতে পারবেন। জানতে পারবেন আবহাওয়ার পূর্বাভাস, খবরাখবর, ট্রাফিক পরিস্থিতি সম্পর্কে। এই টয়লেটের সিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলবে ও বন্ধ হবে এবং সব সময় গরম থাকবে। এতে আরও আছে দুর্গন্ধ দূর করার ব্যবস্থা। ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন মতো পানির তাপ, চাপ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এ বছরে কোহলার এই নুমি ২.০ বাজারে ছাড়বে। দাম পড়বে ৭০০০ ডলার।

ডিজিটাল ডায়াপার

বিশ্বের অনেক দেশেই প্রবীণ লোক আছেন। তারা নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। সময় মতো বাথরুমে যেতে পারেন না এবং কাপড়চোপড় নষ্ট করে ফেলেন। এজন্য তারা ডায়াপার পরেন। তো এমন সব মানুষের জন্য ব্লাডার মনিটর অবমুক্ত করেছে ট্রিপল ডবিøউ নামে একটি জাপানি প্রতিষ্ঠান। ডিভাইসটির নাম দিয়েছে ডিফ্রি। এটি ব্যবহারকারীর ব্লাডার সব সময় পর্যবেক্ষণ করে এবং বাথরুম চাপার আগেই তাদের সাবধান করে দেয়। এর ফলে ওই ব্যক্তি সময় মতো বাথরুমে যেতে পারেন।

মুই স্মার্ট ডিসপ্লে

সিইএস ২০১৯-এ যে বস্তুটি দেখতে একটু কদাকার ছিল সেটি হচ্ছে এক টুকরা কাঠ, যা প্রযুক্তির সাথে যুক্ত। কাঠের তৈরি এই বস্তুটি মূলত স্পর্শকাতর ব্যবস্থাযুক্ত, যার ফলে এতে স্পর্শ করার সাথে সাথে এটি ডিসপ্লের মতো কাজ করতে শুরু করে। এটি দিয়ে আপনি জানতে পারবেন ঘড়ি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বাসায় ব্যবহৃত লাইটের আলোর পরিমাণ/মাত্রা, আপনাকে পাঠানো টেক্সট ম্যাসেজ এবং জানাবে আপনার কাছে আসা যেকোনো ভয়েস মেইলও। এতে যুক্ত আছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং এর মাধ্যমেই আপনি সব কিছুর আপডেট জানতে পারবেন। এই কাঠের টুকরাটি বাজারে আসতে যাচ্ছে এ বছরের সেপ্টেম্বরে এবং দাম পড়বে ১০০০ ডলার।

স্পর্শ আয়না

এ বছর সিইএস ২০১৯-এ ছিল এ রকম একপ্রকার আকর্ষণ, যা আয়নার দ্বারা সম্ভব, অর্থাৎ এমন একপ্রকার আয়না, যা স্পর্শ করা যায় তথা টাচ স্ক্রিনের সুবিধাযুক্ত এবং কণ্ঠস্বরযুক্ত। এতেও যুক্ত আছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবস্থা, যা দিয়েই সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এটি দিয়ে আপনি প্রতিদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ট্রাফিক আপডেট এবং ইউটিউবের স্ট্রিমিং দেখতে পারবেন। তাছাড়া আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার নানান আপডেট জানতে, দেখতে পারবেন এবং চালাতে ও ব্যবহার করতে পারবেন ডাউনলোড করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো। তাছাড়া এতে যুক্ত আছে গুগল প্লে-স্টোর ব্যবস্থা, যাতে করে আপনি যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন এবং যুক্ত আছে গুগল ড্রাইভ ব্যবস্থাও। আবার টাচ করে মেইলও পাঠাতে পারবেন এই আয়নার মাধ্যমে। এর দৈর্ঘ্য হতে পারে ১৯-২২ ইঞ্চির মতো।

প্যানাসনিক লুমিক্স ক্যামেরা

আয়নাহীন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎসবের প্রথম দিনই নতুন মডেলের একটি ক্যামেরা প্রদর্শন করে জাপানের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান প্যানাসনিক। উন্মোচন করে প্যানাসনিকে লুমিক্স এস১ এবং এস১আর মডেলের ক্যামেরা।

ফ্লেক্সিপাই ফোল্ডেবল ফোন

১ হাজার ৩১৮ ডলার দামের ফ্লেক্সিপাই ফোন গত বছর উন্মোচনের সময় হাতে নিয়ে পরখ করার সুযোগ ছিল না। সিইএসে সে সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।

ফ্লেক্সিপাই ফোল্ডেবল ফোনে ১৯২০-১৪৪০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ৭ দশমিক ৮ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটির ফোল্ড খুলে ট্যাবলেট ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এতে ১৬ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ও ২০ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো লেন্সের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা আছে। ডিভাইসটিতে ¯œ্যাপ ড্রাগন ৮৫৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসটি অ্যান্ড্রয়েড পাই অপারেটিং সিস্টেমে চলবে।

রোবটময় সিইএস

স্যামসাং বট রিটেইল রোবট
বড় বড় শপিং মলগুলো এই রোবট ব্যবহার করতে পারে। ক্রেতার চেহারা ও কণ্ঠস্বরের ধরন বিশ্লেষণ করে তারা স্টোরে কী কী আইটেম খুঁজছে তা খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। এই রোবটের মাথায় এবং সামনে যে ডিসপ্লে আছে, সেখানে উক্ত স্টোরের কী কী জিনিস পাওয়া যায়, তার একটি তালিকা দেখাবে। ক্রেতা সেখান থেকে তার সুবিধা মতো পণ্য বেছে নিতে পারবেন। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টেও এই রোবট ব্যবহার করা যায়। সেখানে তারা কাস্টমারদের খাবার পরিবেশন করবে।

অ্যাওলাস

এবারের সিইএসে ঘরের কাজে সহায়ক রোবট নিয়ে হাজির হয় অ্যাওলাস। রোবটটি ফ্রিজ খুলে পানির বোতল এনে দেয়া, ঘর ঝাড়ু দেয়া, চেয়ার বা অন্য কোনো জিনিস তুলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখা। এটি ঘরের আকার-আকৃতি এবং ঘরের বাসিন্দাদের আচরণ থেকে শিখতে থাকে। এতে অ্যামাজনের অ্যালেক্সা ইন্টিগ্রেট করা আছে। তাই ব্যবহারকারী চাইলে এর সাথে কথাও বলতে পারেন।

ডেলিভারি রোবট

সেগওয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত রোবটিক্স প্রতিষ্ঠান। এবারের মেলায় সেগওয়ে তাদের লুমো ডেলিভারি রোবট নিয়ে আসে। এই রোবটটি বিভিন্ন অফিস বা শপিং মল বা বিল্ডিংয়ে ব্যবহার করা যায়। এটি অফিসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট বা ফাইল, চিঠি ইত্যাদি বহন করে নিয়ে যেতে পারে। এটি সম্পূর্ণ অটোমেটিক এবং নিজে নিজেই বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে যেতে পারে।

হোলাবট

সেগওয়ের মতো চীনের স্টার্টআপ পুডুটেক এবারের মেলায় প্রদর্শন করে তিনটি রোবটিক পণ্য। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হোলাবট নামে একটি ডেলিভারি রোবট। এই রোবটটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি আছে। এটি বিল্ডিং বা অফিসে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৯ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস