• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কমপিউটার জগৎ-এর খবর
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: ইমদাদুল হক
মোট লেখা:৩৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০২১ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
নিউজ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগতের খবর
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কমপিউটার জগৎ-এর খবর
আমেরিকার কোম্পানিগুলোকে হাইটেক পার্কে বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে একটি 
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে 
বড় ধরনের বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের 
বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে 
একটি প্রতিশ্রæতিশীল গন্তব্য অভিহিত করেন 
তিনি। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল 
৬ এপ্রিল ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে পাঠানো 
এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা 
আমেরিকান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর 
জন্য শিল্পকারখানা স্থাপনের সুবিধা প্রদানের 
লক্ষ্যে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।’ 
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে 
আইসিটি শিল্পের জন্য ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে। আমরা 
মার্কিন কোম্পানিগুলোকে একটি হাইটেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে 
আইসিটি খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।’তিনি বলেন, এটি 
গুরুত্বপূর্ণ যে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উভয় 
দেশেরই পর্যাপ্ত নীতিগত সমর্থন রয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, 
বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রæত বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ 
বাজার এবং ৪ বিলিয়ন ভোক্তার বিরাট আঞ্চলিক বাজারের সাথে 
বর্ধনশীল যোগাযোগ ব্যবস্থাÑ এ দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও 
বিনিয়োগের জন্য একটি প্রতিশ্রæতিশীল গন্তব্যে পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই 
ভৌত-অবকাঠামো, আইনি ও আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। আমার সরকার 
বাংলাদেশে দ্রæত শিল্পায়ন ঘটাতে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক 
অঞ্চল’ স্থাপন করছে। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের 
পথযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই একটি শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে 
আমাদের পাশে থেকেছে। এটা আমাদের রপ্তানির সর্ববৃহৎ গন্তব্য, 
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, আমাদের দীর্ঘদিনের 
উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ 
উৎস।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল 
বাংলাদেশে আমাদের রূপকল্প ২০২১-এর 
একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এক্ষেত্রে 
সরকারি কাজে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত 
ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে প্রযুক্তির 
ব্যবহার সক্ষম একটি আধুনিক বাংলাদেশের 
রূপকল্প পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়তার 
জন্য আমি আমার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব 
ওয়াজেদকে ধন্যবাদ দিতে চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বের 
৬০টি দেশে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি 
আইসিটি পণ্য রপ্তানি করে। এই দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে 
বেশি আইসিটি পণ্য রপ্তানি হয়। ইউএসএইডএস প্রাইভেট সেক্টর 
অ্যাসেসমেন্ট ২০১৯ ফর বাংলাদেশের মতেÑ আইসিটি শিল্প ২০২৫ 
সাল নাগাদ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী আয়োজনে 
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়ায় সন্তোষ 
প্রকাশ করেপ্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের এই 
অংশগ্রহণ বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের ব্যাপারে তাদের 
ক্রমবর্ধমান ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করছি, এটা আমাদের 
দু’দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বকে আরো সম্প্রসারিত 
করতে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক 
উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ 
কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র 
সহ-সভাপতি নিশা দেশাই বিসওয়াল, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি 
ড. শেখ ফজলে ফাহিম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম 
শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর 
মিলার এবং বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট 
বক্তব্য রাখেন

ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে আইনি পদক্ষেপ : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা 
নিশ্চিতে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া 
নিয়ন্ত্রণে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে 
বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ 
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত ১০ এপ্রিল ঢাকায় 
ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম আয়োজিত 
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক 
ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন 
তিনি। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা 
আইনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেনÑ পরিবার, সমাজ, 
রাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে এই আইনটির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। 
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইনের উদাহরণ 
দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশ ও মানুষের নিরাপত্তা বিধানে বিভিন্ন সোশ্যাল 
মিডিয়ার ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এসেছে। সবার 
আগে দেশ ও দেশের মানুষ।
তিনি নাসিরনগর, রামু, নোয়াগাঁও 
কিংবা ঝিকাতলাসহ বিভিন্ন সময় ডিজিটাল 
যোগাযোগমাধ্যমে ঘটা অপ্রীতিকর ঘটনার 
উদাহরণ দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ 
হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। 
জনগণের প্রয়োজনে যদি আইন প্রয়োগের 
কিংবা বিদ্যমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের 
সংশোধন প্রয়োজন হয় তবে তা সরকার 
করবে।‘ডিজিটাল আইন না থাকলে কিংবা এই আইন সম্পূর্ণভাবে 
প্রত্যাখ্যান করলে ডিজিটাল দুনিয়ায় বসবাস করা সম্ভব হবে না। 
নারী-শিশুসহ নতুন প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত 
হেনস্তা হচ্ছে। একই সাথে সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও 
রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চ‚ড়ান্তভাবে বেড়ে চলেছে। এসব মোকাবেলা 
করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরই সহায়তা প্রয়োজন হচ্ছে। এই 
আইনের বদৌলতে ২২ হাজার পর্নো সাইট ও ৪ হাজার জুয়ার 
সাইট বন্ধ করা হয়েছে

প্রান্তিক মানুষদের স্বল্প দামে স্মার্টফোন দিতে ভাবছে সরকার

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে 
সহজে পৌঁছে দিতে স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন দেয়ার বিষয়ে ভাবছে 
সরকার। গত ১১ এপ্রিল ই-ক্যাব আয়োজিত ‘কোভিড-পরবর্তী 
পৃথিবীতে বৈশ্বিক বাজারের 
ডিজিটাল কমার্স’ শীর্ষক 
সেমিনারে এ কথা জানান 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ 
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।মন্ত্রী 
বলেন, দেশে ব্যবহৃত 
স্মার্টফোনের শতকরা ৮২ 
ভাগ বাংলাদেশের উৎপাদিত 
স্মার্টফোন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে 
বাংলাদেশ এখন ফাইভজি ফোন উৎপাদন করে তা বিদেশে রপ্তানি 
করছে।তিনি বলেন, প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণদের 
কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ডিজিটাল কমার্স একটি বড় 
প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠছে। আগামীর বাংলাদেশে কেবল বাণিজ্যই 
নয়, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ও কলকারখানাসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র 
ডিজিটাল মহাসড়ক দিয়েই এগিয়ে যাবে।‘ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণ 
প্রক্রিয়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই সম্পন্ন হবে। করোনাকালে 
মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে ইতোমধ্যে দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ 
এলাকা ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। হাওর, দ্বীপ 
ও দুর্গম চরাঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড 
ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে’Ñ বলছিলেন তিনি।মন্ত্রী 
বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ব্যয় নয়, এটি বিনিয়োগ। 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ইতোমধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে 
ফ্রি ওয়াইফাই জোন করে দিয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের জন্য টেলিটক 
ফ্রি ইন্টারনেট দিয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি 
ওয়াইফাই জোন চালু করা হবে। বিটিসিএল ১২ হাজার ফ্রি ওয়াইফাই 
জোন তৈরি করছে। ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিতে
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ফাহিম রাজ্জাক, ভ‚মি সচিব মোস্তাফিজুর 
রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: আফজাল হোসেন, 
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের 
মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিন, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ 
আল মামুন ও মফিজুর রহমান এবং ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক 
আবদুল ওয়াহেদ তমাল বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ 
উপস্থাপন করেন এটুআইয়ের রুরাল ই-কমার্স টিম লিডার 
রেজোয়ানুল হক জামি

বেসিস নির্বাচন বাতিল

সংঘবিধি সংশোধন নিয়ে এক সদস্যের হাইকোর্টে রিট 
এবং পরে বেসিসের সাথে সমঝোতা চুক্তি শর্ত বাস্তবায়ন করতে 
বেসিস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল এ নির্বাচন 
বাতিলে চিঠি ইস্যু করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বাণিজ্য 
সংগঠন বেসিসের নির্বাচন চলতি বছরের ২২ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার 
কথা ছিল। এর মাসখানেক 
আগে সংগঠনটি ২০২১-২৩ 
সেশনের নির্বাচনী তফসিল 
ঘোষণা করেছিল। নির্বাচত 
বাতিলের কারণ হিসেবে 
নির্বাচন বোর্ড বলছে, বেসিস 
সংঘবিধিতে ২০১৮ সালের 
১৯ ডিসেম্বর ইজিএমে পাস হওয়া ও পরে ডিটিও অনুমোদিত 
হওয়া এক সংশোধনী বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট (রিট নং২৬৩৯/২০১৯) করে চালডালডটকম। পরে আদালত ২০১৯ 
সালের ২০ মার্চ ৬ মাসের একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।এরপর 
বেসিস চালডালের সাথেসমঝোতা করে। সমঝোতা চুক্তির শর্ত 
কার্যকর করার শর্তে আদালত রিট পিটিশনের উপর নিষেধাজ্ঞা 
প্রত্যাহার করেন। বোর্ড বলছে, চালডালের সাথে বেসিসের চুক্তি 
অনুযায়ী বেসিসের সকল ক্যাটাগরির সদস্যদের ভোটাধিকার 
প্রদান এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্যাটাগরির সদস্যদের সংজ্ঞা নির্ধারণে 
বর্তমান সংঘবিধি অধিকতর সংশোধন প্রয়োজন

লকডাউনে অনলাইনে কেনাকাটা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে সবাইকে এগিয়ে আসার 
আহŸান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্পিকার ড. শিরীন 
শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত ৬ এপ্রিল একাদশ জাতীয় 
সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে সংসদ নেতা 
শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ এবং এক 
সপ্তাহের লকডাউন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরেন।‘একটু কষ্ট 
হবে, তারপরেও আমি বলব জীবনটা অনেক বড়, জীবনটা 
আগে। মানুষের জীবন বাঁচানো এটাই সকলের করণীয়। 
তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণটা যাতে না বাড়ে এবং এই 
দ্বিতীয় সংক্রমণ যেটা হচ্ছে সেটা সমগ্র বিশ্বব্যাপী আরও 
মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই দেশের মানুষকেও 
সচেতন থাকতে হবে’Ñ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে 
হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, বিয়েশাদিসহ 
সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। যেখানে লোক বেশি ভিড় 
হয় সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শপিং মলগুলো 
অনলাইনের মাধ্যমে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ 
করতে পারবে। কিন্তু সরাসরি উপস্থিত হয়ে ভিড় বাড়াতে পারবে 
না। মূলত বন্ধই থাকবে শপিংমল কিন্তু অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা 
করতে পারে বা লোক মারফত পৌঁছে দিতে পারে সে ব্যবস্থাটা তারা 
করতে পারবে’

ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোয় জোর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর

নিরাপদ ইন্টারনেট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতে 
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর তাগিদ 
দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ 
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।বাংলাদেশ 
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন 
(বিটিআরসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার 
সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত ‘সেফ 
ইন্টারনেট’ শীর্ষক ওয়েবিনারে গত ৮ 
এপ্রিল এ কথা বলেন তিনি। 
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে 
প্রতিনিয়ত আধুনিক ডিভাইস এবং 
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা 
বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাথে সাথে ডিজিটাল অপরাধের সংখ্যাও বাড়ছে। 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুযায়ী ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রদানকারী সদস্যের 
সংখ্যা অপ্রতুল। নিরাপদ ইন্টারনেট থেকে শুরু করে ডিজিটাল 
নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বাড়াতে হবে।তিনি বলেন, 
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়াতে পারলেও প্রযুক্তির সঠিক 
ব্যবহার সম্পর্কে জাতিকে পুরোপুরি সচেতন করে তোলা যায়নি। 
এটা রাতারাতি হয়ে যাওয়ার মতো বিষয়ও নয়। শিক্ষার্থীদের আগে 
ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেয়া হতো না। করোনাকালে 
ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত 
হতে পারছে না। ‘সমস্যা হলো, সন্তানরা ডিজিটাল ডিভাইসের 
সাথে সখ্য গড়ে তুলতে পারলেও অভিভাবকরা এখনও প্রযুক্তিবান্ধব 
নন। তাই অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে শিক্ষার্থীদের 
নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত 
করা যাবে’Ñ বলছিলেন তিনি।নিরাপদ 
ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, 
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পাশাপাশি 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা 
মন্ত্রণালয়কেও উদ্যোগ নেয়ার আহŸান 
জানান তিনি।ওয়েবিনারে বিটিআরসি 
চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার 
বলেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস 
অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) উচিত ইন্টারনেট 
সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব বাসায় শিশু বা শিক্ষার্থী রয়েছে সেসব 
বাসায় বিনামূল্যে অভিভাবক সচেতনতা প্রদান করা। এতে শিশুদের 
ইন্টারনেটে অনেকাংশে নিরাপদ রাখা সম্ভব হবে। গ্রামাঞ্চলের দিকে 
অভিভাবকদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে 
জ্ঞান নেই বললেই চলে। 
অনেকাংশে শিক্ষকদের মধ্যেও ডিজিটাল জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা 
দেখা যায়।ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল 
হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ডাক 
ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে

ইভ্যালিতে ওসান মটরস

দেশীয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালিতে 
যুক্ত হয়েছে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারক 
প্রতিষ্ঠান ওসান মটরস। এখন থেকে 
গ্রাহকেরা টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার প্রাডো, 
হ্যারিয়ার এবং নিশান এক্স ট্রিলসহ বিভিন্ন 
ব্র্যান্ডের গাড়ি ইভ্যালি থেকে মূল্যছাড়ে 
কিনতে পারবেন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইভ্যালির প্রধান 
কার্যালয়ে সম্প্রতি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা 
পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ 
রাসেল এবং ওসান মটরসের চেয়ারম্যান 
ইশতিয়াক আনোয়ার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের 
পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে 
ইভ্যালির বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান সাজ্জাদ 
আলম, ক্যাটাগরি হেড তানিয়া সুলতানা, 
ম্যানেজার তাহসিন রহমান এবং ওসান 
মটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ আল 
ওয়াহিদ উপস্থিত ছিলেন

আরও ৩৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হচ্ছে

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে আরও ৩৫ 
হাজার আধুনিক শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হচ্ছে। গত ২৩ এপ্রিল ‘ইন্টারন্যাশনাল 
আইসিটি গার্লস ডে’ উপলক্ষে এটুআই, গ্রামীণফোন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত 
অনলাইন গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী 
জুনাইদ আহমেদ পলক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিশোরীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানমুখী, দক্ষতানির্ভর 
শিক্ষাব্যবস্থা গড়েতুলতে আধুনিক প্রযুক্তি, সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত 
বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। তা না হলে তারা পিছিয়ে পড়বে।পলক বলেন, এসএসসি 
ও এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীদের আইটিনির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সারাদেশের ৬৪টি শেখ 
কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের 
মেন্টরিং, কোচিং ও মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের 
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বপূর্ণ ভ‚মিকা 
পালনের আহŸান জানান।বৈঠকে বিশেষ অতিথি 
হিসেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর 
অর্লা অ্যালিসিয়া মারফি এবং গ্রামীণফোনের 
চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার সৈয়দ তানভীর 
হোসেন। পলক বলেন, সরকারি-বেসরকারি 
পর্যায় এবং একাডেমিয়া একত্রিত হয়ে কাজ 
করতে পারলেই গার্লস ইন আইসিটি ডে 
সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। বাংলাদেশে মেয়েদের আইসিটিতে সম্পৃক্ত করার বীজ বপন 
করে গিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু তার বিজ্ঞানমনস্কতার 
কারণে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যৎমুখী জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন আর 
জাতির পিতার সেই উদ্যোগ ও অসমাপ্ত কাজ আজ পূরণ করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।অর্লা অ্যালিসিয়া মারফি বলেন, বর্তমান সমাজের প্রতিটি পর্যায়ে 
আইসিটির বিশাল প্রভাব রয়েছে। আইসিটি সেক্টরে নারীদের এগিয়ে আসায় অনুপ্রাণিত 
করতে ইন্টারনেটে নারীদের হয়রানি কমাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া 
নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ বিষয়ে আরও জোর দিতে হবে

দেে শর অর্থনীতি এগুচ্ছে ডিজিটালাইজেশনে : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ডিজিটালাইজেশনের প্রেক্ষিতে করোনা মহামারীর মতো 
দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য 
করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত ২০ এপ্রিল 
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্থানীয় 
সাংবাদিকদের ভ‚মিকা’ শীর্ষক এক অনলাইন 
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির 
বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।তিনি বলেন, 
‘করোনা মহামারীর মধ্যে পৃথিবীর ২০টি দেশ 
পজিটিভ জিডিপি গ্রোথ রেট ধরে রাখতে 
সক্ষম হয়েছে, এরমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। 
বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪, 
যেটি পৃথিবীতে তৃতীয়। এটা কখনোই সম্ভব 
হতো না যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না হতো।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারীর মধ্যেও 
সরকারের কোনো কর্মকান্ড থেমে নেই। প্রধানমন্ত্রী এখনও নিয়মিত 
আগের মতোই মন্ত্রিসভা ও একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন 
ডিজিটালি। আমরা যারা এসব সভায় উপস্থিত থাকি, তিনি যখন 
বাস্তবে আমাদের সামনে সভায় উপস্থিত থাকতেন তখন যে ধরনের 
ইন্টারেকশন হতো, এখনো ঠিক তেমনি ইন্টারেকশন হয়। বিন্দুমাত্র 
মনে হয় না যে, প্রধানমন্ত্রী দূর থেকে অনলাইনে আমাদের সাথে 
সভাগুলো করছেন। অর্থাৎ সরকারের সব কর্মকান্ড এ ডিজিটাল 
বাংলাদেশ হওয়ার কারণে আজকে আমরা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি 
এবং বাংলাদেশ পজিটিভ জিডিপি ধরে রাখার ক্ষেত্রে পৃথিবীতে তৃ
তীয় অবস্থানে রয়েছে।’তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ার 
প্রেক্ষিতে আজকে এই দুর্যোগের মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। 
বিশ্বের ২০টি দেশ ছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ অনেক 
দেশের অর্থনীতি যখন সংকুচিত হয়েছে, তখন আমাদের দেশে ৫.৪ 
শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই ২০টি দেশের মধ্যে যে দুটি 
দেশ আমাদের উপরে রয়েছে, এই দুটি দেশ হচ্ছে আফ্রিকার ছোট 
অর্থনীতির দেশ।
মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এই ধারণাটি এসেছিল 
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ 
থেকে। সেই আইডিয়া দিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল 
বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা 
আমরা যখন ২০০৮ সালে বলি তখন একটি স্বপ্ন ছিল কিন্তু আজকে 
এখন এটি আর স্বপ্ন নয় এটি একটি বাস্তবতা। বাংলাদেশের ১৭ 
কোটি মানুষের দেশে ১৪ কোটি মোবাইল 
সিম ব্যবহারকারী। অর্থাৎ শিশু ছাড়া বাকি 
সবারই মোবাইল ফোন রয়েছে। এখন 
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা 
১১ কোটি বেশি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম 
ডিজিটালি অনেক বেশি শিক্ষিত।’ তিনি 
বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের 
মাধ্যমে যেভাবে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে 
তা সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ 
এবং সেই উদাহরণের কথা বারাক ওবামা যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 
প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি যখন তার বাবার দেশ কেনিয়াতে 
প্রথম সফর করেন, ওই সময় তিনি বলেছেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের 
মাধ্যমে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বা গেছে সেটা থেকে 
আফ্রিকার দেশগুলো তথা উন্নয়নশীল দেশগুলো শিক্ষা নিতে পারে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্যের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান 
মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা মহামারীর যখন দ্বিতীয় ঢেউ 
চলছে, সরকার যদিও লকডাউন ঘোষণা করেছে কিন্তু আমাদের 
কোনো কর্মকান্ড থেমে নেই। বাংলাদেশের একজন কৃষক এখন তার 
ফসলের ক্ষেতে গিয়ে ফসলে কোন পোকা ধরেছে সেটির ছবি তুলে 
সেই ছবি উপজেলা সদরে বা বøক সুপারভাইজারের কাছে পাঠিয়ে 
দেয় এবং মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করে আমার ক্ষেতে এই পোকা 
ধরেছে আমি কোন ওষুধ ব্যবহার করবো। বøক সুপারভাইজার বা 
কৃষি অফিসার বলে দেন তিনি কি ওষুধ ব্যবহার করবেন। এজন্য 
কৃষি অফিসারকে প্র্যাকটিক্যালি তার ক্ষেত পর্যন্ত যেতে হয় না। 
এটি সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে।’এটুআই 
প্রকল্প ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসস আয়োজিত এই কর্মশালায় 
সভাপতিত্ব করেন বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক 
আবুল কালাম আজাদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন 
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, 
এটুআই প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল মান্নান

আসছে শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিকে পাঠ্য কোডিং-প্রোগ্রামিং

আগামী শিক্ষাবর্ষ হতেই প্রাথমিক পর্যায়ে কোডিং ও প্রোগ্রামিং 
ন্যাশনাল কারিকুলাম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল 
আইসিটি গার্লস ডে’ উপলক্ষে গত ২৩ এপ্রিল এটুআই, গ্রামীণফোন, 
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত অনলাইন গোলটেবিল বৈঠকে 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ 
আহমেদ পলক।পলক বলেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেদের এগিয়ে নিতে 
প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অংক,ইংরেজি শিক্ষার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং 
ও কোডিং শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের 
উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষক অভিভাবকদের বিশেষ ভ‚মিকা পালন করতে 
হবে। তাহলে কিশোর-কিশোরীরা আইসিটিতে সফলতা বয়ে 
আনতে সক্ষম হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে 
যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা দেন তখন আইসিটিতে 
নারীদের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম। তখন পুরো আইসিটি শিল্পটাই 
ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলারের। সেই প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে 
ডিজিটাল বাংলাদেশের নির্মাতা ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক 
উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আইসিটি পলিসির ঘোষণা দেন। 
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যেসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা 
হয়েছে এবং হচ্ছে তার পুরোটাই ওই পলিসিতে টাইমফ্রেমসহ 
নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল

এলো সরকারি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ ‘বৈঠক’

দেশীয় এই ভিডিও 
কনফারেন্সিং অ্যাপটি 
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রোগ্রামারা 
তৈরি করেছেন। গত ২৬ 
এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে 
‘বৈঠক’ অ্যাপটি চালু করা 
হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল 
মোমেন এই অ্যাপেই এক 
কনফারেন্সে অ্যাপটির উদ্বোধন 
করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ 
আহমেদ পলক।উদ্বোধনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবহারের জন্য 
এটি হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে পলক জানান, শুরুতে পররাষ্ট্র 
মন্ত্রণালয় ব্যবহার করলেও এরপর সরকারি অন্যান্য মন্ত্রণালয় 
ও বিভাগ ব্যবহার করবে। শেষে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাপটি উদ্বোধনকালে বলেন, বৈঠকের মাধ্যমে 
জুমসহ অন্যান্য অ্যাপের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠা যাবে। ডেটা 
সিকিউরিটি নিয়ে সব সময় সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি 
বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে এবং সার্বিক 
যোগাযোগ আরও বেগবান করতে প্লাটফর্মটি গুরুত্বপূর্ণভ‚মিকা পালন 
করবে।অ্যাপটি জুম, ওয়েবেক্স, টিমজের মতো বৈশ্বিক অ্যাপের 
সাথেপ্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে তোলার কথা উল্লেখ করে 
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অ্যাপটি হোস্ট করা হয়েছে নিজস্ব 
ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে। ফলে বৈঠকে যে ভিডিও, তথ্য শেয়ার 
করা হবে সব কিছুই বাংলাদেশে থাকবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প 
সফলভাবে বাস্তবায়ন করা 
সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক করোনা 
পরিস্থিতির কারণে দেশের 
মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের 
বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা 
যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে 
সক্ষম হয়েছে।তিনি বলেন, 
অ্যাপটির বেটা ভার্সন ব্যবহারের মাধ্যমে যে সকল পরামর্শ পাওয়া 
যাবে সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে ‘বৈঠক’ ভিডিও কনফারেন্সিং 
অ্যাপ সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।প্রতিমন্ত্রী জানান, অ্যাপটি 
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট-এর নিজস্ব জনবলে 
তৈরি করা হয়েছে। এ ‘বৈঠক’ প্লাটফর্মটি তৈরির জন্য সরকারের 
কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অ্যাপটির প্রধান 
বৈশিষ্ট্য হলো ব্যবহারকারীর কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইস 
হতে ভিডিও ও অডিও এনক্রিপটেড অবস্থায় সার্ভারে প্রেরণ করা 
হয় এবং তা এনক্রিপটেড অবস্থায় অন্যান্য সংযুক্ত ব্যবহারকারীর 
কম্পিউটারে ডিক্রিপ্ট করা হয়। ফলে ম্যান ইন দ্য মিডল আক্রমণের 
মাধ্যমে তথ্য চুরি বা আড়িপাতা সম্ভব নয়।তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের 
সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে 
আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ 
বিন মোমেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক 
পার্থপ্রতিম দেব

আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবা

করোনার মহাবিপদে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটি এবং যুবলীগ সার্বক্ষণিক টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছে।চিকিৎসার 
বিভিন্ন বিভাগের 
বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে 
কয়েক শ 
ডাক্তারের নাম ও 
মোবাইল নম্বর 
প্রকাশ করেছে 
তারা। আওয়ামী 
লীগ এক প্রেস 
বিজ্ঞপ্তিতে নাম, 
নম্বর ও বিভাগ 
উল্লেখ করে এই ডাক্তারদের তালিকা দিয়েছে। সেখানে তারা বলেছে, দেশের 
এই ক্রান্তিলগ্নেপ্রয়োজনবোধে পরামর্শের জন্য নিম্নলিখিত চিকিৎসকদের 
টেলিসেবা নেওয়ার আহŸান জানানো যাচ্ছে। কোনো কারণে ফোনকলে 
যোগাযোগ ব্যর্থ হলে মোবাইল মেসেজে নিজের পরিচয় প্রকাশের মাধ্যমে 
যোগাযোগের অনুরোধ করেছে তারা।
যুবলীগ জানিয়েছে, তাদের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও 
সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আহŸানে 
শতাধিক চিকিৎসক টেলিফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকবেন।২৪ 
ঘণ্টা জরুরি টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমের সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কের 
দায়িত্ব পেয়েছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. খালেদ শওকত আলী

ইন্টারনেট যন্ত্রপাতির কর প্রত্যাহার চাইলেন পলক

ইন্টারনেট সেবার বিভিন্ন স্তরের প্রয়োজনীয় 
যন্ত্রপাতির ভ্যাট-শুল্ক প্রত্যাহার চেয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি 
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত ৩ এপ্রিল ‘মেইড 
ইন বাংলাদেশ আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি পলিসি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল 
গোলটেবিল সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান 
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের কাছে এ প্রস্তাব দেন 
তিনি।এ সময় সৃজনশীল অর্থনীতি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ 
বিনির্মাণের স্বার্থে এবং ডিজিটাল বিপ্লব আরও এগিয়ে 
নিতে ইন্টারনেটকে বিলাসী সেবা হিসেবে না দেখে একে 
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো মৌলিক জরুরি সেবা হিসেবে 
গণ্য করে ইন্টারনেট ইক্যুইপমেন্টের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক 
প্রত্যাহারের আহŸান জানান প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া তিনি ডিজিটাল পণ্যের গবেষণা ও উন্নয়নের 
ওপর ২০৩০ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছেন। 
একইসাথে জং ইন আইসিটির পলিসি উপদেষ্টা সামি 
আহমেদ।প্রস্তাবে আইটি ও আইটিইএস খাতে আগাম কর 
প্রত্যাহার এবং ২০২৪ সালের করমুক্তি সনদপ্রাপ্তি সুবিধা 
বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া এই খাতে করপোরেট 
কর ৩৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব 
করা হয়েছে। ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে গোলটেবিল বৈঠকে 
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের 
পরিচালক এন এম শফিকুল ইসলাম


দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথ প্রকল্পে পলকের আগ্রহ

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবসা সম্প্রসারণে আরও 
বেশি সুযোগ তৈরিতে দুই দেশের যৌথ প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী 
জুনাইদ আহমেদ পলক। কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সাথে 
এই যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী গত ২ এপ্রিল রাজধানীর একটি হোটেলে কোইকার ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে 
অনেক এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারুণ্যশক্তির বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ 
জনগোষ্ঠীর বয়স ২৫ বছরের নিচে। 
দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর ৫০ হাজার স্নাতক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ 
করে। এই ডিজিটালপ্রেমী তরুণরা আইটি পেশাদার ফ্রিল্যান্সার এমনকি উদ্যোক্তা হিসেবেও 
দেশে-বিদেশে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে।তিনি জানান, অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের 
মতে বিশ্বব্যাপী অনলাইন কর্মীদের ১৬ শতাংশই বাংলাদেশি। ফলে ডিজিটাল কর্মীদের 
দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষম 
সেবাশিল্পও গত দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০০৮ সালে মাত্র ৩০ মিলিয়ন 
মার্কিন ডলারের রপ্তানি শিল্প থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি 
শিল্পে উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালে আইসিটি খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রা 
নির্ধারণ করা হয়েছে।বাংলাদেশের আইসিটি খাত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ 
ও দ্রæত বর্ধনশীল খাত। প্রযুক্তি বাজার হিসেবে এখানে এআই, বøকচেইন, এআর, ভিআর, 
আইওটি, রোবটিক্স, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগসুবিধার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে 
ধরেন পলক।তিনি বলেন, এখানে 
অর্থনীতির প্রায়প্রতিটি খাতে 
বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণের 
ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই। 
একটি উচ্চ অগ্রাধিকার রপ্তানি 
খাত হিসেবে সব সফটওয়্যার 
এবং আইটি সার্ভিস কোম্পানি 
সফটওয়্যার, আইটিইএস এবং 
আইসিটি হার্ডওয়্যার রপ্তানিতে 
২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি 
সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া সরকারের 
পক্ষ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ইকুইটি 
ফান্ড এবং স্বল্পমেয়াদি ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ফাইন্যান্স করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎপ্রযুক্তিতে একসাথে 
এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোরিয়া সরকারকে ডিজিটাল বাংলাদেশের একজন বিশ্বস্ত বন্ধু মন্তব্য 
করে তিনি আরও বলেন, কোইকার মাধ্যমে কোরিয়া সরকারের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তায় 
একটি আন্তর্জাতিক মানের আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব 
ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (বিকেআইআইসিটি) প্রতিষ্ঠা হয়েছে।‘ইগভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠায় কোরিয়ার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে কোইআইসিএ’র সাথে যৌথউদ্যোগে 
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আইসিটি 
বিভাগ, কোরিয়া টেলিকম ও আইওএম কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘ডিজিটাল দ্বীপ মহেশখালী’প্রকল্পটি 
কক্সবাজারের উপজেলাকে উচ্চ গতির ইন্টারনেট, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা, 
তথ্য, সৌরবিদ্যুৎ ও ই-কমার্সের সাথে সংযুক্ত করেছে। ইডিসিএফ এবং কোরিয়া এক্সিম 
ব্যাংক থেকে একটি স্বল্প সুদের ঋণ নিয়ে বাস্তবায়িত বাংলাগভনেট প্রকল্প একটি একক 
নেটওয়ার্কের অধীনে সারা দেশের সব সরকারিপ্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করেছে। 
আইডিয়াথন আয়োজনও বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরেকটি সফল যৌথ 
আইসিটি উদ্যোগÑ উল্লেখ করেন তিনি। কোরিয়া বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন 
প্রেসিডেন্ট মঞ্জুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও 
জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন 
চৌধুরী। কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুনে, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির 
(কোইকা) কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস ইয়াং আদো অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেনে চার্জ নেই

করোনায় প্রকোপে নানা বিধিনিষেধ 
জারি করায় মোবাইল ব্যাংকিংকে কিছু 
সুবিধা বাড়াতে এপ্রিলে নির্দেশনা দিয়েছে 
বাংলাদেশ ব্যাংক। লেনদেনের সীমা 
বাড়ানোসহ মাসে কোনো চার্জ ছাড়াই 
৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানোসহ বিভিন্ন 
সুবিধা উল্লেখ করে ‘লকডাউন’ ঘোষণার 
আগের দিন এই প্রজ্ঞাপন জারি করা 
হয়।ফলে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো 
বিভিন্ন এমএফএস সেবায় গ্রাহকরা এখন 
ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) প্রতি মাসে ২ 
লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করতে পারবেন। 
এটি আগে ৭৫ হাজার টাকা। আর পিটু-পিতে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা 
পর্যন্ত লেনদেনে কোনো চার্জ থাকবে না। 
যেখানে প্রতিবার লেনদেনে সর্বোচ্চ সীমা 
হবে ১০ হাজার টাকা।এছাড়া ইন্টারনেট 
ব্যাংকিং সেবা সবসময় চালু রাখার কথা 
বলা হয়েছে। এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা 
রাখতে হবে ও জীবাণুনাশক ব্যবহারের 
বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।গ্রাহকদের 
ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের তারিখ 
লকডাউনের সময়সীমার মধ্যে হলে বিল 
পরিশোধের তারিখ নিষেধাজ্ঞা স্থগিত 
হওয়ার পর পাঁচ কর্মদিবস পর্যন্ত বাড়ানো 
যাবে।এতে কোনো অতিরিক্ত মাশুল ও সুদ 
আরোপ করা যাবে না


করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রযুক্তির অবকাঠামো সহায়ক ভ‚মিকায় : পলক

দেশে করোনা সংকট মোকাবেলায় 
প্রযুক্তির অবকাঠামো সহায়ক ভ‚মিকা 
পালন করছে বলে উল্লেখ করেছেন 
তথ্যপ্রযুক্তিপ্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ 
পলক। গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে নাটোরের 
সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় 
অক্সিজেন সরবরাহ সেবার উদ্বোধন 
উপলক্ষে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান 
অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন

প্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা হিসেবে চায় বিসিএস

করোনার বিধিনিষেধের মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ 
বিবেচনায় কম্পিউটার হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী ও 
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা রাখতে 
চায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।এজন্য 
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, আট 
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে 
আবেদন করেছে সংগঠনটি।আবেদনে ২০২০ সালে 
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটিকালে 
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ হতে হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী 
প্রতিষ্ঠানসমূহকে জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় সীমিত 
আকারে খোলা রাখা ও এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত 
জনবলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করা 
হয়। সংগঠনটি বলছে, করোনার প্রাদুর্ভাবকালীন সময়ে 
স্বাস্থ্যসেবাসহ সরকারি জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, 
আইটিএস, বিপিও, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম 
সচল রাখা, ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য এটিএম 
বুথ চালু রাখা, অনলাইন ও ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের 
মাধ্যমে বাসায় বসে অফিশিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা, 
কল সেন্টারসহ সকল প্রকার জনগুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা 
চালু রয়েছে। এতে কম্পিউটার হার্ডওয়ার পণ্য যেমন 
ল্যাপটপ, মডেম, রাউটারসহ কম্পিউটারের আনুষঙ্গিক 
যন্ত্রপাতি, অনলাইন ইউপিএস অপরিহার্য।তাই 
এসব জরুরি সেবায় কার্যক্রম নির্বিঘœ রাখতে প্রযুক্তি 
পণ্যের গুরুত্ব রয়েছে বলেন বিসিএস সভাপতি 
মো. শাহিদ-উল-মুনীর।তিনি জানান, লকডাউন 
সময়কালে তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব ও ব্যবহার বাড়বে। 
বিদেশে রপ্তানি, জরুরি সময়ে জনগণের বাসায় 
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পৌঁছানো এবং রাষ্ট্রীয় জরুরি 
সকল সেবা সচল রাখতে হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী 
এবং সল্যুশন প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও খোলা 
রাখা আবশ্যক। অন্যথায় থমকে যাবে জরুরি সেবা 
কার্যক্রম। এজন্য প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান এবং এ 
খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচলের 
অনুমতি প্রদান করা উচিত। হার্ডওয়্যার সরবরাহকারী 
এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বা মার্কেটগুলো সকাল 
১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে খোলা 
রাখার প্রস্তাব করে এ সেবাকে জরুরি পরিষেবার 
অন্তর্ভুক্ত করার আহŸান জানান তিনি

ফ্রন্টলাইনার হিসেবে করোনা টিকা পাচ্ছেন ইভ্যালি কর্মীরা

ই-কমার্স খাতের ফ্রন্টলাইনার হিসেবে করোনা টিকা পাচ্ছেন ইভ্যালি কর্মীরা। 
এ বিষয়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, গত বছর যখন লকডাউন 
হলো তখন সাধারণ ভোক্তা ও গ্রাহকদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিতে 
ই-কমার্সের চাহিদা ও গুরুত্ব সবার সামনে ভেসে ওঠে। এই কাজটিকে যারা সম্পন্ন 
করেন তারা হচ্ছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা, ইভ্যালির কর্মীরা। তাই তারা 
সম্মুখসারির যোদ্ধা।‘ইতোমধ্যে সরকার ই-কমার্সকে জরুরি সেবার আওতাভুক্ত 
করেছে। এই সেবার যোদ্ধাদের একটি বড় অংশ গ্রাহকদের কাছে গিয়ে তাদের পণ্য 
ডেলিভারি করে। তাই তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। 
তারই অংশ হিসেবে কর্মীদের টিকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে’Ñ বলেন 
তিনি। ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, 
ইভ্যালির কর্মীরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে সে বিষয়ে মনিটরিং 
করা হচ্ছে। ইভ্যালি কর্মীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর টিকা নিবন্ধন সার্ভারে 
দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারবেন

হুয়াওয়ের ক্যারিয়ার কংগ্রেস

দেশে-বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত 
সংশ্লিষ্টদের নিয়ে হুয়াওয়ে বিশেষ 
সম্মেলন ‘হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস২০২১’ শুরু হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল 
এ কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন ডাক 
ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা 
জব্বার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন 
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম 
সুন্দর সিকদার।ছিলেন হুয়াওয়ের 
গেøাবাল পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের 
ভাইস প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড ঝাও, 
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) 
লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং 
ঝেংজুন, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা শু 
ডংজিয়ান, প্রতিষ্ঠানটির সিওও তাও 
গুয়াংইয়াও।সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ 
ক্ষেত্রের সম্ভাবনা, নতুন আবিষ্কার 
ও এগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে 
মতবিনিময় ও আলোচনা হবে। 
আয়োজন চলবে মে মাসের প্রায় শেষ 
পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে ‘ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড 
রেফারেন্স শেয়ারিং’ নিয়ে বক্তব্য 
উপস্থাপন করেন উইন্ডসোর প্লেস 
কনসাল্টিং-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক 
স্কট ডবিøউ মাইনহেন এবং ‘ডিজিটাল 
ট্রান্সফরমেশন: এক্সপেকটেশন অ্যান্ড 
কনসিডারেশন্স ফর আইএমটি ২০২০ 
রোল আউট’ শীর্ষক আলোচনা করেন 
আইটিইউর এশিয়া প্যাসিফিক 
অফিসের মুখপাত্র অমিত রিয়াজ। 
পাশাপাশি ডিজিটাল 
বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে 
আলোচনা করেন হুয়াওয়ে এশিয়া 
প্যাসিফিক রিজিওনের ইন্ডাস্ট্রি 
ইকোসিস্টেম এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর 
কোনেশ কোচহাল

৩৪ কোটি টাকা লাভে বছর শুরু রবির

বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৩৪ কোটি ৩০ 
লাখ টাকা লাভ করেছে রবি।এই অংক 
২০২০ সালের একই প্রান্তিকের চেয়ে প্রায় 
দ্বিগুণ। ওই প্রান্তিকটিতে অপারেটরটির 
লাভ ছিলো ১৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তবে 
ধারাবাহিক প্রান্তিকের মূল্যায়নে আবার 
লাভ কমেছে। ২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে 
তাদের লাভ ছিল ৩৯ কোটি টাকা।
গত ১১ এপ্রিল ২০২১ সালের 
প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ 
সম্মেলনে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড 
সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ জানান, 
বছরের শুরু থেকেই আর্থিক অগ্রগতির হার 
আশাব্যঞ্জক। এই ইতিবাচক অগ্রগতির 
ফলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ 
ঘোষণা করা গেছে। ‘তবে মূল আয়ের উপর 
২ শতাংশ ন্যূনতম করের প্রভাবে মুনাফা 
প্রত্যাশিত হারে বাড়েনি। শুধু তাই নয়, এই 
করের প্রভাবে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ 
কোম্পানিগুলোর জন্য কর্পোরেট করে (৪০ 
শতাংশ) যে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে সে 
সুবিধা থেকেও রবি বঞ্চিত হচ্ছে। এটি 
অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে তাদের সাধারণ 
শেয়ারহোল্ডাররা পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য 
অবদান রাখার পরও তাদের কাক্সিক্ষত 
প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন’Ñ বলছিলেন 
তিনি। রবি সিইও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ 
যেন তাদের এই অন্যায্য কর হতে মুক্তি 
দেন।বাজার ব্যবস্থায় বিভিন্নপ্রতিবন্ধকতার 
কথা উল্লেখ করে মাহতাব বলেন, দীর্ঘদিন 
ধরে ডিডবিøউডিএম (ডেনস ওয়েভলেঙ্গথ 
ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) সরঞ্জামগুলোর 
ব্যাপারে অনুমোদন না পাওয়ার কারণে 
রবি এখনও হাজার হাজার কিলোমিটার 
ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে 
পারছে না। এটি সেবার মান আরও উন্নত 
করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, 
এসএমপি বিধিমালার কার্যকর প্রয়োগের 
অভাবে টেলিযোগাযোগ বাজারে একটি 
অসম প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। এর 
ফলে বাজারে অদূর ভবিষ্যতে গ্রাহক স্বার্থ 
ক্ষুণœ হওয়ার আশংকা রয়েছে।সংবাদ 
সম্মেলনে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড 
রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলমসহ 
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ 
সম্মেলনে উত্থাপিত প্রথম প্রান্তিকের 
প্রতিবেদনে জানানো হয়, রবির সক্রিয় 
গ্রাহকসংখ্যা ৫ কোটি ১৯ লাখ। তাদের 
ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা ৩ কোটি ৬৭ লাখ, 
যা মোট গ্রাহকের ৭০ দশমিক ৬ শতাংশ। 
প্রান্তিকটিতে মোট আয়ের পরিমাণ ১ হাজার 
৯৮১ কোটি টাকা, যা গত প্রান্তিকের তুলনায় 
৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। 
৪১ শতাংশ মার্জিনসহ ইবিআইটিডিএ 
৮১১ দশমিক ৭ কোটি টাকা, এটিও গত 
প্রান্তিকের তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ 
বেশি। ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকের 
তুলনায় ভয়েস সেবা থেকে রবির রাজস্বের 
হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।রবি 
বলেছে, ভয়েস কল করার ক্ষেত্রে ওটিটি 
প্ল্যাটফর্মগুলোর আগ্রাসী ভ‚মিকারই 
প্রতিফলন। 
অন্যদিকে ডেটা সেবায় রাজস্ব গত 
প্রান্তিকের তুলনায় ৮ দশমিক ৫ শতাংশ 
এবং গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় 
১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।ইতোমধ্যে 
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানির 
পরিশোধিত মূলধনের ওপর ৩ শতাংশ 
হারে অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশের 
প্রস্তাব দিয়েছে (প্রতিটি ১০ টাকার শেয়ারে 
৩০ পয়সা)। গত ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বোর্ড 
সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবির ২৫তম 
বার্ষিক সাধারণ সভা ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে

সাড়ে ১১ কোটি গ্রাহক ই-কমার্সে এসেছে : পলক

দেশের সাড়ে ১১ কোটি গ্রাহক ই-কমার্সে 
যুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি 
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত 
১১ এপ্রিল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব 
বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) আয়োজিত ‘ক্রস বর্ডার 
পলিসি, ট্রেড চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ 
শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি।
‘রুরাল টু গেøাবাল ই-কমার্স পলিসি 
কনফারেন্স-২০২১’-এর এই সেমিনারে 
পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ 
রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিগত ১২ 
বছরে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ 
প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের 
নির্দেশনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার 
কারণেই দেশের সাড়ে ১১ কোটি কনজ্যুমার 
ই-কমার্সের সাথে যুক্ত হতে পেরেছে।তিনি 
বলেন, পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতার মধ্যে 
সংযোগ স্থাপন করতে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের 
এটুআইয়ের উদ্যোগে একপে, একসেবা 
ও একশপÑ এ ৩টি ডিজিটাল প্লাটফর্ম 
চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রান্তিক 
থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায় পর্যন্ত যেকোনো 
সেবা কিংবা পণ্য লেনদেন করার সুযোগ 
সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ই-গভর্নমেন্টই গুড 
গভর্ন্যান্স উল্লেখ করে মানুষের চাহিদা পূরণে 
ই-কমার্স একটি যুগোপযোগী ঠিকানা বলে 
মন্তব্য করেন তিনি। পলক বলেন, ই-কমার্স 
জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 
ভ‚মিকা পালন করছে। 
এ কার্যক্রম বিশ্বজুড়ে সংযুক্ত করতে 
রুরাল টু গেøাবালের আগে রুরাল টু ন্যাশনাল 
ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের ওপর নজর দিতে 
হবে। এর ফলে ই-কমার্স পণ্যের বিপণন 
এবং সরবরাহ বাণিজ্য সহজ হবে। প্রতিমন্ত্রী 
ন্যূনতম মূল্যে বিমানে ই-কমার্সের পণ্য 
পরিবহন এবং ইক্যুইটি শেয়ার মডেলে 
ই-ক্যাব সদস্যভুক্ত শতাধিক উদ্যোক্তাদের 
এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ সহায়তার আশ্বাস 
দেন। তিনি দেশের প্রতিটি পরিবারকে 
ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার 
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথাও তুলে 
ধরেন। ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের 
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে 
বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র 
সচিব ড. জাফর উদ্দিন, ডবিøউটিও সেলের 
মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান, ঢাকা 
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের 
অধ্যাপক ড. বিএম মাইনুল হোসেন
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০২১ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস