• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য নতুন বছরের প্রত্যাশা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মোস্তাফা জব্বার
মোট লেখা:১৩৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ডিজিটাল বাংলাদেশ
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি ও সমাজ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য নতুন বছরের প্রত্যাশা

কালচক্রে আরও একটি নতুন ইংরেজি বছর এলো। বিশ্বায়নের ফলে আমাদের নিজেদের নতুন বর্ষ ম্লান হয়েছে বলেই বিশ্বজুড়ে পাওয়া না পাওয়ার হিসেবটা ইংরেজি নতুন বছর অনুসারেই হয়ে থাকে। আমাদের হিসেবনিকেশটাও চৈত্র-বৈশাখে এখন আর হয় না, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই হয়ে থাকে। ডিসেম্বরে আমাদের হিসেব থাকে বছরজুড়ে কী পেলাম, আর কী পেলাম না তা নিয়ে। জানুয়ারিতে তা হয়ে যায় নতুন প্রত্যাশার আলোতে উজ্জ্বল। বছরটা যেমনই কাটুক প্রত্যাশা কখনও ছোট হয় না।

বাংলাদেশের জন্য ২০০৯ সাল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। আবার নতুন বছর বা ২০১০ সালও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কারণ, এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় বছর। এ বছরটি নতুন সরকারেরও দ্বিতীয় বছর। প্রথম বছরের প্রস্ত্ততির পর দ্বিতীয় বছরে দেশের সব মানুষই এ সরকারের কাছে প্রস্ত্ততির পরের স্তর, যাকে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন বলব, তা পেতে চাইছে। এ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে সেটির বাস্তবায়নের স্পষ্ট নমুনা এখন মানুষ দেখতে চাইবে এই নতুন বছরে। এছাড়া নতুন বছরের প্রথম ছয় মাস হচ্ছে নতুন সরকারের প্রথম বাজেট বাস্তবায়নের অর্ধেক সময়। এ সময়ে সরকার তার বাজেট বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক কাজ শুরু করবে সেটিই প্রত্যাশিত। তৃতীয়ত ২০১০ সালে আমাদেরকে বিগত বছরের ব্যর্থতার দায়ভার থেকে মুক্ত হতে হবে, সেজন্য একটু তলিয়ে দেখতে হবে অতীতে আমরা কী কী ভুল করেছি। এই প্রেক্ষাপটেই নতুন বছরের প্রত্যাশার কথা বলার আগে বিগত বা বিদায়ী বছরের সাফল্য ব্যর্থতা খতিয়ে দেখা যেতে পারে।

গত বছরে সরকারের দিক থেকে নীতি ও সহায়তা ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি মাইলফলক কাজ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা অনুমোদন, ডিজিটাল স্বাক্ষর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা, বাংলা ভাষা প্রমিতকরণের জন্য কমিটি গঠন, ডিজিটাল কমার্স বাস্তবায়নের জন্য অনলাইন লেনদেন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, মোবাইল ব্যাংকিং চালু করার জন্য অনুমোদন দান, আইপি টেলিফোনির লাইসেন্স দেয়া ইত্যাদি। সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন সেল, কমপিউটার কাউন্সিল এবং পিআইডি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে বেশ কিছু সেমিনারের আয়োজনও করেছে। ‘বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি’ এবং ‘ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স’ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের আর কোনো সংগঠন বা বেসরকারি কোনো সংস্থা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে তেমন কোনো সরব উপস্থিতি প্রকাশ করেনি। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে নীরব ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে কী বোঝায়, তার জন্য একটি সেমিনারের আয়োজনও করেনি।

বিশেষত বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি বছরজুড়ে নানা আয়োজনে ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরির কাজ করেছে। একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। দেশে ওয়াইম্যাক্স চালু করা এবং মোবাইলসহ ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্প্রসারণে বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টায় মাইলফলক কিছু না থাকলেও বেশ নড়াচড়া অনুভব করা যায়। কিন্তু এককথায় এটি বলতেই হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বেসরকারি খাত এবং সরকারকে যতটা সক্রিয় থাকবে বলে আমরা আশা করেছিলাম, নানা কারণে তা আমরা দেখতে পাইনি।

সেসব কারণেই পুরো বছরের শেষ প্রান্তে এসে এটি অনুভব করা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তেমন কোনো বড় বা মাইলফলক ধরনের কাজ করা হয়নি। সরকার যে কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করতে পারতো সেটি হচ্ছে সরকারের কাজ করার পদ্ধতি ডিজিটাল করা। কিন্তু সে কাজে সরকার চিন্তা-ভাবনাও করেনি। সরকারের তথ্য ডিজিটাল করা বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে যোগাযোগ করা বিষয়ে সরকারের অগ্রগতি প্রায় নেই বলা যায়। সরকারের ওয়েবসাইট বা সরকারি দলের ওয়েবসাইট একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আগ্রহী সরকারের ভাবনার প্রতিফলন ঘটায় না। এগুলো আপডেটেড নয়। এমনকি সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার কোনো দলিলপত্র প্রকাশ করেনি। ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা দিয়ে সরকার দেশটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়, তার কোনো স্পষ্ট বিবরণ এখনও জনগণের কাছে নেই। আমরা সরকারের ২০০৯ সালে সরকার আইসিটি নীতিমালা গ্রহণ করে সেটি বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ওপর মনিটরিং করার দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সে মন্ত্রণালয় বাড়তি হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নতুন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বা তার প্রচলিত কাজের বাইরে এক পা চলতে চাইছে, তেমনটি দেখা যায়নি। অন্য কোনো মন্ত্রণালয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়েছে তাও দেখা যায়নি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সচিবালয় নেই, নেই কোনো ফোকাল পয়েন্ট। এমনকি কোনো পরিকল্পনার কথা আমরা জানি না। পরিকল্পনা কমিশন ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে সবচেয়ে নীরব ছিল। আইসিটি টাস্কফোর্সের নির্বাহী পরিষদের সভায় কোন মন্ত্রণালয় কোন কাজ করেছে, তার হিসেব নেবার একটি প্রচেষ্টার বিষয় আমরা লক্ষ করেছিলাম। কিন্তু যেহেতু এই সংস্থাটিই কার্যকর হয়নি, সেহেতু এই টাস্কফোর্সের কার্যকর ভূমিকার প্রতিফলনও দেখা যায়নি।

শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন সরকার নতুন শিক্ষা কমিটি করে তার প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে। সেখানে দিন বদলের সনদ অনুসারে বাধ্যতামূলক কমপিউটার শিক্ষা চালু করার কথা বলেছে। অথচ সেটি কেমন করে হবে তার কোনো পরিকল্পনার কথা আমরা জানি না। ২০১১ সালে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে কমপিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য কমপিউটার বিতরণ, পাঠ্যপুস্তক প্রস্ত্তত এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রতি ২০০৯ সালে গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সরকারকে এই বিষয়ে ২০০৯ সালে তেমন কোনো কাজ করতে দেখিনি আমরা। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বা শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তাভাবনার প্রকাশ ঘটেনি। এমনকি বছরের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ইন্টারনেটে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক পাওয়াও হয়ে ওঠেনি।

নীতি ও আইনগত যেসব সহায়তার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হয়তো ধীরে ধীরে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, কিন্তু বাস্তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজের দিক থেকে সরকারের তেমন কোনো অগ্রগতি উল্লেখযোগ্যভাবে দৃশ্যমান নয়।

যাহোক, আমরা যা চেয়েছিলাম তার পুরোটা বাস্তবায়িত হবে সেটিও আসলে কখনও ভাবি না। আসলে চাওয়ার সাথে পাওয়ার মিল হয়ে ওঠে না বলেই আমরা হয়তো না পাওয়ার বিষয়গুলো অনেক বেশি উল্লেখ করি। যা করার সুযোগ থাকে, তা করা না হলেও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার বিষয়টি বলতে হয়। তবে একটি বিষয় অবশ্যই বলা যায়, ২০০৯ সালের সাথে এর পূর্ববর্তী সাত বছরের তুলনা করা যাবে না। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আইসিটি খাত ছিল সম্পূর্ণভাবে স্থবির। সেই সময়ে এই খাতে কাজের চাইতে অকাজ হয়েছে বেশি। এই খাতের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সব ক্ষেত্রেই সেই সরকার সিল মেরে রেখে দিয়েছিল। সেই সময়ে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ পেলেও সেটি কাজে লাগানোর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ২০০৬ সালে আইসিটি অ্যাক্ট পাস হলেও সেটি কার্যকর করা যায়নি। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইসিটির দিকে তাকায়নি । ২০০৮ সালে ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিছুটা সক্রিয় হলেও পূর্ববর্তী সময়ের স্থবিরতাকে সচল করা সম্ভব হয়নি। তারই প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে নতুন সরকার মরিচা পড়া, জং ধরা এই খাতকে কিছুটা সক্রিয় করেছে, সেটি নিঃসন্দেহে বলা যায়।

২০১০ সালে আমরা প্রথমত অতীতের ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। যে কাজগুলো ২০০৯ সালে হতে পারতো সেই কাজগুলো ২০১০ সালেই করতে হবে। স্মরণ রাখা দরকার, ২০১০ সাল থেকে বারো বছরে আমরা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের ডিজিটাল রূপান্তরটি চাই। এজন্য প্রথমেই যা প্রয়োজন, সেটি হচ্ছে একটি সঠিক পরিকল্পনা। আমরা ২০১০ সাল শুরু হবার ১০০ দিনের মাঝে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিসত্মৃত ১২ বছরের একটি পরিকল্পনা দেখতে চাই। যদিও বলা হতে পারে, সরকার এরই মাঝে একটি আইসিটি পলিসি প্রণয়ন করেছে, তথাপি এটি মনে রাখা দরকার, তাতে ১০ বছরের পরিকল্পনা রয়েছে যা খুব সঙ্গতকারণেই ২০১৯ সালে শেষ হবে। আমরা যদি অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিতের দেয়া বাজেট বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রীর ৩১ অক্টোবরের ভাষণটি পাঠ করি তবে দেখবো, যাতে আইসিটি নীতিমালায় দুটি ভাষণের সামান্যতম প্রতিফলনও নেই। আরও স্মরণ করা প্রয়োজন সেটি প্রণয়ন করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের অঙ্গীকারবিহীন একটি সরকারের অরাজনৈতিক একটি গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠী ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটিকেই গ্রহণ করেনি। ডিজিটাল বাংলাদেশবিহীন নীতিমালাটিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দগুলো যোগ করেছে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের আমলারা। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ কতটা বুঝে সেটি নিয়েই অনেকের সন্দেহ আছে। সরকার সেটিকে অন্তবর্তীকালীন পরিকল্পনা হিসেবে নিলেও ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে আমরা যা বলি বা সরকার যা বলে তার কোনো প্রতিফলন আইসিটি নীতিমালায় নেই। বস্ত্তত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের কোনো ধারণাই এই নীতিমালায় নেই। আমরা মনে করি, নীতিমালার কর্মপরিকল্পনার অংশটুকু আপডেট করার পাশাপাশি নীতিমালাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার জন্য সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

২০১০ সালে সরকারকে তার নিজের কাজ করার পদ্ধতির পরিবর্তনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং ডিজিটাল ভূমি, ডিজিটাল আইনশৃঙ্খলা, ডিজিটাল বিচারব্যবস্থা, ডিজিটাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। সরকারের কাজ করার ও যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সরকারের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের কাজ আমাদের সবাইকে ডিজিটাল যুগের স্বাদ নিতে সহায়তা করবে। শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সরকারকে আমরা ২০১০ সালে অত্যন্ত সক্রিয় দেখতে চাই। ২০১১ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে কমপিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য ২০১০ সালেই সরকারকে সব প্রস্ত্ততি সম্পন্ন করতে হবে। আমরা লক্ষ করেছি, সরকার ২০০৯ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কমপিউটার ল্যাব সজ্জিত করার কাজ মাত্র ১২৮টি প্রতিষ্ঠানে সীমিত রেখেছে। দেশের ২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ১২৮টি প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার ল্যাব স্থাপন করা মোটেই কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ নয়। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ করার ক্ষেত্রেও ২০১০ সালে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এর আগে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৭ হাজার কমপিউটার বিতরণ করেছে। কিন্তু সেই ১৭ হাজার কমপিউটার শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো অবদান রাখতে পারেনি। সরকারকে এজন্য একটি কার্যকর উপায় বের করতে হবে। একই সাথে শুধু কমপিউটার সরবরাহ না করে ডিজিটাল এডুকেশনাল কনটেন্ট তৈরির জন্যও ২০১০ সালে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা ২০১০ সালে মোবাইলে থ্রিজি নেটওয়ার্ক কার্যকর দেখতে চাই। আমরা চাই ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরকার ৫ হাজার টাকায় বিক্রি করুক। জনগণ সেই ব্যান্ডউইডথ যেনো ৫০০ টাকায় পেতে পারে। আমরা ডিজিটাল কমার্সের যুগে ২০১০ সালেই পৌঁছাতে চাই। ২০১০ সালে আমরা জেলা, উপজেলা ও গ্রামপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সম্প্রসারণ দেথতে চাই।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mostafajabbar@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা