সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে একটা কথা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন- ‘সেবা মানুষের কাছে যাবে, মানুষ সেবার কাছে যাবে না’। নতুন কথা। নতুন স্বপ্ন। এতকাল ধরে তো মানুষই সেবার কাছে যাচ্ছে। অবশ্য, তাতে মানুষ সেবা প্রয়োজনমতো পায় না। যতখানি সন্তুষ্টি নিয়ে, যত দ্রুত সেই সেবা পাবার কথা, সেটা ঘটে না। প্রধানমন্ত্রীর এই ‘স্বপ্ন’ সবার জন্য কবে বাস্তবে রূপ নেবে তা আমাদের জানা নেই, তবে প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন এমন স্বপ্ন দেখেন এবং বাস্তবায়নের কথা বলেন, তখন তার তো একটা প্রভাব পড়বে।
প্রশ্ন হলো, আমাদের দেশে কেনো মানুষকে সেবার কাছে যেতে হয়? প্রধানমন্ত্রীকে কেনো এ কথা বলতে হচ্ছে? গলদ আসলে সেবা দেয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে। এই গলদ হলো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, টেবিলে টেবিলে ফাইল ঘোরানো, সনাতনী পদ্ধতিতে প্রক্রিয়া সম্পাদন করা। এতে মানুষকে প্রতারণার মধ্যে ফেলা যায়, হয়রানি করা সহজ, ফলাফল সেবা দেয়া বিলম্বিত করা। এখানেই দুর্নীতির ফাঁদ তৈরি হয়। মানুষকে তো তার প্রয়োজনীয় সেবা নিতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী এ সনাতনী প্রক্রিয়াটিরই আমূল পরিবর্তনের কথা বলতে চান এই নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। তিনি আমাদের বোঝাতে চান, সেবাকেই যদি মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া যায়, তবে তো আর এত জটিলতা থাকে না। আসল কথা হলো প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটলে মানুষ পরিবর্তন হতে বাধ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী এসব কথা দৃঢ়তার সাথে বলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিকে কাজে লাগাবার ওপর ভরসা করে।
সেবা মানুষের দোরগোড়ায় যাবে- এটা তো কোনো নতুন কথা নয়। অসম্ভবও কিছু নয়। পৃথিবীর বহু দেশে এমনটা ঘটেছে অনেক আগেই, এখনো ঘটে চলেছে বহু দেশে। ওইসব দেশের অভিজ্ঞতাকে আমাদের দেশের বাস্তবতায় কাজে লাগিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধা তার অভিজ্ঞতা নিতে বাধা কোথায়। কিন্তু আমরা কতটুকু প্রস্তুত হচ্ছি? আমাদের মাঠ প্রশাসনের অবস্থা কী? জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুতি কতখানি এগোচ্ছে?
প্রধানমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে আমলাদের দু’য়েকটি মন্তব্য এখানে খুবই প্রাসঙ্গিক মনে করছি। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম’-এর উদ্যোগে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ কী, এর অগ্রগতি, এর কর্মকৌশল, প্রক্রিয়া এবং ইউএনওদের নেতৃত্ব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেই প্রশিক্ষণে ইউএনওদের জুমসহ একটি করে ল্যাপটপও দেয়া হয়, যাতে করে ইউএনওরা সর্বক্ষণিক অনলাইনে থাকতে পারেন। সেই প্রশিক্ষণে ইউএনওরা বলেছিলেন, উপজেলা পর্যায়ে ডিজিটাল উদ্যোগ এখন এগোবে ... কারণ, তারা জেনে গেলেন উপজেলা পর্যায়ে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সারাদেশে বিশেষ করে তৃণমূলে সুবিধা ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এই আশার বাণীর পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়েছিলেন, এই পুরো কর্মযজ্ঞ থেমে যেতে পারে, পদে পদে বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যদি উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা না দেয়া হয়। এক পর্যায়ে তারা এমনও বলেছেন, তাদেরকে এই ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন তা অর্জন করা কঠিন হতে পারে।
ইউএনওদের এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যথাযথভাবে মূল্যায়ন করেছে। তাদের সুপারিশের প্রেক্ষিতেই এটুআই প্রোগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যানদের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ চার দিন। প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশবিষয়ক আলোচনা হয় এবং অবশিষ্ট তিন দিন আলোচনা হয় এনআইএলজিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে। গত ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিনে ৪৮১ জন উপজেলা চেয়ারম্যানই উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে ব্যাচে ব্যাচে প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে, জুনের মাঝামাঝি গিয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হবে।
‘জেলা পর্যায়ে ডিজিটাল উদ্যোগসমূহ সমন্বয়’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
উপজেলা চেয়ারম্যানরা যাতে করে কার্যকরভাবে ই-নেতৃত্ব দিতে পারেন সেজন্য আরো সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের আগেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আর এর মধ্যে কর্মশালা আয়োজন করা হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের (সার্বিক) জন্য। গত ১৭-১৮ মে ২০১০ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং উপেজলা নির্বাহী অফিসার- এই তিন শক্তির একটি সুসমন্বয় দরকার। এই কর্মশালায় ইউনিয়নে-উপজেলায়-জেলায় যে ডিজিটাল উদ্যোগসমূহ শুরু হয়েছে, কিভাবে তার সমন্বয় হবে তার বিভিন্ন দিক চিহ্নিত করা হয়। ডিজিটাল উদ্যোগ সমন্বয় করার জন্য সব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে জেলা ফোকাল পয়েন্ট নির্বাচন করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল পয়েন্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব হলো জেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল উদ্যোগে যত শুরু হয়েছে, তার খোঁজ নেয়া, কেমন চলছে তা বোঝা এবং এগিয়ে নেবার জন্য কী করা দরকার, তা খুঁজে বের করা। উপজেলা চেয়ারম্যানদের ই-নেতৃত্ব দেবার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের এই সমন্বয়মূলক ভূমিকা খুবই সহায়ক হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের জন্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হলো ‘ওয়ান স্টপ সেবা কেন্দ্র’। উপজেলা ওয়ান স্টপ সেবা কেন্দ্র হলো- উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে এক বা একাধিক কমপিউটার নিয়ে একটি ওয়ান স্টপ কাউন্টার স্থাপন করা হবে। সম্ভাব্য দফতরসমূহ ওয়ান স্টপ সেবা কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত থাকবে। সেবা সংক্রান্ত আবেদনসমূহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অথবা ওয়ান স্টপ সেবা কেন্দ্রে সংগ্রহ করা হবে, তবে যেখানেই সংগ্রহ করা হোক না কেনো, সব ডকুমেন্টই অ্যান্ট্রি হবে। সব গৃহীত ডকুমেন্টেরই একটি আইডি থাকবে এবং গৃহীত এসব ডকুমেন্টের গতিবিধি ট্র্যাকিং করা যাবে। সব আবেদনের বিপরীতে আইডি নাম্বারসম্বলিত একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেয়া হবে। আবেদনসমূহ উপজেলা ওয়ান স্টপ কাউন্টার থেকে, ওয়েবের মাধ্যমে, ইউআইএসসি থেকে দাখিল করা যাবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের যেকোনো সেবার জন্য উপজেলা ওয়ান স্টপ কাউন্টারে আবেদন দাখিল করা যাবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিষ্পত্তিযোগ্য আবেদনসমূহ জেলা ওয়ান স্টপ কাউন্টারে জমা নেয়া হবে। ইউআইএসসিসমূহ এক একটি উপ-সেবাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। যাবতীয় কাজ পরিচালনার জন্য একটি ইন্টারেকটিভ সফটওয়্যার তৈরি করা হবে। সফটওয়্যারের একটি ইন্টারফেস উপজেলা পোর্টালে লিঙ্ক করা থাকবে। উপজেলা পর্যায়ে যেকোনো নাগরিক যেকোনো সরকারি সেবা নেয়ার আগে তার সাথে সংশ্লিষ্ট ডাটাসমূহ সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহ অ্যান্ট্রি করবে। যেমন- যেসব নাগরিক কোনো ধরনের ভাতা পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হবে তাদের সব তথ্য তখনই অ্যান্ট্রি করে রাখা হবে। যখন কোনো নাগরিক কোনো লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করবে, তখন তার সাথে সম্পর্কিত তথ্যসমূহ অ্যান্ট্রি করে রাখা হবে। যখন কোনো নাগরিককে ভিজিএফ বা ভিজিডি কার্ড দেয়া হবে, তখন তার তথ্যসমূহ অ্যান্ট্রি করে রাখা হবে। এভাবে নাগরিকদের তথ্যসমূহ অ্যান্ট্রি হতে থাকবে। এভাবে ধীরে ধীরে ডাটাবেজটি সমৃদ্ধ হতে থাকবে। যেকোনো নাগরিকের আইডি ব্যবহার করে সে নাগরিকের সব যাবতীয় তথ্য জানা যাবে। উপজেলার তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেলা ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা হবে। আবার জেলার তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে সংরক্ষণ হবে। কারণ, সব জেলা ও উপজেলা ওয়ান স্টপ সেবাকেন্দ্র চালু হলে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি খুব জরুরি হয়ে পড়বে। এমন একটি বৈপ্লবিক কাজ সমন্বয় করবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেলা ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে, যা শুরু হবে প্রথমে উপজেলা পর্যায়ে।
তবে ডিজিটাল উদ্যোগ সমন্বয়ের প্রশ্নে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি দায়িত্ব হলো স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে ১০০০ ইউনিয়নে যে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা। ইতোমধ্যে এনআইএলজি ১০০০ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০০০ জন উদ্যোক্তা (একজন ছেলে, একজন মেয়ে, যারা আর্থিক বিনিয়োগ করে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র পরিচালনা করার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হয়েছে) বাছাই করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের জেলা পর্যায়ে স্থাপিত কমপিউটার ল্যাবে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ১০ দিন। প্রথম সাত দিন উদ্যোক্তারা শিখবে ও অনুশীলন করবে। ইউআইএসসি পরিচালনা করার বিভিন্ন কারিগরি দিক। মৌলিক কমপিউটার জ্ঞান থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে গুগল সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে ব্যবহার করে যেকোনো তথ্য তৃণমূল একজন মানুষের হাতে তুলে দিতে সক্ষম হবে, তার দক্ষতা অর্জন করবে। আর শেষের তিন দিনে শিখবে কিভাবে ইউআইএসসি-কে টেকসই করে তুলবে, তার জন্য কিভাবে ব্যবসায় পরিকল্পনা তৈরি করবে, কিভাবে ইউআইএসসির আয় বাড়াবে, আয় বাড়াবার কৌশল শিখবে। ইউআইএসসির কনটেন্ট সম্পর্কে ধারণা লাভ করবে এবং এই কনটেন্ট প্রচারের কৌশল রপ্ত করবে, যাতে করে স্থানীয় মানুষ ইউআইএসসিতে আসতে তাগিদ বোধ করে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কিভাবে স্থানীয় মানুষকে উচ্ছেদ করবে তা জানা। এই উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে যাতে করে স্থানীয় মানুষ মনে করতে শুরু করবে, এটা তাদের প্রতিষ্ঠান। সেজন্য কিভাবে মানুষের সাথে পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে-গ্রামে, ক্লাবে-ক্লাবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, উঠানে মানুষের সাথে ইউআইএসসি কিভাবে চলবে, কিভাবে পরিচালনা করলে মানুষের জন্য আরো ভালো হবে, আরো কী কী বিষয় যোগ করা দরকার, কী কী বিষয় পরিবর্তন করা দরকার প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা ‘গণগবেষণা’ করার কৌশল শিখবে। এর মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে ইউআইএসসিতে মালিকানা বাড়বে এবং এর একটি ইতিবাচক প্রভাব হলো- এক পর্যায়ে গিয়ে দেখা যাবে মানুষের জন্য ইউআইএসসি অতিপ্রয়োজনীয়। বলা যেতে পারে, আমি বলব ‘অনিবার্য’ সংগঠনে রূপান্তরিত হবে, তখন তারা এটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য অর্থনৈতিকভাবে অংশ নিতেও আগ্রহী হবে। কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে বিসিসির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা এবং অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করবে বিটিএনভুক্ত বিভিন্ন টেলিসেন্টারের কর্মীরা। এডিসির দায়িত্ব হলো এই উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে সমন্বয় করা।
মাঠ পর্যায়ের এই ডিজিটাল কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বার্ড, আরডিএ, বিআরডিবি প্রভৃতি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে যারা শত শত ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া পরিচালনায় সহায়তা করবে। পাশাপাশি সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবার জন্য তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেমন- মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল উদ্যোগসমূহের ওপর অ্যাকশন রিসার্চ করা এবং এর ফাইন্ডিংস সরকারি যত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর। যেমন পিএটিসি’র ট্রেনিং কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা। এভাবেই সব দিক থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে এগিয়ে যেতে থাকবে যার সুসমন্বয় ঘটবে উপজেলা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে। আশা করা যায়, চেয়ারম্যানরা বাজেট প্রণয়নে নীতিনির্ধারণী ভূমিকা রাখতে পারবেন, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও আগ্রহ তৈরি, ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মকান্ড তদারকি, স্থানীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়ার বিষয়েও তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। মোটা দাগে বলা যায়, ই-নেতৃত্ব বিকশিত হবেই।’
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : manikswapna@yahoo.com