• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অভিযাত্রা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১০ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ডিজিটাল বাংলাদেশসম্পাদনা, 
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অভিযাত্রা

বর্তমান সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার এক সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আজ দেশের শাসন ক্ষমতায় আসীন। সরকার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর পর তার বিভিন্ন তৎপরতার মাধ্যমে প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে সীমিত শক্তি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। সরকার ইতোমধ্যেই আইসিটি নীতিমালা ২০০৯ ঘোষণা দিয়েই এ কাজে নেমেছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে এ ব্যাপারে কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে চলছে নানা ধরনের উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগও।

গত ৪-৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে অনুষ্ঠিত হলো ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১০। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম’ এবং বিজ্ঞান ও আইসিটি মন্ত্রণালয় আয়োজন করে এই মেলা। এ মেলায় অংশ নেয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, যারা আইসিটিকে ব্যবহার করে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছানোর জন্য নানাধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। মেলায় ১২৭টি স্টলে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ডিজিটাল উদ্যোগ প্রদর্শন করে।

এ মেলার একটা প্রাসঙ্গিক দিক রয়েছে। সরকার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০২১’-এর মূল বক্তব্য দেশের সার্বিক অবস্থার গুণগত পরিবর্তন ঘটানো। এই পরিবর্তন নিশ্চিত করতে হলে পরিবর্তন ঘটাতে হবে সংশ্লিষ্ট সবার মানসিকতায়, নীতিতে, সেবায় ও প্রশাসনে। এক্ষেত্রে আইসিটির ব্যাপক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তাই এ মেলার জন্য এটি একটি প্রাসঙ্গিক দিক।

এ মেলায় যারা গেছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে/বিভাগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য একটি ইতিবাচক মানসিকতার সৃষ্টি হয়েছে, যা মেলায় তাদের প্রদর্শিত উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ থেকে সহজেই অনুমেয়। তবে লক্ষ করা গেছে, এসব ডিজিটাল উদ্যোগের মধ্যে বেশিরভাগই ওয়েবসাইটভিত্তিক। এখন প্রয়োজন এই উদ্ভাবনী উদ্যোগের আরো বৈচিত্রায়ন। আমরা আশা করব, ডিজিটাল উদ্ভাবনী উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এ ব্যাপারে আরো সচেতন ভূমিকা পালন করবে। নইলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ দেয়ার যাবতীয় প্রক্রিয়া গতি পাবে না।

এ মেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪টি ডিজিটাল উদ্যোগ প্রদর্শন করা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল উদ্যোগের সংখ্যা ১৬টি। মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৩টি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৮টি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৫টি। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ৬টি উদ্যোগসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়- বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি ডিজিটাল উদ্যোগ মেলায় প্রদর্শিত হয়। এসব ডিজিটাল উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সাথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসব উদ্যোগের ব্যাপারে মোবারকবাদ জানাই। একই সাথে এসব উদ্ভাবনী উদ্যোগ কার্যক্রম আরো জোরদার করার আহবান জানাই। কারণ, ভুললে চলবে না, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগকে কোনোমতেই গতিহীন হতে দেয়া যাবে না।

এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আলাদা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গত ২ মার্চ চালু করেছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : প্ল্যান অব কানেকটিং পিপল’। টেলিযোগাযোগ বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইড দূর করে দেশের মানুষের মধ্যে গড়ে তুলছে ‘ডিজিটাল সেতু’। টেলিযোগ সংযোগহীন মানুষের মধ্যে গড়ে তুলছে সংযোগ। এই মানুষে মানুষে সংযোগ এভাবে বেড়ে চলেছে অবাক করা হারে। মানুষের হাতের নাগালে আসছে এখন বেশি থেকে বেশি হারে সুযোগ, যা সহায়তা করছে পরিবারের লোকজনের সাথে সংযুক্ত থাকতে, উন্নয়নের জন্য সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে, ব্যবসায়িক যোগাযোগ জোরালো করার মাধ্যমে ব্যবসায়-বাণিজ্যে প্রসার ঘটাতে। এসব দিক বিবেচনা করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবে মানুষে মানুষে যোগাযোগ গড়ে তুলে নতুন এক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। আর সেটি হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : প্ল্যান অব কানেকটিং পিপল’। আমরা এই প্ল্যানের সার্বিক উন্নয়ন কামনা করি।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস